ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:১০ পিএম
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলাম

প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

সোমবার ( ২ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের নিজের নামে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯১৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে। ফলে তিনি সরকারি চাকরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। 

ফারহানার বিরুদ্ধে করা এজাহারে বলা হয়, তিনি স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ফারহানার নিজ নামে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ১৮১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ‌১০ হাজার ৯৫৬ টাকার সম্পদের মালিকানা পাওয়া গেছে। এ মামলায় তার স্বামী শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

তারা উভয়েই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: প্রথম আলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামান এই আদেশ দেন। 

গত ২৮ এপ্রিল আদালতে এ নালিশী (সিআর) মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি। তিনি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

ওইদিন সংশ্লিষ্ট বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশের জন্য গত ৪ মে দিন ধার্য করেছিলেন। পরে ফের বৃহস্পতিবার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

গত ৩০ মার্চ পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক ঈদ শুভেচ্ছায় ইসলাম ধর্মের পবিত্র উৎসবকে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনের মাধ্যমে চিত্রায়িত করে প্রচার করায় মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়। 

মামলায় পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশকের পাশাপাশি কনটেন্টটি তৈরির দায়িত্বে থাকা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে ‘ঈদ মোবারক’ লেখার পাশে কুকুরের ছবি ব্যবহার করায় ঈদের মতো পবিত্র ইবাদতকে হেয় প্রতিপন্ন ও অবমাননা করা হয়েছে। 

এটা সচেতন ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের মতো মহান ধর্মীয় উৎসবকে অপমানিত ও হেয় করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। আসামিরা স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধটি করেছেন মর্মে উল্লেখ করা হয়। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা ওইদিনই পত্রিকাটি পড়ে এ বিষয় সম্পর্কে অবগত হন।

বাদীর অভিযোগ, ব্যঙ্গাত্মক ওই কার্টুনের ছবি শুধু তার ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত করেনি বরং সমগ্র মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে যা দণ্ডবিধির ১৮৬০-এর ২৯৫, ২৯৫(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

শেখ হাসিনার বিচার শুরু, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
শেখ হাসিনার বিচার শুরু, রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হচ্ছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।  এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় অভিযোগ গঠনের সময় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হওয়ার আগ্রহের কথা জানান।

এর আগে সকালে জুলাই গণহত্যার মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলাম, সব রহস্য উন্মোচন করব। এই মামলায় আমি স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজসাক্ষী হতে চাই।

এদিন ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন হয়।  এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন হবে ৩ আগস্ট আর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে ৪ আগস্ট।

এর আগে গত সোমবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১, অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।

মেহেদী/

সাইফুজ্জামানের ২৬ টি বিও একাউন্ট ফ্রিজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
সাইফুজ্জামানের ২৬ টি বিও একাউন্ট ফ্রিজ
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ২৬টি বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিও অ্যাকাউন্টের মূল্য ৫৭৬ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন। 

এর আগে দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।ওই হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান। সাত সদস্যের একটি যৌথ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিও হিসাবসমূহ নগদায়নসহ অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর বা হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা করছেন।  তারা এ প্রচেষ্টায় সফল হলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।এমতাবস্থায় ওই বিও হিসাগুলো ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা আবশ্যক।

এর আগে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ও তার পরিবারের নামে থাকা দেশে ও বিদেশে থাকা বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, জমি জব্দ করাসহ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। 

অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ পাচারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর গড়া মোট এক হাজার ৬০ কোটি টাকার সম্পদ গত ১৭ জুন জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। 

গত ৫ মার্চ তার ৩৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে ।  অ্যাকাউন্টগুলাতে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। 

এ ছাড়া দেশ-বিদেশে সাইফুজ্জামান ও তার পরিবারের নামে যুক্তরাজ্যের ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২২৮টি ও যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি মিলিয়ে সর্বমোট ৫৮০ বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/জমি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। 

প্রসঙ্গত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের পট পরিবর্তনের পর  সাইফুজ্জামান চৌধুরী দেশ ছেড়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।

এম এ জলিল উজ্জ্বল/সুমন/

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড: ভিডিও ছড়ানোর মূলহোতা শাহ পরান ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড: ভিডিও ছড়ানোর মূলহোতা শাহ পরান ৫ দিনের রিমান্ডে
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাচকিত্তা গ্রামে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে মারধর ও অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার ‘মূলহোতা’ হিসেবে পরিচিত শাহ পরানের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) কুমিল্লার আদালতে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন। 

আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৯ জুলাই) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন কুমিল্লার ১১নং আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক।

কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে বসতঘরের দরজা ভেঙে সংখ্যালঘু এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরই মধ্যে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ফজর আলীর ভাই শাহ পরানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। পরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালাকচুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বুধবার শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়।

অপরদিকে অভিযুক্ত ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফজর আলী কিছুটা সুস্থ হলে তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।

জহির/সালমান/

হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সুব্রত বাইন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সুব্রত বাইন
ছবি: সংগৃহীত

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা মামলায় সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল ওয়াহাব এ আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড আবেদন শুনানির জন্য সুব্রতকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। 

অন্যদিকে আসামির আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন বিচারক। 

গত ২৩ জুন সুব্রত বাইনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মারা যান তিনি। 

এ ঘটনায় সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার।   

গত ২৭ মে সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। পরদিন হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রত বাইনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

উজ্জ্বল/সালমান/