ঢাকা ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৪ দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘের মহাসচিব

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
৪ দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘের মহাসচিব
বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দি‌নের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

প্রায় সাত বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর।

এবারের সফরে আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট। এ ছাড়া মানবাধিকার ইস্যুও গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সূচি অনুযায়ী শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মহাসচিবের সঙ্গে (হোটেলে) প্রথমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার দপ্তরে বৈঠক করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

বৈঠক শেষে তারা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে একসঙ্গে কক্সবাজার যাবেন। সেখান থেকে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যাবেন। রোহিঙ্গা শিবিরে জাতিসংঘের হয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থা নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবকে ব্রিফ করবেন। শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের পর রোহিঙ্গা ও পবিত্র রমজানের প্রতি সংহতি জানিয়ে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অন্তত এক লাখ রো‌হিঙ্গা শরণার্থীর স‌ঙ্গে ইফতার কর‌বেন তিনি। রাতে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে যাবেন মহাস‌চিব। সেখানে জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর দুপুরে হোটেলে ফিরে গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন গুতেরেস। সেখানে বাংলাদেশের যুবসমাজ ও নাগরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন মহাস‌চিব। এদিন সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।

আগামী ১৬ মার্চ সকালে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিবের।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

এমএ/

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার কমেছে: আইএলও-ইউনিসেফ

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ০২:০০ এএম
বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার কমেছে: আইএলও-ইউনিসেফ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও ইউনিসেফ।

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ২০২২ সালে কমে হয় ২ দশমিক ৭ শতাংশে। এভাবে প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরে এসেছে।

‘চাইল্ড লেবার: গ্লোবাল এস্টিমেটস ২০২৪, ট্রেন্ডস অ্যান্ড দ্য রোড ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত এক দশকে স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সম্প্রসারণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। যদিও শিশুশ্রম সম্পূর্ণ নির্মূলের পথটি এখনো দীর্ঘ, তবু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শিশুদের সরিয়ে আনার ইতিবাচক প্রবণতাটি প্রশংসার দাবিদার।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৩ সালের তুলনায় বাংলাদেশে ক্ষতিকর কাজে নিযুক্ত শিশুদের অনুপাতও স্থিতিশীল রয়েছে। এই হার ৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে সামান্য বেড়ে ২০২২ সালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। তবে সামগ্রিক শিশুশ্রমের হার ৮ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনকে স্বীকৃতি দিই। এটি প্রমাণ করে, সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর যৌথ প্রচেষ্টা, সামাজিক সচেতনতা এবং পরিবারের সহায়তা শিশুশ্রম নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো শিশুশ্রমের মোট পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকায় আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়নি। সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে, শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

বিশ্বব্যাপী কৃষি খাতেই শিশুশ্রমের হার সবচেয়ে বেশি, যা ৬১ শতাংশ। বাংলাদেশেও অনানুষ্ঠানিক খাত, বিশেষ করে কৃষি, গৃহস্থালি ও হালকা শিল্পে শিশুরা নিযুক্ত থাকে। এসব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাঝুঁকি বেশি এবং শিশুদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।’

আইএলও বাংলাদেশ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গুঞ্জন ডালাকোটি বলেন, ‘শিশুশ্রমের হার কমলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম বন্ধে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ ও ১৮২-এর বাস্তবায়ন আরও জোরদার করতে হবে।’

প্রতিবেদনে আইএলও এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের চিহ্নিত করে সহায়তা প্রদান, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, তরুণদের জন্য সম্মানজনক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সাপ্লাই চেইনে শিশুশ্রম নির্মূলে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে হলে সরকার, সুশীলসমাজ, গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। কারণ শিশুশ্রম কেবল সামাজিক সমস্যা নয়, এটি একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়। মানবিক এবং নীতিগতভাবে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করাই হবে এ সমস্যা সমাধানের মূল চাবিকাঠি।

২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১২:১৫ এএম
২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত

নতুন করে আবার আলোচনায় করোনা সংক্রমণ। প্রতিদিনই দেশে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তা বেশি না। থাইল্যান্ড ও ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নেওয়া হচ্ছে আগাম প্রস্তুতি।

কিন্তু এখনো সব বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়নি। নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ কিটও। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে- দ্রুত সময়ের মধ্যে কিট পৌঁছে দেওয়া হবে। জেলা-উপজেলা পর্যায়েও যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আমাদের খুলনা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জেলায় করোনা শনাক্তের কোনো ধরনের কিট নেই। ফলে বিভাগের কোথাও করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার মেশিনগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহৃত না হওয়ায় সেগুলো এখন কী অবস্থায় তা বিভাগীয় পর্যায় থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে কয়েকটি হাসপাতালে এরই মধ্যে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য আলাদা শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।

খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম গাজী জানান, পার্শ্ববর্তী দেশে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের দেশেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ২০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, খুলনা বিভাগের কোথাও এখনো করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। কিটের চাহিদা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে কিছু কিট রয়েছে সেখানে টেস্ট করানো যাবে। সব জেলা হাসপাতালে নতুন করে করোনার চিকিৎসাব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। তবে এখনই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

রাজশাহী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ দিনে অন্তত ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২০২০ সালের শুরুতে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে টানা আরটি-পিসিআর পরীক্ষা চালু ছিল। যদিও মাঝে দীর্ঘসময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি, তবে চলতি বছরের ২৭ মে ফের নতুন করে একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ২৫টি নমুনা পরীক্ষা হয় এবং গত ১৫ দিনে মোট ৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ২ জুন এক দিনে ১৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনই করোনা পজিটিভ ছিলেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দকার মো. ফয়সল আলম বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত কিট মজুত রয়েছে। যদি বড় পরিসরে সংক্রমণ না হয়, তবে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। এখনো তেমন আতঙ্কের কিছু নেই। শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলো খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়।’

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, রামেক হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগী ভর্তি নাই। গত সপ্তাহে একজন ভর্তি হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব কনসালটেন্ট এস এম ইকরাম হোসাইন তাকে জানান, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিড আরটি-পিসিআর টেস্ট সেবা বন্ধ রয়েছে। কারণ মে ২০২৫ থেকে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের অধীন ১০০৪ জন জনবল বকেয়া বেতন ও চাকরির রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এর ফলে দেশের প্রায় সব সরকারি আরটি-পিসিআর ল্যাব অচল হয়ে পড়ে আছে। নষ্ট হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সরকারি যন্ত্রপাতি।

তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের এই মিথ্যাচার ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এবং বকেয়া বেতন আদায় ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বর্তমানে উক্ত প্রকল্পের জনবল কর্মবিরতি পালন করছে।
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এতে নড়েচড়ে বসেছে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি।

জেলার গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির গত ৯ জুন কোভিড ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি আছেন। তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায়। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি রিএজেন্ট সংকটের কারণে।

সিলেট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বিকেল পর্যন্ত সিলেটে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।

সারা দেশে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ২৭১

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ১২ জুন ২০২৫, ১০:০৬ পিএম
সারা দেশে ৭ দিনে গ্রেপ্তার ২৭১
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে গত ৭ দিনে অভিযান চালিয়ে ২৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। 

৫ জুন থেকে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) পর্যন্ত সেনা ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ মোট ২৭১ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৯১টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ৩৮টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনী পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী পশুর হাটে সার্বক্ষণিক নজরদারি, নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ঈদ যাত্রাকে সহজ করতে নির্বিঘ্নে সড়কে যান চলাচল নিশ্চিতকরণ ও টিকিট কালোবাজারি রোধকল্পে সেনাবাহিনী বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন: আসিফ নজরুল

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন: আসিফ নজরুল
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। 

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কয়েক দিন আগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায়নবিষয়ক ভুল সংবাদের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এই ঝড়ের অন্যতম শিকার হয় আমার পরিবারের সদস্যরা। দু-একজন তাদের ধিক্কার দিতে থাকে, কীভাবে এই আইন করলাম আমি! তারা বলে: এটা তো মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় করেছে! কিন্তু সমালোচকরা নাছোড়বান্দা! না, আইনটিতে তো লেখা আছে আইন মন্ত্রণালয়ের নাম।’

বুধবার(১১ জুন) রাতে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জানি, এরকম বহু শিক্ষিত মানুষ আছে সমাজে। তাদের কাছে সবিনয়ে বলি, অন্য যেকোনো মন্ত্রণালয় যে অধ্যাদেশই করুক না কেন, তা জারি করতে হয় আইন মন্ত্রণালয়কে। আমাদের রুলস অব বিজনেস অনুসারে এটাই বিধান। পৃথিবীর প্রায় সব দেশে এটাই হয়। বাংলাদেশে এনবিআর নিয়ে যে আইনটা (অধ্যাদেশ) হয়েছে, তা করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হওয়ার পর এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা নিয়ে যে আইন, তাও করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু এটা জারি করতে হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়কে। 

অধ্যাদেশ আকারে যত আইন অতীতে হয়েছে সেগুলো আইন মন্ত্রণালয় জারি করেছে। ভবিষ্যতে যেসব অধ্যাদেশ হবে সেগুলোও আইন মন্ত্রণালয়কে জারি করতে হবে। এ জন্য গেজেটের প্রথম পাতায় আইন মন্ত্রণালয়ের নামই থাকবে। কিন্তু তার মানে এটি নয়, যে আইন মন্ত্রণালয় আইনগুলো করেছে বা এটি আইনগুলোর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয় নিজস্ব উদ্যোগে আইন করেছে কেবল এ মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে। যেমন, দেওয়ানি কার্যবিধির সংশোধনী আইন বা উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত আইনটি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। কিন্তু অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ের কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের কোনো ক্ষমতা আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। আছে শুধু জারি করার দায়িত্ব। এটি স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। 
২. 
আইন তো তবু কিছুটা খটমটে বিষয়। কিন্তু সাদামাটা, সহজবোধ্য যেকোনো বিষয়েও আমাকে নিন্দা করার প্রবণতা আছে সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের যেকোনো কাজের সমালোচনা যদি আমাকে করা হয়, তাহলে যেকোনো ভালো কাজের প্রশংসাও আমাকে কেন করা হয় না? 

সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে বিদেশে গেলেন এই দায় যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দেওয়া হয়, তাহলে দ্রব্যমূল্য যে স্থির রয়েছে এই প্রশংসাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না দিয়ে আমাকে দিতে হবে। কিন্তু এর কোনোটিই আসলে করা ঠিক নয়। 
আমার কাজের জন্য নিন্দা/প্রশংসা আমাকে করবেন, অন্যের কাজের জন্য অন্যকে। যেকোনো কাজের সামগ্রিক দায়-দায়িত্ব আমাদের গোটা সরকারের। কিন্তু যদি নির্দিষ্টভাবে একজন উপদেষ্টাকে দায়ী করা হয়, তাহলে সেটি শুধু তার মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বিষয়ে করা উচিত। 
৩.
যারা নিন্দা করেন, কুৎসা রটান, এর মধ্যে হয়তো কোনো আনন্দ খুঁজে পান। কিন্তু এটা অন্য কাউকে এমন কষ্ট দিতে পারে, যা আপনি নিজে কখনো বহন করতে চাইবেন না। এটি মনে রাখা ভালো। 

আমি জানি ‘অপরের মুখ ম্লান করে দেওয়া ছাড়া প্রিয় সাধ নেই’- এমন মানুষ আছে সমাজে। যারা এমন না, তাদের কাছে অনুরোধ, কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন।

আল্লাহ আছেন, আমাদের সবাইকে একদিন জবাব দিতে হবে।”
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘নিন্দা’ শিরোনামে এই পোস্ট দেন। 

ভারতে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
ভারতে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় তারেক রহমানের শোক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের ২৪২ জন আরোহী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করা একটি বিমান ভারতের আকাশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।’

তিনি বলেন, ‘যারা এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রতি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তারেক রহমান বলেন, ‘এই শোকের সময়ে আমরা সবাই যেন তাদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক প্রার্থনা ও সহানুভূতি নিবেদন করি।’

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ২৪০ জনেরও বেশি আরোহী নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের সব আরোহী নিহত হন। সূত্র: বাসস

সুমন/