ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ ২০ মাস হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এতে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেও পদহীন থাকায় ক্ষোভ বেড়েছে নেতা-কর্মীদের। কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার পেছনে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একচ্ছত্র আধিপত্য ও উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু নেতা-কর্মী।
ক্যাম্পাস ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ইবি শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যের কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছরের জন্য ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন। পরে গত ২ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য আগ্রহী ও পদ প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়। অথচ কমিটির মেয়াদ গত জুলাই মাসের ৩১ তারিখ শেষ হয়।
এর আগে গত ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল শাহিনুর রহমান শাহিনকে সভাপতি ও জুয়েল রানা হালিমকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি। পরে গত ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই সময়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি ইবি শাখা ছাত্রলীগের।
ছাত্রলীগের রাজনীতি করেও পদহীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী আশিক চন্দ্র দাস বলেন, ‘আক্ষেপ তো অবশ্যই আছে। দিন শেষে প্রতিটি মানুষের একটি পরিচয় দরকার। আমার সিনিয়র ও জুনিয়র যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিল বা আছে তারাও অনেকে পরিচয়হীন রয়েছেন। ভালোবাসার জায়গা থেকে অনেকেই ছাত্রলীগ করে। কিন্তু এসব কারণে দিন দিন অনেকেই ভালোবাসার জায়গাটি হারিয়ে ফেলছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এ বিষয়টি ভালোভাবে ভেবে দেখা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কর্মীরা পরিচয়হীন রাজনীতি করছে। ২০ মাস ধরে কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, এটি দুঃখজনক। আমি মনে করি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এখানে আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। তবে ইউনিট সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা নেতা-কর্মীদের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। ইতোমধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে সই হয়ে গেছে। যেকোনো সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটি ঘোষণা করবেন।’