সংলাপ লিখন
সংলাপ লিখন-২: বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুই বন্ধুর কথোপকথন রচনা করো।
উত্তর: তন্ময়: শুভ সকাল, পিয়াল। কখন এসেছ?
পিয়াল: শুভ সকাল তোমাকেও। আজ ভোর ৫টায় এসেছি। তা, তুমি কেমন কাটালে নববর্ষের দিন।
তন্ময়: খুব ভালো কেটেছে। বাড়িতে অনেক অতিথি এসেছিল। তাদের সঙ্গে বেশ মজারই সময় কেটেছে। তা তুমি ঢাকায় কেমন নববর্ষ উদযাপন করলে?
পিয়াল: আমারও বেশ আনন্দে কেটেছে। ভোর ৬টায় ছোট খালার ডাকে ঘুম ভাঙে। তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে পান্তা ইলিশ খেলাম। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে আমি, খালা, খালু, খালাতো বোন রাইসা বেরিয়ে পড়লাম রমনা বটমূলের উদ্দেশে।
তন্ময়: কয়টায় সেখানে পৌঁছালে? তারপর কোথায় গেলে?
পিয়াল: রাস্তায় যানজট না থাকায় সকাল সোয়া ৮টায় সেখানে পৌঁছালাম। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনকেন্দ্রে গেলাম। সেখানে থেকে পৌঁছালাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে।
তন্ময়: এখান থেকেই তো মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়, তাই না?
পিয়াল: হ্যাঁ, আমরা সকাল ১০টায় বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিই। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, নারী নির্যাতন, মা ও শিশুর নিরাপত্তা, রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রভৃতি দিক নানা প্রতীকে উঠে এসেছিল। আমি খালুকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আমাকে আরও সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন।
তন্ময়: আর কোথাও যাওনি?
পিয়াল: হ্যাঁ, গিয়েছিলাম। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে অনুষ্ঠিত বাউলসংগীত শুনলাম। তারপর কিছুক্ষণ বেড়িয়ে মাটির হাঁড়ি, পুতুলসহ দেশীয় ঐতিহ্য বহন করে এমন কিছু পণ্য কিনলাম এবং রোদের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় ফিরলাম।
তন্ময়: আমি তোমার মতো অত কিছু দেখতে পাইনি, তবে দাদুর মুখে নববর্ষ পালনের নানা ইতিহাস জানতে পেরেছি। যেমন- সম্রাট আকবরের নববর্ষের নামকরণ, পালন করা, তারপর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশের নববর্ষ পালনের নানা ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারি। তারপর এ দিনটির সঙ্গে বাঙালি জাতির সম্পর্কের বিষয়ে ধারণা লাভ করি।
পিয়াল: সত্যিই অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে নববর্ষ আজ আমাদের জাতীয় চৈতন্যের ধারক। তাই মহাসমারোহে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এদিন পালন করুক, এটাই প্রত্যাশা রাখি।
তন্ময়: পিয়াল আজ তবে চলি। এই নিয়ে পরে আরও কথা হবে। আমরা ইতিহাস পড়ে আরও জানতে পারব। ভালো থাকো।
পিয়াল: তুমিও ভালো থাকো। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন : ১টি সংলাপ লিখন, ১ম পর্ব, এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র
সংলাপ লিখন-৩: খেলাধুলা জীবনের একটি অংশ। এ নিয়ে রাকিব ও তুহিন দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করো।
উত্তর: রাকিব: শুভ অপরাহ্ন। কোথায় যাচ্ছ তুহিন?
তুহিন: খেলাধুলা করতে স্কুল মাঠে।
রাকিব: সে কী! পরশু দিন অঙ্ক পরীক্ষা অথচ এখন খেলতে যাচ্ছ।
তুহিন: কেন? খেলাধুলা তো জীবনেরই একটা অংশ। আর খেলাধুলা করলে পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হয় না।
রাকিব: কিন্তু মা তো আমাকে একদিনও খেলতে যেতে দেন না।
তুহিন: খেলাধুলা করলে শরীরচর্চা হয়। আমরা সুস্থ থাকি। মনও সজীব হয়। আর সুস্থ দেহে সুস্থ মনে লেখাপড়াও ভালো হয়। তাই খেলাধুলার বিকল্প নেই।
রাকিব: তুমি ঠিক বলেছ। আমি মাকে এ কথাগুলো বুঝিয়ে বলব। কাল থেকে আমিও তোমার সঙ্গে খেলতে যাব।
তুহিন: খুব ভালো কথা। আমি আজ চলি।
রাকিব: খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
তুহিন: তুমিও ভালো থেকো। বিদায়।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
কবীর