ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
ইউনাইটেড বিশ্বকাপ নিয়ে কৌশলী মেসি
ছবি : সংগৃহীত

কাতারে পরম আরাধ্যের বিশ্বকাপ জিতেছেন দুই বছর আগে। এরপর পিএসজি অধ্যায় শেষ করে ইন্টার মায়ামিতে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। সামনের ইউনাইটেড বিশ্বকাপ আসতে আরও বছর দুয়েক বাকি। ফুটবলের যে বৈশ্বিক আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। 

সময়ের হিসেবে সামনের বিশ্বকাপ বেশ দূরে থাকলেও একটি প্রশ্নের সামনে বারবার মুখোমুখি হন লিওনেল মেসি। আর তা হলো, সামনের বিশ্বকাপে দেখা যাবে তো মেসিকে? বরাবর একটাই উত্তর দেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক, ‘সময়টাকে উপভোগ করছি এখন, সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে আপাতত ভাবছি না।’

সম্প্রতি ফুটবল বিশ্বের পরিচিত মুখ সাংবাদিক ফাব্রিসিও রোমানোর সঙ্গে ‘দা ৪৩৩ অ্যাপ’ ও অ্যাপল টিভির জন্য এক সাক্ষাৎকারে মেসি একটু বিস্তারিতই বলেছেন সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে। যেখানে অনেকটা কৌশলী ছিলেন ফুটবলের এই জাদুকর। যার সারমর্ম, ধাপে ধাপে এগোতে চান তিনি। তবে তিনি এও বলেছেন, সামনের বিশ্বকাপ তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তিনি জানেন না। 

মেসি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই জানি না (২০২৬ বিশ্বকাপে খেলব কি না)। আমাকে অনেক প্রশ্ন করা হয় এটা নিয়ে, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়। আপাতত আমার চাওয়া বছরটা ভালোভাবে শেষ করা। এরপর ভালো একটা প্রাক-মৌসুম কাটিয়ে নতুন বছর শুরু করা।’

চোটের কারণে ইন্টার মায়ামিতে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন মেসি। খেলতে পারেননি আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কয়েকটি ম্যাচও। ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম কিছু বলা কঠিন। মেসি ভালো করে জানেন তা। সে কারণেই সব কিছু সময়ের হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। 

মেসি বলেন, ‘নতুন মৌসুমে আমি দেখব, কেমন করছি এবং কেমন লাগছে। আমরা কাছাকাছি আছি, তবে পাশাপাশি এটাও সত্যি, অনেক সময় এখনো বাকি এবং ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আপাতত বেশি দূরে না তাকিয়ে প্রতিটি দিনে থাকতে চাই।’

যেকোন টুর্নামেন্টে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক যেমনটি বলেন, ধাপে ধাপে এগোতে চাই। মেসিও তেমনটি চাচ্ছেন। মোদ্দা কথা, ততদিন পর্যন্ত (বিশ্বকাপ) ফিটনেস ও ছন্দ যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে মেসি সগৌরবে হাজির হবেন। আগাম কোনো কিছু বলা থেকে তাই বিরত থাকছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। 

মেসির ভাবনা এখন ইন্টার মায়ামিকে ঘিরেই, ‘এই সময়, পারিপার্শ্বিকতা ও বয়সের কারণে খেলার ধরন বদলেছি আমি। সবকিছুতে একটু করে মানিয়ে নিচ্ছি। নিজেকে পুনরাবিষ্কার করছি আমি এবং এই লিগে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, আমার জন্য যা নতুন। তবে শুরু থেকেই এখানে খুব স্বস্তি অনুভব করেছি।’

মেসি আসার আগে মেজর লিগ সকারে তলানির দল ছিল ইন্টার মায়ামি। তবে খুদে এই জাদুকরের ছোঁয়ায় বদলে গেছে অনেক কিছু। মেসি জাদুতে দলটি জিতেছে লিগস কাপ। এই মৌসুমে মেজর লিগ সকারে পয়েন্টের রেকর্ড গড়ে তারা জিতেছে সাপোর্টার্স শিল্ডও। এখন প্লেঅফে খেলছে তারা এমএলএস কাপের জন্য।

এমএলএস কাপ জিততেই এখন মরিয়া ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘একটা ক্লাব গড়ে তুলতে শিরোপার প্রয়োজন পড়ে। বাজে একটা বছর (২০২৩) কাটিয়ে এসেছে এই ক্লাব এবং আমি আসার কিছুদিন পর লিগস কাপ জিতেছি আমরা, ক্লাবের প্রথম ট্রফি সেটি। আমাদের জন্য এটা ছিল অসাধারণ এবং এখন আমরা মুখিয়ে আছি এই প্লেঅফ ম্য্যাচগুলো খেলতে এবং এমএলএস কাপ জিততে। ব্যক্তিগতভাবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ক্লাবের জন্য জিততে চাই।’  

বেনজেমার দলের কাছে হার রোনালদোর আল নাসরের

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ পিএম
বেনজেমার দলের কাছে হার রোনালদোর আল নাসরের
ছবি : সংগৃহীত

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ছুটছিলেন হাজার গোলের মাইলফলকের স্পর্শ করার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্যে বছরের শেষ ম্যাচে গোলও করেছিলেন তিনি আল ইত্তিহাদের বিপক্ষে। তবে তার গোল কাজে আসেনি। সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে ইত্তিহাদের কাছে তার দল হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই দলের মাঝে। করিম বেনজেমা ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলের ম্যাচে শেষ হাসিটা অবশ্য হেসেছে বেনজেমা। 

অফসাইডে বাতিল না হলে প্রথমার্ধেই করিম বেনজেমার পাস থেকে আল নাসরের জালে বল পাঠিয়েছিলেন স্টেভেন বার্গওয়্যান। প্রথমার্ধে বেনজেমা আরও দুটি সুযোগ মিস করলে এই অর্ধে। একেবারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন সাদিও মানেও। প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে একা পেয়েও ব্যর্থ হন গোল করতে।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে গড়ানোর পর দ্রুতই গোল পেয়ে যায় দুই দলই। প্রথম গোলটি আসে বেনজেমার পা থেকে। যেই গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইত্তিহাদ। গোল হজম করার ২ মিনিট পর ম্যাচের ৫৭ মিনিটে স্কোরালাইন ১-১ করে ফেলেন রোনালদো। এটা তার ক্যারিয়ারের ৯১৬তম গোল।

সমতা আসার পর ম্যাচে দুই দলই অনেক আক্রমণ চালায় ম্যাচ জিতে নেওয়ার জন্য। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হচ্ছে এমনটা যখন মনে হচ্ছিল, তখন যোগ করা সময়ে গোল করে আল ইত্তিহাদের জয় নিশ্চিত করেন বার্গওয়্যান। 

১৩ ম্যাচে ১২ জয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে  শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো ইত্তিহাদের। এক ম্যাচ কম খেলা আল হিলাল ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে। তিনে থাকা আল কাদিসিয়ার পয়েন্ট ২৮। আর ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আল নাসর।

মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
মেয়েদের সিরিজে ফেরার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে পারফরম্যান্স। যার জের ধরে তিন ম্যাচের সিরিজে আইরিশ মেয়েদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অথচ সেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। মুঠোয় থাকা ম্যাচ বাংলাদেশ হেরে যায় ১২ রানে। সিরিজে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেলা ২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। 

প্রথম ম্যাচের আগে এই আইরিশদের বিপক্ষে শেষ সাত ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচে হার মানে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজ জিততে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই। তার আগে দরকার সিরিজে সমতা আনা। দলের তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলম মনে করেন, শুরুতে হারলেও সিরিজে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন হলেও গতকাল অনুশীলন করেনি বাংলাদেশ দল। তবে দলের প্রস্তুতি, পারফরম্যান্স ও জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে জাহানারা বিসিবির প্রচারিত ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া সব সময় আমার জন্য গর্বের বিষয়। প্রথম ম্যাচে আমাদের ফল প্রত্যাশিত ছিল না। তবে আমাদের দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। ব্যাটিং লাইনআপে ইতিবাচক কিছু পাওয়া গেছে। চারজন ব্যাটার ভালো স্কোর করেছে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ সিরিজে আমরা ফিরতে পারব।’

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৭০ রান। ১২ ওভারে ১ উইকেটে ১০৩ রান করেও ম্যাচ হেরে যায় দল। জাহানারা বলেন, ‘এটি আমাদের বড় সংগ্রহের একটি উদাহরণ। যদিও কয়েকটি ভুলের জন্য আমরা জয় পাইনি। তবে আমরা জানি কীভাবে সেগুলো শুধরে সিরিজে ফিরতে হবে। দলে যদি আরও ২-৩ জন ব্যাটার রান করতে শুরু করে, তাহলে ছয়-সাতজন মিলে বড় লক্ষ্য তাড়া করার সামর্থ্য রাখি।’

জাহানারার মতে টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যেকটা বল গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে সময় খুব কম। এখানে বল ধরে ধরে পরিকল্পনা করতে হয় এবং প্রতিটি মুহূর্তে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। আমরা যদি আমাদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারি এবং আইরিশদের টপ অর্ডার দ্রুত ফেরাতে পারি, তাহলে তাদের অল্প রানে আটকে রাখতে পারব। এভাবে ম্যাচে ইতিবাচক ফল আনতে পারব।’

মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
মেজর লিগের বর্ষসেরা মেসি
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালে লিওনেল মেসি মেজর লিগ সকারে পা রাখার পর থেকেই লিগটির গাম্ভীর্যতেই এসেছে অনেক পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলেও মেসি প্রভাবটাও দৃশ্যমান বলা চলে। মেসির জাদুতে এগিয়ে যাচ্ছে ইন্টার মায়ামিও। ক্লাবটি দুটি শিরোপাও জিতেছে মেসি যোগ দেওয়ার পর। গোলাপি জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্স করছেন মেসিও। তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।

চলতি বছর ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেছেন মেসি, পাশাপাশি করিয়েছেন ১৬টি গোল। যদিও কোপা আমেরিকা ও চোটে পড়ে ৬২ দিন মাঠে নামা হয়নি তার। এরপরও নিজের নৈপুণ্যে ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। চোটের কারণে মেসি দলের বাইরে থাকায় ভুগেছে মায়ামিও। হাতছাড়া হয়ে গেছে এমএলএসের শিরোপা। তবে মায়ামি সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছে।

খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে এমএলএসের মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারটির নাম  ২০১৫ সালে ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ করা হয় লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে। 

নিজের সাফল্যে মেসি খুব একটা তৃপ্ত নন দলীয় সাফল্য ধরা না দেওয়ায়। এমএলএসের ফাইনালে খেলতে না পারায় কিছুটা অসন্তুষ্টি আছে মেসির মাঝে। 

তবে আগামী আসরে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে থাকার লক্ষ্য জানিয়ে দিয়েছেন মেসি। তিনি বলেন, ‘এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।’

সম্মিলিত ভোটে মেসি বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে এমএলএস কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মেসি। কলম্বাস ক্রুর ফরোয়ার্ড কুচো হার্নান্দেজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩.৭০ ভোট পান। মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজসহ সেই লড়াইয়ে আরও তিনজন থাকলেও, তারা ১০ শতাংশ ভোটও পাননি।

গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স
ছবি : সংগৃহীত

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। প্রথমটি হ্যাম্পশায়ারের কাছে সুপার ওভারে আর দ্বিতীয়টিতে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ১০ রানে। সেখানেই অনেকে দলটির শেষ দেখে ফেললেও তা হয়নি। পরের দুই ম্যাচে গায়ানা আমাজন ও লাহোর কালান্দার্সকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশের দলটি।

আর ফাইনালে সৌম্য সরকারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ফাইনালে ৫৬ রানে জিতে গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ফাইনালে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভিক্টোরিয়াকে ১৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় রংপুর। যেখানে ৫৪ বলে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য। জবাব দিতে নেমে ১১ বল আগেই ১২২ রানে অলআউট হয় ভিক্টোরিয়া। এতে ৫৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা যুক্তরাষ্ট্রের বোলার হারমিত সিং সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন। শেখ মাহেদী, রিশাদ হোসেন এবং সাইফ হাসান শিকার করেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট শিকার করেছেন কামরুল হাসান রাব্বি। 

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে রংপুরের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও স্টিভেন টেইলরের মারকুটে ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বিপিএলের দলটি। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১২৪ রান। সৌম্য ৩৩ বলে এবং টেইলর ৪৪ বলে ফিফটি তুলে নেন।

টেইলর ৪৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন সৌম্য। মাঝে সাইফ (৬) ও ম্যাডসন (১০) ব্যর্থ হলেও রংপুরকে এগিয়ে নেন সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। তার ইনিংসে ভর করে ১৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় রাইডার্সরা। সৌম্যর ইনিংসেই মূলত জয়ের ভিত পায় দলটি। পরে বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিরোপা ঘরে তোলে মিকি আর্থারের শিষ্যরা।

ম্যাচসেরা হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরাও হয়েছেন সৌম্য সরকার।

যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
যুব হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
যুব এশিয়া কাপে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। ছবি: সংগৃহীত

যুব এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলকে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. নূর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

যুব এশিয়া কাপে নিজেদের মিশন শেষে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের সদস্যরা। ওই দিনই তাদের সংবর্ধনা দেয় হকি ফেডারেশন। অনুষ্ঠানে এই অর্জনের জন্য পুরো দলকে মাত্র ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। যা নিয়ে আলোচনা হয় অনেক।

হকি খেলোয়াড়দের চাওয়া ছিল সরকারের পক্ষ থেকে বড় কোনো সংবর্ধনা। এসব আলোচনার মাঝেই ক্রীড়া উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এই পুরস্কারের ঘোষণা এলো।

নাবিল/