টানা দুই দিনের ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ি-মাটিরাঙ্গা সড়কের সাপমারা এলাকায় পাহাড়ধসের পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সড়কে যান চলাচল। তবে পাঁচ ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে স্বাভাবিক করা হয়েছে যান চলাচল।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান জানান, ভারী বর্ষণের ফলে ভোরে পাহাড়ধসের সড়কের উপরে পড়ে। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসগুলো আটকা পড়ে। তবে ফায়ারসার্ভিসের সহযোগিতায় মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এদিকে টানা বর্ষণে নদ-নদীর পানি বেড়ে খাগড়াছড়ির কিছু নিচু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়াসহ নদীতীরবর্তী কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দীঘিনালার মেরুং বাজার। পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আটকা পড়েছে সাজেকগামী শতাধিক পর্যটক।
দিদারুল আলম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/