ঢাকা ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা বিদেশে বসেও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন: ইশরাক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
শেখ হাসিনা বিদেশে বসেও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন: ইশরাক
ছবি : খবরের কাগজ

শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘তারা ষড়যন্ত্র করে দেশে নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে ষড়যন্ত্র করছে, আর দেশে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। কোনো দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ।’ 

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা ও তাদের বিচার দাবিতে’ বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন। 

তিনি বলেন, ‘একদিকে ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল, আরেকদিকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। আগামীতে কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসী কুচক্রী মহল কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। কঠোর হাতে রুখে দেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনাদের রেখে পালিয়ে গেছে, আপানারা এখন তার ষড়যন্ত্রে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে কী করবেন। অতীতে আওয়ামী লীগের লোকজন দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করেছেন। আগামীর বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না।’

ব্যবসায়ীদের নির্ভয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান আপনাদের পাশে আছেন। আর আপনাদের সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য বলেছেন। কোনো দলীয় পরিচয়ে যদি কেউ চাঁদা দাবি করে তাহলে আপনারা সবাই মিলে তা রুখে দেবেন।’ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর পর দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে সফলতা বা স্বাধীনতা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। গত ১৫ বছরে হওয়া সব গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’ খুনীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারের দাবিতে সবাইকে মাঠে থাকার আহ্বান জানান বিএনপির এই তরুণ নেতা।

পরে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদরঘাট এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ইশরাক হোসেন। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন ভূইয়াসহ স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত
বিএনপি (লোগো)

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কুষ্টিয়া ও মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেছে বিএনপি। শিগগিরই এই দুই জেলায় নতুন কমিটি ঘোষণা করবে দলটি।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এ ছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক হৃদয় আহমদ রাতুল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক বিন্তন হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সবুজ হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস হোসেন এবং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক এখলাছুজ্জামান ভূইয়াকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
বিএনপি নেতা দুলাল বহিষ্কার
রুহুল আমিন দুলাল

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি। 

এতে বলা হয়েছে, মানুষকে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড।

মিজানুর রহমান/সালমান/

রাষ্ট্র সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতি আশান্বিত : বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
রাষ্ট্র সংস্কারে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে জাতি আশান্বিত : বাংলাদেশ ন্যাপ
বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে তাতে জাতি আশান্বিত।’ 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ কথা বলেন। 

ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার ‘জাতি এবার ব্যর্থ হওয়ার কোনো অবকাশ আমাদের নেই। আমাদের সফল হতেই হবে’ মন্তব্যের প্রতি সহমত প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘এই অভিযানে রাষ্ট্র সংস্কারে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতি প্রচণ্ড রকমের হতাশায় নিমজ্জিত হবে। একই সঙ্গে আবারও কোনো স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদী শাসকের আবির্ভাব ঘটবে। সমগ্র দেশ ও জাতি কঠিন অন্ধকারে ধাবিত হবে।’

নেতারা বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের বার্তা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও জনআকাঙ্ক্ষার নির্বাচন প্রয়োজন হলেও চলমান ব্যবস্থায় তা আশা করা খুবই কঠিন। তাই বাংলাদেশে ফ্যাসিজম বা স্বৈরতান্ত্রিক শাসন পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রোধে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। প্রধান উপেদেষ্টার ভাষণে সেই পদক্ষেপের কথা শুনে জাতি অনেকটাই আশাবাদী।’

ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরির জন্য একটি পথরেখা ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন ও কমিশন প্রধানদের নাম ঘোষণা করে এসব কমিশনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা চূড়ান্ত করার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে আশাবাদী করেছেন। এই অবস্থায় বর্তমান সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে যে সহযোগিতার আহ্বান করেছেন দলগুলোর সেই সহযোগিতা করা উচিত।’ 

তারা বলেন, ‘শহিদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের পুরোপুরি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করে কোনো নির্বাচন জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না। প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তৈরির জন্য যে কাজ শুরু করেছেন তা শেষ করার জন্য যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত সময় দেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, দেশের আমূল সংস্কার এখন সময়ের দাবি এবং তা করতেই হবে। পতিত সরকারের ১৬ বছরে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। এসব নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য শুভ কোনো ফল বহন করবে না। রাষ্ট্র সংস্কারের পর দেশের মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত সরকার পাবার সুযোগ তৈরি হতে পারে। ’

নেতারা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের আলোকে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সূচনার অন্তত শুরু হোক। এই সংস্কার ছাড়া শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দ্রুত নির্বাচন হলে ভিন্ন মোড়কে আবার একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে যেতে পারে। সবাই মিলে পরস্পরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি সত্যিকারের সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের জন্য যেমন নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রয়োজন তেমনি রাষ্ট্রের জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সংস্কার প্রয়োজন। অন্যথায়, এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিরাট আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যেতে পারে।’

সালমান/

আর কোনো স্বৈরাচার যেন এদেশে ঘাঁটি বাঁধতে না পারে : মান্না

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
আর কোনো স্বৈরাচার যেন এদেশে ঘাঁটি বাঁধতে না পারে : মান্না
আলোচনা সভায় কথা বলছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি : খবরের কাগজ

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমরা সংস্কারের রাজনীতির দিকে যাচ্ছি। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা বদলানোর চেষ্টা করছি। দেশে যাতে আবার কোনো স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য বিধি-বিধান ঠিক করতে হবে, যাতে আর কোনো স্বৈরাচার এ দেশে ঘাঁটি বাঁধতে না পারে।’

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের জেলা কমিটির আয়োজিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দেশ পরিচালনাসহ, রাষ্ট্র সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে এই সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন মান্না। তবে সরকার যদি কোনো বিষয়ে ভুল করে তার সমালোচনাও করবেন বলে জানান তিনি। তবে এখনো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে নাগরিক ঐক্যের কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান তিনি। অচিরেই এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে বলে আশাবাদী মান্না।

তিনি বলেন, ‘অনেকেই এই সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সময় বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যা ঠিক হচ্ছে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় এই সরকারকে দেওয়া উচিত।’ তবে নির্বাচন পর্যন্ত সংস্কারের বিষয়গুলো নির্ধারণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংবিধানের যে ধারা বা অনুচ্ছেদগুলো একটি সরকারকে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দেয় তা বাতিল করতে হবে। এত বছর রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচাকে নামাতে পারেনি- যা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্ভব হয়েছে। এখন আর কোনো শক্তির রাজনীতি চলবে না। যারা করবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নাগরিক ঐক্যের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য শিউলি সুলতানা রুবি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশাহিদ আহাম্মেদসহ স্থানীয় নেতারা।

 

কতিপয় রাজনৈতিক দল আ.লীগের পথে হাঁটছে : জি এম কাদের

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
কতিপয় রাজনৈতিক দল আ.লীগের পথে হাঁটছে : জি এম কাদের
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি : খবরের কাগজ

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘আগে অনেকে অনেক কথা বলতে না পারলেও এখন দেশে কথা বলার পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’ 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় কৃষক পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জি এম কাদের। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মাহমুদুল হাসান জয় (১৪) নামের কিশোর হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে, আসামি করা হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার স্ত্রী শেরিফা কাদেরকেও। 

এ প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতা-কর্মীদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে মামলায় আসামি করা হচ্ছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। আমরা জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। জনগণ পরিবর্তন আশা করে বুকের রক্ত দিয়ে আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করেছে। কতিপয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পথেই হাঁটছে; যা পরিবর্তনের জন্য মোটেই সুখকর নয়। জনগণ এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না।’

পরপর তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসা জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন জি এম কাদের। 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে সখ্যতা থাকার পরেও আমরা তাদের অন্যায়-জুলুমের প্রতিবাদ করেছি। দেশের জনগণকে সুবিধাভোগী ও নির্যাতিত এই দুইভাগে ভাগ করার অপরাজনীতি তৈরি করা হচ্ছিল, আমরাই প্রথম তা তুলে ধরে বিরোধিতা করেছিলাম। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম। যার ফলশ্রুতিতে আমাকে অন্যায়ভাবে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

জাপার অবস্থান ব্যাখ্যা করে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০২৪ সালে বিভিন্ন টালবাহানা করে আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার অঙ্গীকার করেও নির্বাচনে তা রক্ষা করা হয়নি। আমরা নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন হতো না বা নির্বাচন বৈধতা পেত না এই রকম পরিস্থিতি ছিল না।’

জি এম কাদের বলেন, ‘জাতি এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একটা বিশাল পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আমাদের জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের নমুনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে আমরা রাজনীতি কী করছি, অতীতে কী করেছি এবং ভবিষ্যতে কী করব তার একটা ধারণা থাকা দরকার।’

জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন চাকলাদারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, মো. মোস্তফা মহসিনসহ আরও অনেকে। 

জয়ন্ত সাহা/সালমান/