ফরিদপুরে শ্রমিক হত্যা / সরকারকে ৫ দিনের আলটিমেটাম ইসলামী আন্দোলনের । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ফরিদপুরে শ্রমিক হত্যা সরকারকে ৫ দিনের আলটিমেটাম ইসলামী আন্দোলনের

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
সরকারকে ৫ দিনের আলটিমেটাম ইসলামী আন্দোলনের
ছবি : সংগৃহীত

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলে গণপিটুনিতে দুই নির্মাণ শ্রমিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আগামী বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। অন্যথায় আগামী শুক্রবার প্রত্যেক জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। সমাবেশে শেষে প্রচন্ড তাবদাহ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা উত্তর গেইট থেকে মিছিল বের করে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ঘুরে আবারও বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটের সামনে এসে শেষ হয়। ‘ফরিদপুরের মধুখালিতে কতিপয় উগ্র সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরীহ হাফেজ কুরআন দুই সহোদয় শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবিতে’ এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ‘সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা হয়ে ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে। উগ্রবাদীরা শ্মশান পূজার নামে নাঙ্গা তলোয়ার হাতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। মন্দিরে আগুন দেয়ার অজুহাতে কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই দুই সহোদর হাফেজে কুরআন শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ ঘটনা দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অশনিসংকেত।’

তিনি বলেন, ‘অতিসম্প্রতি হিন্দুপন্ডিতদের উস্কানিমূলক বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের শামিল। মোদি সরকার ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে মধুখালির ঘটনা ঘটিয়ে উস্কানি দিয়ে ভারতে তার দলের পক্ষে ভোট ক্যারি করতে চায়। ফরিদপুরের ঘটনা সরকারের জন্য লজ্জার। সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক। সরকার মুসলমানের পক্ষে না থেকে ভারতের গোলামি করলে জনগণ ক্ষমা করবে না।’

সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ। 

শফিক/এমএ/

 

আ.লীগের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
আ.লীগের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শুক্রবার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ যৌথসভা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুক্রবার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানী ঢাকায় আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) সমাবেশ করবে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বেলা ৩টায় শুরু হবে এই সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে মৌখিকভাবে সমাবেশের অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এদিকে বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে, এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি। বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশ ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে। কিছু শর্তসাপেক্ষে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে।’

এর আগে এই সমাবেশের বিষয়ে অবহিত করতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিনের সঙ্গে আজ সকালে সাক্ষাৎ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু। তারা ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকের পর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর বিএনপি শুক্রবার সমাবেশ করবে।

এ ছাড়া আগামী শনিবার (১১ মে) খালেদা জিয়া ও যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে যুবদল। নয়াপল্টনে একই সময়ে যুবদলের উদ্যোগে এই সমাবেশ করার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় : মান্না

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় : মান্না
গোলটেবিল বৈঠকে কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেইনি, জনগণ এই সরকারকে ঘৃণা করে। উপজেলা নির্বাচনও জনগণ বয়কট করেছে। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাই সরকার পতনের আন্দোলন করতে হলে দমে গেলে হবে না।’

বৃহস্প‌তিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ‘দিল্লির নির্বাচন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সংকট উত্তরণে’ গোলটেবিল বৈঠকে তি‌নি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‘বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্র আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্য কেউ আমাদের গণতন্ত্র এনে দেবে না। ভারতের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশে তাদের আগ্রাসনের কোনো তারতম্য হবে না। তবে ভারতের নির্বাচনে মোদি ম্যাজিক সে দেশের জনগণ বয়কট করেছে।’

তি‌নি আরও বলেন, ‘আমাদের ডাকে দেশের জনগণ আন্দোলন করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে। কিন্তু স্বৈরশাসক তো ক্ষমতা থেকে গেল না। তাহলে আমরা কি ব্যর্থ হয়েছি? দেশে যে জুলুমবাজ, স্বৈরাশাসক সরকার আছে পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে এমন সরকার দেশ পরিচালনা করেনি। এরা দেশের প্রতিটি খাত চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। সরকার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে, বিদেশি ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছে। দেশ গোল্লায় গেলেও এদের কিছু যায় আসে না। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে অটল। এই সরকারের সঙ্গে আপস করার মতো কোনো সুযোগ নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর থেকে জাতিকে বিভক্ত করে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন ছাড়া কারও সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ কখনো দেশের মানুষ নিয়ে, গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তা করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টর দখল করেছে, দলীয়করণ করেছে। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়। আর সেই সুযোগে তারা ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকতে চায়।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রেও যায় না। সেই দিক থেকে পাকিস্তান আমাদের থেকে ভালো আছে।’

তি‌নি ব‌লেন, ‘দেশের প্রতিটি জায়গা আজ ভারতের দালালে ভরে গেছে। শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত, মাফিয়াদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। দেশের ব্যাংকগুলো আজ শেষ করে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তটুকু হয়নি।’

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপ‌তিত্বে বৈঠকে আরও উপ‌স্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান দিপু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুর রহমান ফুয়াদ, মু‌ক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৮) ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য হাইকমিশনারের বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলে এই বৈঠক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৈঠকে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকসহ যুক্তরাজ্য হাইকমিশন অফিসের দুইজন রাজনৈতিক কর্মকর্তা বৈঠকে অংশ নেন।

শফিকুল/সালমান/

আ.লীগ সরকার বয়কট করা জরুরি: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আ.লীগ সরকার বয়কট করা জরুরি: গয়েশ্বর
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য, তাদেরকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়। কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতেই রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আমাদের বিদেশি পণ্য বর্জন করা উচিত।’

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশি আগ্রাসন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ)।

গয়েশ্বর বলেন, ‘গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসনবিরোধী লড়াই করা কঠিন। অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন। বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুন চিত্র কিছুদিন পর কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবিল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং এই ব্যাংকপাড়া যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংকপাড়ার অবস্থা যদি এমন হয় বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।’

আলোচনাসভার প্রধান বক্তা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নেবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাব না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাব।’

তিনি বলেন, ‘দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারকে দেখতে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।’

গণঅধিকার পরিষদ একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, এবি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মুঞ্জু, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতী/অমিয়/