চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশের হেফাজতে অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের মামলার আসামি এস এম আসাদুজ্জামানকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রো ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার এস এম আসাদুজ্জামান নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি মামলার পাঁচ নম্বর আসামি।
দুদকের ওই কর্মকর্তার মৃত্যুতে তার স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ারের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন- চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, চান্দগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুজ্জামান (৫২), মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তারসহ (১৯) মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তালপুল এলাকা থেকে আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো.লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপপরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসরে যান এই কর্মকর্তা। নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে গত ২৯ আগস্ট ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারের বিরুদ্ধে রনি আক্তার তানিয়া নামে একজন আদালতে মামলা করেন।
মামলার শুনানি শেষে ওই দিনই অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। ওই সমন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশীদ গায়েব করে ফেলেন। ফলে আসামিরা আদালতে হাজির হওয়ার কোনো সমন পাননি। এরপর মামলার পরবর্তী তারিখ দেন আদালত। ওই তারিখে মামলার বাদী হাজির না হওয়ায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। কিন্তু ওই দিনই আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও পুলিশ। থানায় নিয়ে ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারা যান তিনি। পরে এ ঘটনায় তার স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার মামলা করেন।