উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৯ এএম
উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত সৈয়দুল আমিন

কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার নাম সৈয়দুল আমিন (৪৫)। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ক্যাম্প-২/ডব্লিউর ডি ব্লকে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।

নিহত সৈয়দুল আমিন কুতুপালং ক্যাম্পের ক্যাম্প-২/ডব্লিউর এ-১১ ব্লকের আশরাফ আলীর ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের মাঝি (নেতা)।

ওসি মো. শামীম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ক্যাম্প-২/ডব্লিউর ডি-ব্লকের মসজিদের সামনে পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। পরে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে উখিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মুহিবুল্লাহ/অমিয়/

বিদেশ থেকে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
বিদেশ থেকে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবন। ছবি : খবরের কাগজ

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গতকাল মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর পরই গ্রেপ্তার করা হয় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্তোরাঁর মালিক সোহেল সিরাজকে।

অভিবাসন পুলিশ তাকে আটকের পর মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে তুলে দেয়। অগ্নিকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

বুধবার (৮ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির এসব তথ্য জানান।

এসআই নিজামউদ্দিন বলেন, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের আটতলা ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের দোতলায় ছিল বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া ভবনটির অন্যান্য তলায়ও ছিল অনেক খাবারের দোকান। সাপ্তাহিক ছুটির আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ভবনটিতে ছড়িয়ে পড়া আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন না ও ৮ শিশু ছিল। তারা সবাই খাবার খেতে ভবনটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

‘এসএনসি’ নামে নকল স্যালাইন তৈরি, গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
‘এসএনসি’ নামে নকল স্যালাইন তৈরি, গ্রেপ্তার ৬
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) সঙ্গে মিল রেখে ‘এসএনসি’ নামে তৈরি করা হতো নকল স্যালাইন। তাপপ্রবাহের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষকে টার্গেট করে দেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে এই নকল স্যালাইন ছড়িয়ে দিয়েছে একটি চক্র। এই ধরনের নকল স্যালাইন পানে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যাসহ মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে জুসসহ নানা ভেজাল শিশুখাদ্য তৈরি করে সারা দেশে সরবরাহ করত চক্রটি। এই চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ উত্তর।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৩৮), শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), মোরশেদুল ইসলাম (৫১), সবুজ মিয়া (২৩), আরিফ (২৩) ও হানিফ মিয়া (৩০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল স্যালাইনসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরির মেশিন, স্যালাইন, নকল কোমল পানীয়, নকল ড্রিংকো উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, নকল পণ্য তৈরি চক্রটি একদিকে পুরান ঢাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া স্যালাইনের নকল প্যাকেট বানাচ্ছে, অপর দিকে লবণ চিনি দিয়ে স্যালাইন বানাচ্ছে। কোটি কোটি নকল স্যালাইন তৈরি করে তারা রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে ধান কাটার সিজন, আরেক দিকে নির্বাচন। ফলে বাজারে স্যালাইনের প্রচুর চাহিদা। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা নকল স্যালাইনের পাশাপাশি ভেজাল কোমল পানীয়, ম্যাংগো জুস তৈরি করত। নামিদামি ব্র‍্যান্ডের মোড়কে কেমিক্যাল দিয়ে শিশুখাদ্য, কোমল পানীয়, ম্যাংগো জুস তৈরি করত।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, চক্রের সদস্যরা আগে বিভিন্ন ব্যবসা করত। আনোয়ার হোসেন এক সময় সেলুন ব্যবসা করত, হানিফ মিয়া বিক্রি করতো শনপাপড়ি। তারা এখন নকল টেস্ট স্যালাইনের কারখানার মালিক। পুরান ঢাকার কদমতলি থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় এসব নকল পণ্য তৈরি করা হতো। এই চক্রের মূল হোতা হলেন আনোয়ার হোসেন।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, এই চক্রটি বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নকল পণ্য তৈরি করে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ডিলার নিয়োগ দিত। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার পরেও তাদের অনেক টাকা লাভ হতো। আসলে তাদের তেমন কোনো উৎপাদন খরচ নেই। কোনো ভ্যাট দিতে হয় না। সোডিয়াম, স্যাকারিন, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার, মানহীন কেমিক্যাল দিয়ে এসব ভেজাল পণ্য তৈরি করতেন আনোয়ার। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতেন শাহনেওয়াজ ও মোর্শেদ। শাহনেওয়াজ প্রাণ কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর। প্রাণ কোম্পানির পাশাপাশি নকল শিশুখাদ্য বিক্রি করতেন তিনি। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ২৪

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪০ পিএম
ডিএমপির অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ২৪
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) ডিএমপির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা করা হয়েছে। অভিযানে ৪ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা, ১৭৬ গ্রাম হেরোইন ও ১৭ কেজি ৪০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়েছে।

ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ১
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের উপকমিশনার তারেক আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপকমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, ‘২০১৪ সালে আমিনুলের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে এক নারীর পরিচয় হয়। এরপর তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বে গড়ায়। এরপর কৌশলে মেয়েটির ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নেন আমিনুল। তারপর ওই নারীর মেসেঞ্জার থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকা ভিডিও ও ছবি আমিনুল সংগ্রহ করেন। পরে তিনি ওই নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে আমিনুল ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। আমিনুল নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। একপর্যায়ে ভিকটিম টাকা দিতে এবং আপত্তিকর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমিনুল ওই নারীর ছবি ও ভিডিও তার স্বামী এবং স্বজনদের ইনবক্সে পাঠাতে থাকেন।’

উপকমিশনার আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় গত ১৮ এপ্রিল ভুক্তভোগী রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ঘুষের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগ, ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০১:০৩ পিএম
ঘুষের বিনিময়ে কনস্টেবল নিয়োগ, ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

ঘুষ নিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার মামলায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপর চার আসামি হলেন কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমান।

গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানান, গত রবিবার কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ চার্জশিট অনুমোদন হয়। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে শিগগিরই এ চার্জশিট সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হবে।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৯ সালে মাদারীপুরে ঘুষের বিনিময়ে ৫৪ জন কনস্টেবল নিয়োগ দিয়ে অন্তত দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঘটনা বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৮ মে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৬ হাজার ৮০০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৮৮০ জন নারীসহ মোট ৯ হাজার ৬৮০ জন পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা রেঞ্জের অধীন মাদারীপুর জেলায় সাধারণ পুরুষ ১৬ জন ও সাধারণ নারী ৩ জন এবং বিশেষ কোটায় ১৫ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীসহ মোট ৫৪ জন কনস্টেবল নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। পরে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। অপর দুজন সদস্য হলেন মাদারীপুর জেলার তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম ও গোপালগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যাসহ কোটাভিত্তিক উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ছকের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২২ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজির (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্লানিং-২) কাছে পাঠায় মাদারীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়। ছক অনুযায়ী মাদারীপুর থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম পরীক্ষা বা প্রথম ধাপ হিসেবে ২০১৯ সালের ২২ জুন শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিলেন ৯৯৩ জন। এর মধ্যে ৩৬৪ জন শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় ৯৯৩ প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ ৮৩৫ জন এবং নারী প্রার্থীর ১৫৮ জন। এদের মধ্যে ৩০৫ জন পুরুষ এবং ৫৯ জন নারী প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পরীক্ষা বা দ্বিতীয় ধাপ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় পরদিন ২৩ জুন। এতে ইংরেজি অংশের প্রশ্ন (প্রশ্নপত্রের ৪ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্ন) প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন সুব্রত কুমার হালদার।

একই বছর ২৬ জুন মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত ফলের ভিত্তিতে ৫৪ জন পুলিশ কনস্টেবলের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছয়টি ধাপে জব্দ করে পুলিশ বিভাগ। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সুব্রত কুমার হালদারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত বছর ৫ জুলাই মামলা করা হয়। তদন্তে উপযুক্ত তথ্য পেয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করা হয়। উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় মাদারীপুর ইদ্রিস শিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া হায়দার ফরাজীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।