শাহ আমানতে বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

শাহ আমানতে বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
শাহ আমানতে বিদেশি মুদ্রাসহ যাত্রী আটক
জব্দ বৈদেশিক মুদ্রা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৯০ হাজার ইউএই দিরহামসহ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ লাখ টাকা) এক যাত্রীকে আটক করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়। 

শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন।

আটক যাত্রীর নাম মোহাম্মদ কায়সার হামিদ। তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকার বাসিন্দা।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে এয়ার এরাবিয়ার জি৯-৫২১ ফ্লাইটে শারজাহ যাওয়ার কথা ছিল এই যাত্রীর। গোপন সংবাদ থাকায় ওই যাত্রীকে বিমানবন্দর টার্মিনালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টি হাইজ্যাকিং গেটে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তার ব্যাগ থেকে ৯০ হাজার ইউএই দিরহাম জব্দ করা হয়। 

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, জব্দ করা বিদেশি মুদ্রাগুলো শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি আটক যাত্রীর বিরুদ্ধে পতেঙ্গা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তারেক মাহমুদ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে কমল বারোয়ার (২৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১১টায় বৃষ্টির সময় নাচোলের জামকুড়ি মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কমল নাচোলের রাজবাড়ী হাট মোহাম্মদপুর-জালমাছকুড়ি গ্রামের বত্রিশ বারোয়ারের ছেলে।

নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে জমিতে ধান কাটছিলেন কমল। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।

জহুরুল ইসলাম/পপি/

বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ রঞ্জন দে।

তিনি বলেন, ‘কী নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।’

বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ দুটি ঘটনাস্থলেই ছিল।

কাজল সরকার/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

‘সংস্কারের অভাবে’ সেতু ভেঙে খালে

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৩২ এএম
‘সংস্কারের অভাবে’ সেতু ভেঙে খালে
বরগুনার তালতলীর সুলিজ খালের ওপর নির্মিত সেতুটি কয়েক দিন আগে ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। খবরের কাগজ

বরগুনার তালতলীর সুলিজ খালের ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে সাধারণ মানুষের চলাচল থাকলেও ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোনো নজর ছিল না। গত আট বছর আগে থেকে একটু একটু করে সেতুটি ভাঙতে থাকে। পিলারের বেশির ভাগ অংশেই পড়ে যায় মরিচা! শেষ পর্যন্ত ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ১০ গ্রামের অন্তত দশ হাজার মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও নারীরা পড়েছেন বিপাকে। দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে।

জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত সংস্কার করা হলে ব্রিজটি ভেঙে পড়ত না। এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে হলেও শিগগিরই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্রুত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ব্রিজটির কাজ শুরু করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া এলাকার বেন্টার সুলিজ খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সেতুটি নির্মাণ করে। এই সেতু দিয়ে নিশানবাড়িয়া, সওদাগরপাড়া, বারোঘর বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, কুয়াকাটা, লাউপাড়া, তাঁতিপাড়া, ফকিরহাট, তালতলীসহ ১০ গ্রামের অন্তত দশ হাজার মানুষ চলাচল করেন। একই সঙ্গে তালুকদারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিণখোলা আলিয়া মাদরাসাসহ চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে সেতুটি ভেঙে পড়ায় জনসাধারণ ও স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প হিসেবে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের পথ ঘুরে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি বাড়ার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে চার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। তাই দ্রুত নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাঈম বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় এখন আমাদের বিকল্প পথ হিসেবে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন নারী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ অঞ্চলের দশ গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করে হলেও এখানে দ্রুত একটি নতুন ব্রিজ বানানো প্রয়োজন। এই পথ দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দশ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।’

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. শাহাদাত বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি রুগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল। তখন কেউ এদিকে নজর দেননি। এখন এটি ভেঙে পানিতে ডুবে আছে। দ্রুত এ সংকটের সমাধান প্রয়োজন।’

নিয়মিত সংস্কার না করায় ব্রিজটির আজ এমন দশা উল্লেখ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নুরজাহান বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘৩০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা। তবে গত আট বছর আগে থেকে একটু একটু করে এটি ভাঙতে শুরু করে। সেতুর পিলারগুলো অনেক আগে থেকে ক্ষয়ে যেতে থাকে। নিয়মিত সংস্কার করা হলে আজ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’

সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, ‘এখানে দ্রুত একটি নতুন সেতু স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

এলজিইডি তালতলী উপজেলার প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, নতুন সেতু বানানোর জন্য শিগগিরই দরপত্র আহ্বানের কাজ শুরু হবে।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরগুনায় ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ৩০০টি সেতু নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় হালকা যান চলাচলের জন্য লোহার বিমের ওপর কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে সেতুগুলো বানানো হয়। প্রকল্পের অধীনে নির্মিত এসব সেতুর ২৬৬টিই এখন চলাচলের অনুপযোগী। কোথাও কোথাও স্থানীয়রা বাঁশ, কাঠ দিয়ে কোনোরকমে চলাচল করলেও এসব সেতুতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ২০০৫ সালে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর থেকে এসব সেতুর আর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। 

চোরের হাত থেকে মোটরসাইকেল রক্ষায় হ্যান্ডকাফ!

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:২৬ এএম
চোরের হাত থেকে মোটরসাইকেল রক্ষায় হ্যান্ডকাফ!
ছবি: সংগৃহীত

চোরের হাত থেকে বাঁচাতে মোটরসাইকেলের জন্য নেওয়া হয় আলাদা সুরক্ষা ব্যবস্থা। কেউ ব্যবহার করে হাইড্রোলিক লক কেউবা ব্যবহার করে থাকেন জিপিএস ট্র্যাকারও। তবে এসবের বাইরে মোটরসাইকেলের চাকায় তালার পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে আসামির জন্য বরাদ্দ হ্যান্ডকাফ। এমনই এক ঘটনা জন্ম দিয়েছেন শরীয়তপুরের এক পুলিশ সদস্য। নিজের শখের মোটরসাইকেল রক্ষায় বেছে নিয়েছেন অভিনব এই পন্থা। ইতোমধ্যে এ ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোটরসাইকেলটির মালিক পালং মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ রানা। তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বর্তমানে ওই এলাকার চলাচলের একমাত্র সড়কটিতে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এতে সড়কে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওই পুলিশ সদস্য বাসার অদূরে মোটরসাইকেলটি রেখে বাসায় যাতায়াত করেন। এদিকে চুরি হওয়ার আশঙ্কায় গাড়িটির চাকায় হ্যান্ডকাফ ব্যবহার করেন তিনি। তবে তার মোটরসাইকেলের পেছনে কোনো নম্বর প্লেট নেই। শুধু লেখা রয়েছে পুলিশ।

খান মুহাম্মদ শিহান নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলের চাকায় হ্যান্ডকাফ লাগানো দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হাতকড়া ঝুলছে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক প্লেটে।’ আর সেই পোস্টে বেশ কয়েকজন মজার কমেন্টও করেছেন। কামরুজ্জামান পলাশ খান নামের এক ব্যক্তি সেখানে কমেন্ট করেছেন, ‘মোটরসাইকেল গ্রেপ্তার।’ কাওসার মাহমুদ শান্ত নামের আরেক ব্যক্তি কমেন্ট করেছেন, ‘মোটরসাইকেল যখন হত্যা মামলার আসামি।’

মোটরসাইকেলে হ্যান্ডকাফ লাগানোর বিষয়ে আইন কী বলে? জানতে চাইলে জেলা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন, প্রবিধান ৩৩০-এ হাতকড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, হাতকড়া সবসময় ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য পেশাগত কাজ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না।’

এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, ‘মাঝে মধ্যেই অনেক মোটরসাইকেলের তালা ভেঙে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। আমার বাসার সামনে কাজ চলমান থাকায় মোটরসাইকেলটি বাসায় নিতে পারি না। তাই চুরি এড়াতে মোটরসাইকেলটি হাতকড়া দিয়ে তালা মেরে রাখি।’ বিষয়টি জানতে জেলা সুপার মো. মাহবুবুল আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

‘মনে হচ্ছে জীবনের শেষ ভোট দিলাম’

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:১৫ এএম
‘মনে হচ্ছে জীবনের শেষ ভোট দিলাম’
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ আখালিয়া গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী তারা মিয়া। খবরের কাগজ

‘জীবনের শেষ ভোট দিলাম আজকে মনে হচ্ছে, আর ভোট দিতে পারব কি না জানি না, বয়স তো কম হলো না। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছি। কোথাও বের হতে পারি না। আজকে উপজেলায় ভোট হচ্ছে। তাই ভোট দিলাম স্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে। ভোট দিয়ে খুবই শান্তি পেলাম। অনেক দিন পর সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ আখালিয়া গ্রামের মৃত সামাদ আলীর ছেলে ৬৫ বছর বয়সের তারা মিয়া।

তারা মিয়া আরও বলেন, ‘অসুস্থ থাকার কারণে সংসারে অভাব অনটন। কোনো মেম্বার বা চেয়ারম্যান আমাকে সহযোগিতা করে নাই। আজকে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে শুনলাম। তাই মনের মতো একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছে। তাই নিজের স্ত্রীকে বললাম যে, আমাকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাও, ভোট দিব। তারপর স্ত্রী রহিমা আমাকে নিয়ে এসেছে ভোটকেন্দ্রে।’

তারা মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম খবরের কাগজকে বলেন, ‘হুইল চেয়ারের জীবন আমাদের। ছেলে সন্তান যা সহযোগিতা করে, তা দিয়ে সংসার চালাই। দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী অসুস্থ। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাই না কোথাও থেকে। এবার আমাদের পরিচিত ও কাছের মানুষ নির্বাচন করছে, যার কারণে হুইল চেয়ারে করে স্বামীকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে এসেছি ভোট দেওয়ার জন্য।’

কাকরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মেহেদী হাসান বলেন, ‘কাকরাইদ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজারের ওপরে। আনসার সদস্যরা তারা মিয়াকে সহযোগিতা করেছেন ভোট প্রয়োগ করতে। এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।’

জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মতিয়ুর রহমান বলেন, ‘প্রথম ধাপে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষে টাঙ্গাইলের দুটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের পরিবেশ অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে ৭ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র‍্যাব, প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন পুলিশ, ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া দুটি উপজেলায় একজন করে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।’

প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলা ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গোপালপুর উপজেলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ম‌রিয়ম আখতার মুক্তা গত শুক্রবার ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে গত রবিবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।