গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবিতে উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবিতে উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবিতে উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ
ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রে সুশৃঙ্খলভাবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৯ শতাংশ।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত আর্কিটেকচার বিভাগের ব্যবহারিক ড্রয়িং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. সায়েদ আরফিন খাঁন জানান, আগামী ৩মে মানবিক ‘বি’ ও ১০মে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে।

পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র যেতে সহযোগিতা ও যানজট নিরসনে কাজ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। 

এক অভিভাবক খবরের কাগজকে বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় যাতায়াত ও আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছি। এতে আমাদের সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে।

ইসফাক আলী/এমএ/

ঢাবিতে মানবপতাকায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
ঢাবিতে মানবপতাকায় ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি
ছবি : খবরের কাগজ

মানবপতাকা তৈরির মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র-আন্দোলনের সংহতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওই মানবপতাকা প্রদর্শনীতে প্রায় ১৪০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন: সলিডারিটি ফ্রম বাংলাদেশ’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে মানবপতাকা প্রদর্শনী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে মানবাধিকার কর্মী ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মোর্শেদ বলেন, ‘ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন এটি যুদ্ধ নয়, এটি একটি গণহত্যা, যা পৃথিবীর আদিম বরবরতাকে হার মানায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে এই গণহত্যা শুরু হয়েছে। আমেরিকার দেহের রন্ধ্রে রন্ধ্রে হত্যা, জুলুম ঢুকে আছে। তারা আজকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করেছে যেখানে আমরা সবাই ভুক্তভোগী। আমরা বারবার দেখে আসছি তারা একটার পর একটা জাতিকে ধ্বংস করে আসছে।’

ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে এখন পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী ও শিশু। আমরা মানবাধিকারের কথা বলছি। অথচ আমাদের চোখের সামনে এত বড় গণহত্যা হচ্ছে। তবে আশার কথা আমেরিকার তরুণরা আজকে জেগেছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প গঠন করেছে। তাদের ক্যাম্প বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর পরও তারা দমে যায়নি, এটা আমাদের জন্য একটি আশার সঞ্চার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করব নেতানিয়াহুসহ যারা এই গণহত্যায় অংশ নিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমরা দেখেছি সরকার ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে, এটা যাতে বজায় থাকে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি; ওয়ান টু থ্রি ফোর ওকুপেশন নো মোর; ওয়ান টু থ্রি ফোর জায়োনিজম নো মোর; ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন; মার্চ ফর প্যালেস্টাইন ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দর সরকারের নেতৃত্বে ‘অসুন্দর ব্যবস্থাপনায়’ চলছে বিভাগটির কার্যক্রম। সেশনজট, শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানামুখী সমস্যা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের ছুটিতে থাকতে হয়। পুরো সেমিস্টারে একটিও ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আবার কোনো কোনো সময় একটি ক্লাস নিলেও ৪-৫টি উপস্থিতি দেখানো হয়। এ ছাড়া রাত ১২টার পরও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। রাত ১২টার পর কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস না করতে অসম্মতি জানালে পড়তে হয় শিক্ষকদের রোষানলে।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়। যথাযথ ইনকোর্স না নেওয়ার ফলে শিক্ষক তার ইচ্ছা অনুসারে নম্বর দেন। কোনোরকম পরীক্ষা শেষ হলেও ফল প্রকাশ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ মাস থেকে আমরা এই বিভাগে রয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৮টি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। যেখানে একই সেশনের অন্য বিভাগগুলোর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ৬ বছর পরও স্নাতক শেষ করতে পারেননি তারা। সমস্যার কথা শিক্ষকদের জানালেও শিক্ষক সংকটকে দায়ী করছেন তারা। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারেও নেই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দরের আগ্রহ। এ ছাড়াও যথাসময়ে দেওয়া হয় না পরীক্ষার সময়সূচি। আবার কোনো কোনো সময় পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শ্রেণিকক্ষে নেই কোনো সাউন্ড সিস্টেম। এর ফলে পেছনে বসা শিক্ষার্থীরা পড়েন ভোগান্তিতে।

এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পরিকল্পনা করেছি। এর ধারাবাহিকতায় সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেছিলাম। সেখানে তারা একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দর সরকার বলেন, ‘আমার বিভাগে চরম শিক্ষক সংকট। মাত্র দুজন শিক্ষক নিয়ে একটা বিভাগ চলছে। আরেকজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। তবে আমরা আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা মাঝে অনলাইনে চার-পাঁচটা ক্লাস নিয়েছি। তারা না জেনে বলছে- একটাও ক্লাস হয়নি।’   

আইন অনুষদের ডিন পদ ফিরে পেলেন অধ্যাপক রহমতউল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আইন অনুষদের ডিন পদ ফিরে পেলেন অধ্যাপক রহমতউল্লাহ
অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদের ডিন পদ ফেরত পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ।

বুধবার (৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে পুনর্বহালের ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা রায় ছিল। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডিন পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে তাকে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যদিও এ ঘটনায় তিনি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষককে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষককে অব্যাহতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তাই তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সিন্ডিকেট।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ ও ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে- উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে যৌন নিপীড়ন সেলের অধিকতর তদন্ত চলাকালীন দুই অধ্যাপককে ওই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ১২তম ব্যাচের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার সমন্বিত কোর্সে (লিখিত ও মৌখিক) কম নম্বর দিয়ে ফলাফল ধস নামানোর অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ২৮ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের নম্বর কম দিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাদির জুনাইদ।

তারই তিন দিনের মাথায় যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিভাগের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন। সঙ্গে কিছু অডিও রেকর্ড ও মেসেজের স্ক্রিনশটও জমা দেন তিনি। এ ছাড়া রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও তার বিরুদ্ধে ঢাবিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত এই অধ্যাপককে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও অধ্যাপক নাদির জুনাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে অন্য কিছু দেখছেন।

বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে একটি কোর্সে খণ্ডকালীন শিক্ষক। একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১০:৫০ এএম
ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে এমফিল ও পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। এবার তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাভেদ আহমেদ।

এর আগে গেল বছরের ২৯ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ এ নিয়ে ঢাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কলা অনুষদের ডিন এবং সব সিন্ডিকেট সদস্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/অমিয়/