মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের, ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের, ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪ এএম
মুনাফা বেড়েছে ইসলামী ব্যাংকের, ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাববছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩ শতাংশ।

সর্বশেষ ২০২৩ হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ২০২২ সালেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ২০২৩ সালে ৬৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, যা ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ আকারে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সীমা আরোপ ছিল না। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ হিসাববছরে ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা, যা ২০২২ সালে ছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির পুনর্মূল্যায়ন হওয়া শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা। এটি ২০২২ সালে ছিল ৪৩ টাকা ২১ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর ইসলামী ব্যাংকের নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ঋণাত্মক ১০ টাকা ৬৩ পয়সা, যা এর আগের বছর ছিল ঋণাত্মক ৫৫ টাকা ৬৮ পয়সা।

ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করবেন। এ জন্য আগামী ১৬ মে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড তাদের পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে চায়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ কোটি টাকা করতে চায়। এদিকে গত বুধবার অনুষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইসলামী ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস ছিল ৩৫ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ঋণাত্মক ২৮ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৫২ টাকা ৬ পয়সা। এ ছাড়া প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৩ টাকা ৪৩ পয়সা।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইবিবিএল মুদারাবা পারপেচুয়াল বন্ডের পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ মুনাফা রেট ঘোষণা করেছে। ডিএসই সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ জুন ইসলামী ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠানের পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষিত মুনাফা বিতরণ সম্পন্ন করা হবে। এ মুনাফা দিতে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে।

ইসলামী ব্যাংক বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির নগদ ও নগদ সমতুল্য ব্যালেন্স ছিল ২১ হাজার ৯৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং সারা দেশে ৩৯৪টি শাখা, ২৪৯টি উপশাখা ও ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে।

এমএ/

পোশাকশিল্পে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি: বিজিএমইএর সভাপতি

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৮:০০ পিএম
পোশাকশিল্পে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি: বিজিএমইএর সভাপতি
সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান (কচির) নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হয়। সংগৃহীত

বিশ্ববাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পোশাকশিল্পের সক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)। সচিবালয়ে গত মঙ্গলবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিজিএমইএর প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক মো. ইমরানুর রহমান, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), শামস মাহমুদ, মো. নুরুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী সাগর ও মো. রেজাউল আলম (মিরু)।

বৈঠকে বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান বলেন, তীব্র ভূরাজনৈতিক সংকট এবং এর প্রভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যে সৃষ্ট অস্থিরতার প্রভাবে পোশাকশিল্প এক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে ভোক্তাদের পোশাকের চাহিদা ও পোশাকের ওপর ব্যয় কমেছে। এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়পর্যায়ে সৃষ্ট বিভিন্ন কারণে শিল্পের ব্যয় বহু গুণ বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্পকে টেকসই করতে ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে নীতি সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। সেই সঙ্গে ব্যবসায় সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোকে আরও দ্রুততর এবং সহজতর করা- বিশেষ করে আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজ করাও অত্যাবশ্যক।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ যত সহায়ক হবে, রপ্তানি খাতে তত বেশি সাফল্য আসবে এবং দেশের অর্থনীতি এটার একটা বড় সুফল লাভ করবে। এর পাশাপাশি তিনি রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য সহায়ক রাজস্ব নীতিমালা, শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর জোর দেন।

বৈঠকে এলডিসি পরবর্তী সময়ে পোশাকখাতের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। এ বিষয়ে এস এম মান্নান (কচি) বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালের পর থেকে বিভিন্ন বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না। তাই অন্তত ২০২৬ পর্যন্ত আমরা যদি বিভিন্ন নীতি সহায়তার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, সেটি হবে আমাদের জন্য সময়োপযোগী কৌশল।’

বিজিএমইএ সভাপতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ফুড রেশনিং চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। তিনি সার্বিকভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ধারা সুরক্ষিত রাখতে তৈরি পোশাক খাতের সুরক্ষা এবং রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রগুলোতে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ইসমাঈল/

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাকশিল্প গুরুত্বপূর্ণ খাত: নানক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাকশিল্প গুরুত্বপূর্ণ খাত: নানক
ছবি: সংগৃহীত

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পোশাকশিল্প একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। আমি নিশ্চিত যে, তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই একটি উন্নত দেশে উন্নীত হবে।

বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে গত মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডেসের রাষ্ট্রদূত মিস্ ইরমা ভন দুরিন, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বর্তমান সভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব এবং এইচঅ্যান্ডএমের আঞ্চলিক প্রধান (বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া) জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিজিএমইএর পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।

এ সময় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে এর বেশির ভাগেই পোশাক খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, সরকারের সহায়তায় তৈরি পোশাক শিল্প আরও এগিয়ে যাবে।’

বিজিএমইএর সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, ‘আমরা এখন পোশাকশিল্পে অটোমেশনকে অন্তর্ভুক্ত করছি এবং বিশ্ব বাজারে আমাদের শেয়ার বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ব্যবসাকে টেকসই করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’

এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের ৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান ডেনিম শিল্পে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি, বৈচিত্র্যময় ও উদ্ভাবনী ডেনিম পণ্য প্রদর্শন করেছে।

ইসমাঈল/

উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগে রহিম টেক্সটাইল

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগে রহিম টেক্সটাইল
গাজীপুরের রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিডেটের কারখানা। ছবি: খবরের কাগজ

ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নতুন করে বিনিয়োগ করবে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। নতুন বিনিয়োগের পর প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে প্রায় ২৪ শতাংশ। এতে লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটি মুনাফায় ফিরে আসবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন বিনিয়োগের অংশ হিসেবে সর্বশেষ প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। নতুন বিনিয়োগের অর্থায়ন করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। একই সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য উৎস থেকেও অর্থের সংস্থান করবে প্রতিষ্ঠানটি।

রহিম টেক্সটাইল মিলসের কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, সময়ে সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে আধুনিকায়ন করতে নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পরিচালনা পর্ষদ। নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা যেমন বাড়বে। তেমনি বাড়বে রাজস্ব।

তথ্যে দেখা যায়, রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মূলত নিউ এশিয়া গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। বার্ষিক ২৪ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তথ্যে দেখা, নতুন বিনিয়োগের অংশ হিসেবে অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রাংশ স্থাপন এবং আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে।

আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের লোকসান হয়েছিল ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি এ সময় বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, গ্যাসসংকট, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় বৃদ্ধি ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

চলতি অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) মুনাফায় ফিরে এসেছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির লাভ হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। এক বছর আগে একই সময়ে মোট লোকসান ছিল ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার টাকা লাভ করেছে। এক বছর আগে একই সময়ে প্রাতষ্ঠানটির লোকসান হয়েছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বৃদ্ধির জন্য বাজারজাতকরণে খরচ হ্রাস, মৌলিক কাঁচামালের মূল্য হ্রাস, একই সঙ্গে পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় হ্রাস পাওয়ার কারণে লাভবান হতে সহায়তা করেছে বলে জানানো হয়েছে।

তথ্যে দেখা যায়, রহিম টেক্সটাইল মিলের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক তিন কোটি ইয়ার্ড (৩০০ লাখ গজ) ডাইং, প্রিন্টিং এবং ফিনিশিং। নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর প্রতিবছর ১৯ লাখ ৪৪ হাজার গজ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সক্ষমতা বৃদ্ধির পর ৩১ লাখ ৫০ হাজার শঙ্কুর সেলাই থ্রেড, ৪৫ লাখ পিস ড্র কর্ড, ২৫২ লাখ ইয়ার্ডের ইলাস্টিক টুইল। ৪৫ লাখ গজের টেপ, ৭ লাখ ২০ হাজার গজের জ্যাকার্ড টেপ এবং বছরে ৩০০ লাখ পিস হিট সিল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

এতে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বিক্রয় থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে প্রায় ২৪ শতাংশ। এতে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে। নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের পর পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। এতে এসব পণ্য আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি করা যাবে।

রহিম টেক্সটাইল মিলস টেক্সটাইল খাতের শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প। প্রতিষ্ঠানটি রং, মুদ্রণ এবং কাপড় ফিনিশিংয়ের কাজ করে থাকে।

১৯৮৮ সালে তালিকাভুক্ত রহিম টেক্সটাইলের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩। এর ৭১ দশমিক ১৭ শতাংশ কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালক, ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে রয়েছে।

সৌদি আরামকোর নিট মুনাফা ২ হাজার ৭২৭ কোটি ডলার

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০১:০২ পিএম
সৌদি আরামকোর নিট মুনাফা ২ হাজার ৭২৭ কোটি ডলার
সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের হাওয়াইয়াহতে হাওয়াইয়াহ ন্যাচরাল গ্যাস লিকুইডস রিকভারি প্ল্যান্ট। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (প্রান্তিকে) এনার্জি জায়ান্ট সৌদি আরামকো ২ হাজার ৭২৭ কোটি (২৭ দশমিক ২৭ বিলিয়ন) ডলারের নিট মুনাফা করেছে। সে হিসাবে কোম্পানিটির নিট মুনাফা আগের প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ২ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়েছে। খবর আরব নিউজের।

কোম্পানির বিবৃতি অনুসারে, মার্চ মাসের শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানিটির (আরামকো) তিন মাসে মোট রাজস্ব আয় ছিল ১০৭ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডিলার। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিটির মোট পরিচালন আয় ৫৮ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

সৌদি আরামকোর সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) আমিন নাসের বলেছেন, ‘আমাদের প্রথম প্রান্তিকের অর্জন আরামকোর স্থিতি ও শক্তিকে প্রতিফলিত করে। এটি অর্থনীতি, শিল্প এবং বিশ্বব্যাপী মানুষের কাছে জ্বালানির একটি প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আমাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করে।’

এদিকে আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০২৪ সালের মার্চ মাসের শেষে তাদাউলের (সৌদি আরবের শেয়ারবাজার) তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির নিট মুনাফা ১৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।

সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, নিট আয় কম হওয়া সত্ত্বেও, আরামকো বছরের প্রথম তিন মাসের জন্য ২০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার মৌলিক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ১০ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের চতুর্থ পারফরম্যান্স-লিঙ্কড লভ্যাংশ বিতরণ করবে বলে আশা করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোম্পানিটি ২০২৪ সালে ১২৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারের মোট লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বলে আশা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ৮১ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের মৌলিক লভ্যাংশ এবং ৪৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি পারফরম্যান্স-লিঙ্কড লভ্যাংশ।

নাসের জানিয়েছেন, সৌদি আরামকো প্রথম প্রান্তিকে তাদের গ্যাস ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলও চালিয়ে যাচ্ছি এবং প্রথম প্রান্তিকে আমাদের গ্যাস ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং আমাদের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ধারাবাহিকভাবে মূল্য প্রদানের ওপর আমাদের লক্ষ্য ঠিক রেখে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত ডাউনস্ট্রিম ভ্যালু চেইন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি।

আরব নিউজ জানায়, ফেব্রুয়ারিতে এনার্জি জায়ান্টটি সৌদি আরবের জাফুরাহ ফিল্ডে অতিরিক্ত ১৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট স্ট্যান্ডার্ড এবং ২ বিলিয়ন ব্যারেল ঘনীভূত গ্যাস আবিষ্কার করেছে।

বিবৃতিতে এ ছাড়া উল্লেখ করা হয়েছে, ফাদিলি গ্যাস প্ল্যান্টের সম্প্রসারণের জন্য ৭ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রকৌশল, সংগ্রহ ও নির্মাণ চুক্তি করেছে সৌদি আরামকো। এই চুক্তির লক্ষ্য হলো প্রতিদিন ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফুট গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

এর বাইরে ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে চিলির খুচরা বিক্রেতা এসম্যাক্সের শতভাগ ইক্যুইটি অংশীদারত্ব অধিগ্রহণ করেছে আরামকো। এই অধিগ্রহণ কোম্পানির ডাউনস্ট্রিম কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করেছে।

নাসের বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, আমি আশা করি আমাদের পোর্টফোলিও বিকশিত হতে থাকবে। কারণ আমরা জ্বালানি পরিবর্তনে একটি অবদান রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, যা জলবায়ু চ্যালেঞ্জের সমাধান দেবে। একই সঙ্গে এটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দেয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরামকো সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির জন্য বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে। দেশটি এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বলেছে, তেল ও গ্যাসসহ বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মিশ্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ ছাড়া কোম্পানিটি আরও উল্লেখ করেছে যে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে তারা মোট ১ কোটি ২৪ লাখ ব্যারেল তেলের সমতুল্য হাইড্রোকার্বন উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

টেকসই উন্নয়নের প্রতি আরামকোর প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে এনার্জি জায়ান্টটি ঘোষণা করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ গিগাওয়াট পর্যন্ত সৌর ফটোভোলটাইক এবং বায়ু প্রকল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলোর ব্যবহার বাড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে তাদের।

দিনাজপুরে ভুট্টা চাষ: ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
দিনাজপুরে ভুট্টা চাষ: ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক
জমি থেকে ভুট্টা সংগ্রহ করে শুকানোর জন্য স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ভুট্টা মাড়াইয়ের কাজ চলছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকরা।


দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া জানান, ১৫ দিন আগে জেলায় ভুট্টা কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। কৃষকদের সুবিধার জন্য জেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়েছে। এতে কৃষকরা স্বল্প সময়ের মধ্যে ভুট্টা মাড়াই কাজ শেষ করতে পারছেন। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে জেলার উৎপাদিতে ভুট্টা মাড়াই করে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন।

ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষক সোলাইমান আলী জানান, এ বছর ২ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে, ভুট্টা মাড়াই করে কাঁচা ভুট্টা জমি থেকেই ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। পাইকাররা জমি থেকে কাঁচা ভুট্টা কিনে তাদের চাতালে শুকাচ্ছেন। পাইকাররা শুকনো ভুট্টা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

ভুট্টা ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক জানান, প্রতি বছর শুকনো ভুট্টা মজুত করেন। মৌসুম শেষ হলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই ভুট্টার কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে যায়। তখন তিনি বিক্রি করেন। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত ভুট্টা শুকিয়ে মজুত করে রাখেন। বাজারে চাহিদা ও দাম বাড়লে ভুট্টা বিক্রি করেন। এভাবে ভুট্টা মজুত রেখে ব্যবসায়ী ও কৃষক উভয়ে প্রতি বছর লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছর জেলায় ভুট্টার চাষ বেড়েই চলছে। ভুট্টা একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকদের ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।’

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ৭৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১০০ হেক্টর বেশি।

বিরল উপজেলার ফরাক্কাবাঁধ গ্রামের ভুট্টাচাষি নাজমুল ইসলাম জানান, প্রথমে ভুট্টা চাষের জমিতে ২০ কেজি পটাস, ২৫ কেজি ফসফেট, ১০ কেজি জিপ সার, ১ কেজি বরন, ১ কেজি দানাদার ও ১ কেজি সালফার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জমি তৈরি করেন চাষিরা। পরে বিঘাপ্রতি ৩ কেজি ভুট্টার বীজ রোপণ করেন। এক মাসের মাথায় আইল বেঁধে বিঘাপ্রতি ২৫ কেজি ইউরিয়া, ২০ কেজি ডেপ ও ২ কেজি থিওভিট ছিটিয়ে খেতে পানি সেচ দেন তারা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ভুট্টা কাটা-মাড়াই করে থাকেন কৃষকরা। ভুট্টার বীজ রোপণ থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়। সূত্র বাসস