ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত আদায় করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ০১ জুন ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
নির্ধারিত হাসিলের বাইরে অতিরিক্ত আদায় করলে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
খবরের কাগজ

কোরবানির পশুর হাটে সরকার নির্ধারিত হাসিলের বাইরে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাত আলী।

রবিবার (১ জুন) ডিএমপির সদর দপ্তরে আয়োজিত ঈদুল আজহাবিষয়ক এক সমন্বয় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণ ও বিপণন, কাঁচা চামড়া বহনকারী যানবাহনের নিরাপত্তাসহ ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এই সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়। 

তিনি বলেন, ‘হাট ইজারাদাররা কোনোক্রমেই অতিরিক্ত হাসিল আদায় করতে পারবেন না। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পশুবাহী যানবাহনকে জোর করে কোনো হাটে প্রবেশ করানো যাবে না। পশুর হাট অবশ্যই সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত চৌহদ্দির মধ্যেই বসাতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যত্রতত্র কোরবানির পশু লোড-আনলোড করা যাবে না। রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে বা জোরপূর্বক ব্যাপারীদের পশু বিক্রয়ে বাধ্য করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এ ছাড়া হাট থেকে কেনা কোরবানির পশু পরিবহনে যেন কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সমস্যায় জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ জানাবেন। ঘটনার প্রমাণ রাখবেন, ভিডিও করে। রাস্তার শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করবেন না। অযাচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ করলে বা রাস্তা ব্লক করে পশুর হাট বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পশুর হাটের চৌহদ্দির মধ্যে পশুর বাজার সীমিত রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় হাট বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। বাজারে পশুর সংকট বলে গুজব ছড়িয়ে বা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোরবানির পশুর বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমন্বয় সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিপিডিসি, ডেসকো, ঢাকা জেলা প্রশাসন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, লবণ ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুর হাটের ইজারাপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড। ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির প্রকাশিত ফলাফলে রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে কেউ পাস করেনি। এসব বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৮ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মীর সাজ্জাদ আলীর পাঠানো পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা যায়।

বিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট উজিরপুর উচ্চবিদ্যালয়, রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নাগেশ্বরী উপজেলার পায়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, পুলবাড়ী উপজেলার নাজার মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম বড়ুয়া রোটারী উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সাত কামার উচ্চ বিদ্যালয়, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গরিদাহা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার সানুয়া উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবর ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়।

এবার দিনাজপুর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ১৪৬ জন। ফেল করেছেন ৬০ হাজার ৮৮ জন। গড়ে পাসের হার ৬৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ হাজার ৭৮২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শূন্য পাসের হার বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৩টি। শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৮টি।

গত বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পাশের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৩। সেই হিসাবে এবারে পাশের হার কমেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এই হার কমেছে। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ১০৫। এবার পেয়েছে ১৫ হাজার ৬২ জন।

সেলিম/পপি/

ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩৭

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৩৭
ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩৭ জন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ব্যক্তিদের একজন ছেলে শিশু। তার বয়স ১০ বছর। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ছাড়া মৃত অপর ব্যক্তি নারী। তার বয়স ১৮ বছর। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১০১, চট্টগ্রামে ৫৮, ঢাকা বিভাগে ৪১, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০, খুলনায় ২৮, ময়মনসিংহে ৫, রাজশাহীতে ২৭ ও সিলেটে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৬৬ জন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৯১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

এদিকে চলতি বছরের এই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৩১ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯ জন এবং জুলাইয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে, ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৭৫ জন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সাওন/সালমান/

এসএসসি পরীক্ষায় কাউকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি: শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
এসএসসি পরীক্ষায় কাউকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি: শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান
মতবিনিয়ম সভায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কাউকে গ্রেস মার্কস বা বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘এবার কাউকে কোনো ধরনের বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়নি। মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের শতভাগ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ফলে এটিই প্রকৃত ও সত্য ফলাফল। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও ক্ষোভের সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে কী হয়েছে, কীভাবে ফল তৈরি করা হয়েছে- তা নিয়ে আমরা কিছু বলব না। এখন যে ফল আমরা দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। উত্তরপত্র যথাযথভাবে মূল্যায়নের পর যা এসেছে, সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই।’

বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেওয়া হয়নি। ফলাফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার আমাদের উপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে, যে রেজাল্ট হবে, সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।’ 

সালমান/

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এগিয়ে মেয়েরা
বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে এবার পাসের হার ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ। পাস ও জিপিএ-৫ এ এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এই বোর্ডে পাসের হারে ছাত্র ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও ছাত্রী ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর দুইটায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ জানান, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফরম পূরণ করেছেন এক লাখ সাত হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৫৮ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এক হাজার ৬০৩ জন শিক্ষার্থী। 

পরীক্ষায় ছাত্র অংশগ্রহণ করেছে ৫৩ হাজার ৭৭২ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ২৯ হাজার ৬১২ জন। ছাত্রীদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৫১ হাজার ৭৮৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৩১ হাজার ৮৪৪ জন।

জিপিএ-৫ পেয়েছে ছয় হাজার ৬৭৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র তিন হাজার ১২৬ জন ও ছাত্রী তিন হাজার ৫৫২ জন। 

জেলাভিত্তিক ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জামালপুরে মোট ২৫ হাজার ৭৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১৫ হাজার ৩৩৬ জন। পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

নেত্রকোনায় ১৯ হাজার ৪১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৬৬৯ জন। পাসের হার ৬০ দশমিক ৮ শতাংশ। 

ময়মনসিংহে ৪৫ হাজার ৮৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৬ হাজার ৬৯১ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। 

শেরপুরে ১৪ হাজার ৪৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ৭৬০ জন। পাসের হার ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সামগ্রিকভাবে পাসের হার আশানুরূপ না হলেও ছাত্রীদের ধারাবাহিক অগ্রগতি আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আগামী দিনে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/

দুই জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
দুই জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা
ফেনীতে বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর প্লাবিত। ছবি: খবরের কাগজ

অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা বন্যা ও তৎপরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মতামত ও করণীয় তুলে ধরেন। 

বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মুসাপুর রেগুলেটর ও বামনি ক্লোজারের নকশা চূড়ান্তকরণ, ফেনীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্তকরণ এবং নোয়াখালীর খাল ও ড্রেনেজ অবমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

এর পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এই দুই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, তীর প্রতিরক্ষা ও পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে বলেও উপদেষ্টামণ্ডলীকে অবহিত করা হয়েছে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় দুই জেলায় চলমান বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সুমন/