২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১০০ এর অধিক নেতা-কর্মী নিহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
তিনি বলেন, দুনিয়া কাঁপানো ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে অন্য কোনো সংগঠনের এত নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে কেউ দেখাতে পারেনি। জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের প্রথম শহিদ ওয়াসিমকে আমরা ভুলে যাইনি। ৫ হাজারের অধিক নেতা-কর্মীকে সেসময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বিশ্বাস করে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সে আন্দোলন গত ৫ আগস্ট তার প্রাথমিক ফলাফল পেয়েছে। ৫ আগস্টের পূর্বে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সংগঠন ছিল ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন নেতা-কর্মী এখন পর্যন্ত গুম রয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশের সূচনা হয়েছে। ২১ শতক উপযোগী হিসেবে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে জাতীয়তাবাদ ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারেক রহমান। এ লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আগে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর সব চাপিয়ে দিতো। এখন শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবিষ্যতে ছাত্রদলের রাজনীতি পরিচালিত হবে।
এসময় নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা দাবি জানাতে চাই, খুনী ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, সহসভাপতি আজিমুল হাসান চৌধুরী, সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লত পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান হিমেল, মো. মাহমুদুল হাসান খান, সুমন সর্দার, জাফর আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আরেফিন, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, দপ্তর সম্পাদক সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগসহ শাখা ছাত্রদলের অসংখ্য নেতা-কর্মী।
মাহফুজ/এমএ/