ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আগামী বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অন্যথায় আগামী শুক্রবার প্রত্যেক জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। সমাবেশে শেষে প্রচন্ড তাবদাহ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা উত্তর গেইট থেকে মিছিল বের করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ঘুরে আবারও বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটের সামনে এসে শেষ হয়। ‘ফরিদপুরের মধুখালিতে কতিপয় উগ্র সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরীহ হাফেজ কুরআন দুই সহোদয় শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে’ এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে। উগ্রবাদীরা শ্মশান পূজার নামে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। মন্দিরে আগুন দেয়ার অজুহাতে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই দুই সহোদর হাফেজে কুরআন শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ ঘটনা দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অশনিসংকেত।’
তিনি বলেন, ‘অতিসম্প্রতি হিন্দুপন্ডিতদের উস্কানিমূলক বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের শামিল। মোদি সরকার ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে মধুখালির ঘটনা ঘটিয়ে উস্কানি দিয়ে ভারতে তার দলের পক্ষে ভোট ক্যারি করতে চায়। ফরিদপুরের ঘটনা সরকারের জন্য লজ্জার। সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। সরকার মুসলমানের পক্ষে না থেকে ভারতের গোলামি করলে জনগণ ক্ষমা করবে না।’
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।
শফিক/এমএ/