ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মামলা বাতিলে ড. ইউনূসের আবেদনের আদেশ ২১ জুলাই

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
মামলা বাতিলে ড. ইউনূসের আবেদনের আদেশ ২১ জুলাই
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সাতজনের আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ আগামী ২১ জুলাই। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের দিন ধার্য করেন। 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এ কথা জানান। 

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন।  সেই সঙ্গে বিচার শুরুর জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার কার্যক্রম বাতিলে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। বাসস

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার আরও ৫ অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার আরও ৫ অভিযোগ
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ময়মনসিংহ জেলায় ৬ ছাত্র হত্যা, রাজধানীর মিরপুর, বাড্ডা, উত্তরা ও আজমপুরে গণহত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় নিহতের বাবারা এসব অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরবর্তীতে বিভিন্ন আদালতে হত্যা মামলার পাশাপাশি গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হয়। এতে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট থেকে রবিবার পর্যন্ত মোট ১৯টি অভিযোগ দায়ের করা হলো।

যাদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে-

গত ২০ জুলাই বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর কলেজছাত্র নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ও জুবায়েরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নুরের বাবা আব্দুল হালিম ও জুবায়েরের বাবা আনোয়ার উদ্দিন। 

গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র শহিদ মাহফুজুর রহমানকে (১৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা আব্দুল মান্নান। একই দিন বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগটি দায়ের করেন নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম সরকার। 

গত ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় উত্তরার আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। 

গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড্ডা এলাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. ইদ্রিস।

দুই হাতে গুলি চালানো সেই রুবেল ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
দুই হাতে গুলি চালানো সেই রুবেল ৫ দিনের রিমান্ডে
আদালতে তোলা হয় জহিরুল ইসলাম রুবেলকে। ছবি : খবরের কাগজ

রাজশাহীতে দুই হাতে দুই পিস্তল নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো জহিরুল ইসলাম রুবেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী আলী রায়হান হত্যা মামলায় তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক ফয়সল তারেক। 

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রুবেলকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে নেয় পুলিশ। ওই সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। 

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাকে রাজশাহী এনে র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়। রবিবার সকালে তাকে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ছাত্রশিবির নেতা আলী রায়হান হত্যা মামলায় রুবেলকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

ওসি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী আলী রায়হান ও সাকিব আনজুম হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আরও দুটি মামলার আসামি তিনি। তাকে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জহিরুল হক রুবেল (৪১) রাজশাহী নগরীর চণ্ডীপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ডানহাত ও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়। 

গত ৫ আগস্টের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রুবেল মাথায় হেলমেট পরে দুটি পিস্তল দুই হাতে নিয়ে সমান তালে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছেন। ওই সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি বোরহান উদ্দিন পাভেল, মহানগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রনি, মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিন, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রোজেলসহ অনেকেই। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আনজুম ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আলী রায়হান নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম রুবেল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সপ্তাহের মধ্যেই : চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সপ্তাহের মধ্যেই : চিফ প্রসিকিউটর
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যেই পুনর্গঠন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের (প্রসিকিউশন টিম) সঙ্গে আইন উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি। কারণ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন না হলে আদালতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনেক আদেশ আমরা নিতে পারছি না। আদালতের আদেশ ছাড়া অনেক কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তিনি (আইন উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছেন। সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠন হবে। আর সেটা হলে বিচারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার তাজা আলামত সংগ্রহের লক্ষ্যেই তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করছে। সামরিক বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে যে বুলেট ব্যবহার করে, এমন একটি গুলি আজ সিএমএইচে অপারেশন করে বের করা হয়েছে। এগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাদের কাছে যা আলামত আছে, আহত ও নিহতদের স্বজনরা আছেন, সবাইকে তথ্যগুলো প্রসিকিউশনে জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আন্দোলনে গুলি করতে পুলিশের কাছে চাইনিজ রাইফেল ছিল, এটা নিয়ে জবাব দিতে হবে তৎকালীন সরকারকে। পুলিশকে চাইনিজ রাইফেল কে দিয়েছিল, সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আরও তদন্তকারী কর্মকর্তা দরকার। প্রসিকিউশনে আরও আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে। সেসব নিয়ে কাজ চলছে।’

ফরহাদ হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
ফরহাদ হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

রাজধানীর আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক আব্দুল মালেক এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রুবেলসহ কয়েক শ ছাত্র-জনতা বেলা ১১টার দিকে আদাবর থানার রিংরোড এলাকায় প্রতিবাদী মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, কৃষক লীগ, মৎসজীবী লীগের নেতাকর্মীরা গুলি চালায়। এতে রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়।

এ ঘটনায় ২২ আগস্ট আদাবর থানায় মামলাটি করেন রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম।

এ মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান, নায়ক ফেরদৌস, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

ইসরাত চৈতী/অমিয়/

মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রতিবেদনের তারিখ ধার্য

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ পিএম
মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রতিবেদনের তারিখ ধার্য

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করার প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ নিহত হন। ওই ঘটনায় মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেন।

মাহমুদুল আলম/জোবাইদা/অমিয়/