ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। আগেও বলেছি, এটার জন্য কিছু সময় লাগবে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা তাদের অবশ্যই সেই সময় দিচ্ছি। আমরা তাদের সব বিষয়কে সমর্থন দিচ্ছি।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চলে বৈঠক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের মতামত জানিয়েছি। যারা বাংলাদেশকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল তারাই এখন ভারতে অবস্থান করছে, আমাদের বিজয় ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা বাংলাদেশের বদনামের জন্য, এই সরকারকে বদনাম করার জন্য এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দুর্বল করার একটি প্রচেষ্টা।
সরকারকে সহায়তা করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের কর্তব্য, মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে মহলটি, যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছিল, তারা আবার বাইরে থেকে, এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়ে, সেখান থেকে বাংলাদেশের বিজয় নস্যাৎ করার চক্রান্ত করছে। দেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্যই সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এত মানুষ হত্যার পরও আওয়ামী লীগ এখনো বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলছে। আমরা বিশ্বাস করি সরকারের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমরা বিশ্বাস করি এই সরকারের উচিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা, কিন্তু খুনিদের সঙ্গে নয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।
মিজানুর রহমান সবুজ/এমএ/