![ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নারী প্রার্থী নিখোঁজ](uploads/2024/05/29/Priti_Khandokar_Halima-1716990015.jpg)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ফিরে আসেননি ‘পদ্মফুল’ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করা প্রীতি খন্দকার হালিমা।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) বেলা ১১টায় তার স্বামী মাসুদ খন্দকার বিজয়নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আমার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ত্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছে। কোর্টে ঘুরতে ঘুরতে নির্বাচনি এলাকায় সময় কম দিয়েছে, এ জন্য প্রীতি দিনরাত উপজেলায় নির্বাচনি কাজে সময় দিচ্ছে।’
মাসুদ আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুজন নারী সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারে যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচারের সময় প্রীতি তার সহযোগীদের বাইরে রেখে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে ভেতরে যায়। কিন্তু ২০ মিনিট পার হলেও প্রীতি বের না হলে দুজন মহিলা ভেতরে যান। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে প্রীতিকে খুঁজে পাননি। অনেকক্ষণ খোঁজখবর করে প্রীতিকে না পেয়ে তারা বাড়িতে চলে আসেন। পরে আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসিকে বিষয়টি জানাই। রিটার্নিং কর্মকর্তা অপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাত ১২টার পর জিডি করতে বলেছেন। রাত ১২টায় থানায় যাওয়ার পর ওসি বললেন সকালে জিডি করতে।’
বুধবার বেলা ১১টায় বিজয়নগর থানায় জিডি জমা দিয়েছেন বলে প্রার্থীর স্বামী জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে তার স্ত্রীকে গুম করেছে।
বিজয়নগর নির্বাচনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও সৈয়দ মাহাবুবুল হক বলেন, ‘নিখোঁজের বিষয়টি প্রার্থীর স্বামী আমাকে জানিয়েছেন। আমি প্রার্থীর স্বামীকে থানায় যোগাযোগ করতে বলে দিয়েছি।’
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রার্থীর স্বামী রাতে এসেছিলেন, তাকে নিয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছেন, সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রার্থী সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন। জিডির অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত পরিচালনা করা হবে।’