ময়মনসিংহে ছেঁড়া টাকা দিয়ে সিগারেট না দেওয়ায় খুন । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

ময়মনসিংহে ছেঁড়া টাকা দিয়ে সিগারেট না দেওয়ায় খুন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪১ এএম
ময়মনসিংহে ছেঁড়া টাকা দিয়ে সিগারেট না দেওয়ায় খুন
তারাকান্দা থানা

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় সিগারেট কিনে টাকা দেওয়ার সময় ছেঁড়া নোট না নেওয়ায় এক দোকানদারের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ওই দোকানদারও।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।    

নিহতের নাম ইকবাল হোসেন (২২)। তিনি দিগারকান্দা গ্রামের সাদেক মুন্সির (৬২) ছেলে।

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, মাঝিয়ালি বাজারে মুদি দোকানদার সাদেক মুন্সিকে দোকানের কাজে সহায়তা করতেন ছেলে ইকবাল। রাত পৌনে ৯টার দিকে সিগারেট কিনতে যান স্থানীয় ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি ১০ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যান ফারুক। 

পরে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজকে ডেকে এনে দুই ভাই ইকবালকে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় ইকবালও তর্ক করতে থাকলে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই ইকবালকে ছুরিকাঘাত করে। তখন তার বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইকবাল। 

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।

ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই পালিয়েছে ফারুক ও পারভেজ। তাদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৩৭৯ পিস ইয়াবা, ৩২ গ্রাম হেরোইন, ৩ কেজি ৮৩০ গ্রাম গাঁজা ও ৭৯ বোতল দেশি মদ জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা দায়ের হয়েছে।

বাড়ি থেকে ডেকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
বাড়ি থেকে ডেকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা
ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় মোটরসাইকেল চালক আবুল কাসেম (৩৫) রাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন। রাত দুইটার দিকে একদল সন্ত্রাসী তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায় পাহাড়ে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে গর্জনিয়া ইউনিয়নের নারিমমা ঝিরি পাহাড় থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পান কাঠুরিয়ারা। পরে পরিবার গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত কাসেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমেদের ছেলে। পেশায় তিনি মোটরসাইকেল চালক।

নিহত কাসেমের ছোট ভাই শহিদুল্লাহ খবরের কাগজকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে ৪০ জনের মতো সন্ত্রাসী তাকে গরু খোঁজে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সকাল ৬টার দিকে নারিমমা ঝিরি পাহাড়ে কাঠুরিয়ারা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। তারপর আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও ওই পাহাড়ে পুলিশের একটি টিম আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/অমিয়/

বিদেশ থেকে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
বিদেশ থেকে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবন। ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর পরই গ্রেপ্তার করা হয় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজকে।

অভিবাসন পুলিশ তাকে আটকের পর মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে তুলে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির এসব তথ্য জানান।

এসআই নিজামউদ্দিন বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দোতলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেক খাবারের দোকান। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন না ও ৮ শিশু ছিল। তারা সবাই খাবার খেতে ভবনটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

‘এসএনসি’ নামে নকল স্যালাইন তৈরি, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
‘এসএনসি’ নামে নকল স্যালাইন তৈরি, গ্রেপ্তার ৬
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) সঙ্গে মিল রেখে ‘এসএনসি’ নামে তৈরি করা হতো নকল স্যালাইন। তাপপ্রবাহের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষকে টার্গেট করে দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই নকল স্যালাইন ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। এই ধরনের নকল স্যালাইন পানে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাসহ মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে জুসসহ নানা ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করত চক্রটি। এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ উত্তর।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৩৮), শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), মোরশেদুল ইসলাম (৫১), সবুজ মিয়া (২৩), আরিফ (২৩) ও হানিফ মিয়া (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল স্যালাইনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির মেশিন, স্যালাইন, নকল কোমল পানীয়, নকল ড্রিংকো উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, নকল পণ্য তৈরি চক্রটি একদিকে পুরান ঢাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া স্যালাইনের নকল প্যাকেট বানাচ্ছে, অপর দিকে লবণ চিনি দিয়ে স্যালাইন বানাচ্ছে। কোটি কোটি নকল স্যালাইন তৈরি করে তারা রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে ধান কাটার সিজন, আরেক দিকে নির্বাচন। ফলে বাজারে স্যালাইনের প্রচুর চাহিদা। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা নকল স্যালাইনের পাশাপাশি ভেজাল কোমল পানীয়, ম্যাংগো জুস তৈরি করত। নামিদামি ব্র‍্যান্ডের মোড়কে কেমিক্যাল দিয়ে শিশুখাদ্য, কোমল পানীয়, ম্যাংগো জুস তৈরি করত।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, চক্রের সদস্যরা আগে বিভিন্ন ব্যবসা করত। আনোয়ার হোসেন এক সময় সেলুন ব্যবসা করত, হানিফ মিয়া বিক্রি করতো শনপাপড়ি। তারা এখন নকল টেস্ট স্যালাইনের কারখানার মালিক। পুরান ঢাকার কদমতলি থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় এসব নকল পণ্য তৈরি করা হতো। এই চক্রের মূল হোতা হলেন আনোয়ার হোসেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, এই চক্রটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নকল পণ্য তৈরি করে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ডিলার নিয়োগ দিত। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার পরেও তাদের অনেক টাকা লাভ হতো। আসলে তাদের তেমন কোনো উৎপাদন খরচ নেই। কোনো ভ্যাট দিতে হয় না। সোডিয়াম, স্যাকারিন, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার, মানহীন কেমিক্যাল দিয়ে এসব ভেজাল পণ্য তৈরি করতেন আনোয়ার। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতেন শাহনেওয়াজ ও মোর্শেদ। শাহনেওয়াজ প্রাণ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর। প্রাণ কোম্পানির পাশাপাশি নকল শিশুখাদ্য বিক্রি করতেন তিনি। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ২৪

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ২৪
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা করা হয়েছে। অভিযানে ৪ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা, ১৭৬ গ্রাম হেরোইন ও ১৭ কেজি ৪০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।