
প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুল ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার ( ২ জুন) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, রফিকুল ইসলামের নিজের নামে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯১৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য রয়েছে। ফলে তিনি সরকারি চাকরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
ফারহানার বিরুদ্ধে করা এজাহারে বলা হয়, তিনি স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতি ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৩৯ লাখ ২ হাজার ২২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ফারহানার নিজ নামে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৩ হাজার ১৮১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয়ে ১ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ৯৫৬ টাকার সম্পদের মালিকানা পাওয়া গেছে। এ মামলায় তার স্বামী শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
তারা উভয়েই তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের উৎস গোপন করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন, যা দুদকের তফসিলভুক্ত ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।