
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারের পরে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের মুর্যাল। এ ছাড়া একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম থাকায় ভেঙে ফেলা হয়েছে সেই নামফলক। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গেটে ‘খুনি হাসিনার পাবলিক টয়লেট’ লিখে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত জেলার সদর, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলায় এই ঘটনাগুলো ঘটে।
এর আগে বুধবার রাতে জেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের ছবি হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে একদল ছাত্র-জনতা। পরে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের মূল গেটের ওপরে স্প্রে করে কালো রং দিয়ে লিখেন, ‘হাসিনার জেলা পাবলিক টয়লেট’। পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের অর্ধভাঙা দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার বোদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া উপজেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সড়কের পাশে থাকা ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে জেলার আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু ডাংগীর হাট সরকারি কলেজের পঞ্চগড়-আটোয়ারী সড়কের পাশে থাকা কলেজ গেটের নাম ফলকের ‘বঙ্গবন্ধু’ অংশটি ভেঙে ডাংগীর হাট সরকারি কলেজ অংশটি রাখা হয়। এ সময় গেটের পাশে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেন তারা।
পরে তারা কলেজের একাডেমিক ভবনের মূল গেটের ওপরে নামফলকের অংশে ‘বঙ্গবন্ধু’ অংশটি ভেঙে ফেলেন। তবে জেলার তেঁতুলিয়া ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় ভাঙচুরের কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, এমনকি কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কোনো ঘটনা ঘটেনি।