যশোরের অভয়নগরের কেয়া খাতুনকে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও হত্যার দায়ে সহকর্মী শামীম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে যশোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এক রায়ে এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম অভয়নগরের জাফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এম ইদ্রিস আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কেয়া খাতুন এক যুগ আগে স্বামী পরিত্যক্ত হয়ে তার মামার বাড়ি অভয়নগরের কাদিরপাড়া গ্রামে বসবাস শুরু করেন। তিনি আকিজ গ্রুপের এসএএফ লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে শ্রমিক পদে চাকরি নেন। শামীম হোসেনও সেখানে শ্রমিক পদে চাকরি করতেন।
মিলে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে কেয়া খাতুনকে শামীম প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর কেয়া ও শামীম দিনের বেলায় মিলে কাজ করছিলেন। ওই সময় শামীম কেয়ার কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শামীমের হাতে প্লাস্টিকের মগে রাখা অ্যাসিড কেয়ার গায়ে ঢেলে দেন। এতে কেয়া চিৎকার দিলে শামীম পাশে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে তাকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান। কেয়ার চিৎকারে মিলের অন্য শ্রমিকরা এসে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় কেয়ার মামা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে শামীমকে আসামি করে একাটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় শামীমকে অভিযুক্ত করে ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার।
পরে দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।