ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ পিএম
শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ নিয়ে শুক্রবার (১৪ মার্চ) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এ ঘটনায় এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

তিনি লিখেছেন, ‘মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া গত কয়েক দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৃত্যুবরণ করে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নির্মম পাশবিকতায় আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা দেশবাসীর মতো আমাকেও ব্যথিত করেছে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে লজ্জিত করেছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি এ ঘটনা জানার পর শুরুতে তার চিকিৎসা ও আইনি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিলাম। অতীতের ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় না এনে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার ফলে দেশে ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার ফলে আইনের ফাঁক দিয়ে ধর্ষণকারীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ধর্ষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে নারী হেনস্তা, হয়রানি, ধর্ষণ বা ধর্ষণের হুমকির মতো ঘটনা মানুষ আর প্রত্যাশা করে না। তারপরেও এই ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। নারী, কিশোরী ও শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা হয়রানি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং মর্যাদা নিশ্চিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়াও একটি বিস্তৃত শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ চলাচল, নাগরিক স্বাধীনতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে হবে। ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে হবে আইনিভাবে। সমাজে শান্তি ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে। এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায়।’

আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তারেক রহমান। সূত্র: বাসস

এমএ/

নির্বাচনের কমিটমেন্ট নিয়ে জামায়াতের আমিরের শঙ্কা!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
নির্বাচনের কমিটমেন্ট নিয়ে জামায়াতের আমিরের শঙ্কা!
ফাইল ছবি

নির্বাচনের কমিটমেন্ট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে। এ অবস্থায় দেশে নির্বাচন হওয়ার আগে তিনটি শর্ত পূরণ হতে হবে। মৌলিক সংস্কার, রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গণহত্যার বিচারের শর্ত পূরণ করতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কি না তা আল্লাহই জানেন।'

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, 'অনেক কষ্টে যা এসেছে এতে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান হচ্ছে দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার। আমরা তা সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছি। এসব পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে তা গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি গঠন হবে না। এ নির্বাচনও তাহলে আগের মতো খারাপ হবে। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় এসেছে সেখানে এই পরিবর্তন খুবই জরুরি।'

তিনি বলেন, 'সংস্কারের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে যদি তারা সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত নির্বাচনে পরিবেশ হবে। তারা যদি সহযোগিতা না করে যদি গতানুগতিক নির্বাচন হয় তাহলে আগের মতো নির্বাচন হবে। যার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।' 

শফিকুর রহমান বলেন, দ্বিতীয়ত, গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। শহিদের আত্মা যেন প্রশান্তি পায়। তৃতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে। যাতে এমন না হয়, আমি জিতে গেলেই নির্বাচন সুষ্ঠু, না জিতলে দুষ্ট এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এটি সরকারের তরফ থেকেই হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটির উদ্যোগেও হতে পারে।'

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির আগে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হলে তখনও নির্বাচন হতে পারে। আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছে, ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে জনগণ গ্রহণ করবে কিনা, সেটি বড় প্রশ্ন। 

ইউরোপ সফর প্রসঙ্গে তিনি জানান, সফরে গণতন্ত্রকে টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আগামী নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। পাশাপাশি আমরা তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।'

জামায়াতে আমির বলেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তা চেয়েছি। সবাই মিলে চেষ্টা করলে মায়ানমার বাধ্য হবে তাদের ফেরত নিতে। অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে বিদেশ যাওয়ায় অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করেন। তাই স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য তাদের সহায়তা চেয়েছি। তারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারকে বলব, এই বিষয়ে উদ্যোগ নেন'। 

শফিকুল/মেহেদী/

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া: নজরুল ইসলাম খান
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক চলছে। ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কার একটি চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার একটা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া, হতেই হবে। আমি যখন একা আমার ঘরে থাকি তখন ঘরের যে সেটআপ, যখন বিয়ে করি সেটা বদলে যাবেই। আমাদের যখন সন্তান হবে তখন সেটা আবার বদলে যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলায়, বদলাবেই… অনিবার্য চলমান প্রক্রিয়া।’ 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলের পক্ষে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, ভালো চাই। আরও ভালো চাই, আরও ভালো চাই। কিন্তু  খুব ভালো করার জন্য যেন আমরা এতো সময় না নেই যেন মানুষের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা সেটা স্তিমিত হয়ে যায়। নিশ্চয় আমরা ভালো করতে চাই এবং এই ভালো করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, সব সময় থাকবে।’

বৈঠকে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
 
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কালকেও (বুধবার) প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চাইতে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল করেছে? রাজনৈতিকভাবে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা তো বিএনপি করেছে। বহু দলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক শাসন ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ তো অনেক ক্ষেত্রে করেছে। এমনকি বিএনপি তো গ্রাম সরকার প্রবর্তন করেছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি বিএনপি চালু করেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি গঠন করেছে। আজকে অর্থনীতির সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হলো ভ্যাট, বিএনপি করেছে। আজকে অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোষাক খাত বিএনপির হাতে হয়েছে, কৃষি উন্নয়ন, প্রবাসী কর্মসংস্থান, পল্লি বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে সমবায় উন্নয়ন, কুটির শিল্প। বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও কেউ কেউ নানা কথা বলেন। তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনাই… তখন তো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন। কেউ যখন সংস্কারের কথা ভাবেনি তখন শহিদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা এটা বলেছি, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব থাকলে সেটা সাদরে গ্রহণ করব। কাজেই যদি ঐকমত্য কমিশনের সনদ নাও হয় বিএনপির জন্য সনদ আছে একটা… সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা সংস্কারের পক্ষে।’
 
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিস বলব, সব কিছুর উপরে জনগণ। জনগণ কার মাধ্যমে সম্মতি জানায় আমরা জানি। আমরা বিশ্বাস করি, যোগ্য মানুষরা এই কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের নেতৃত্বে এই কমিশন কাজ করেছে। তাদের সহযোগিতায় আমরা আগামী দিনে আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সভাপতিত্ব করেন।

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে প্রথম ধাপের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম বৈঠকটি হয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে। এ পর্যন্ত তারা ১১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে। এরপর দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে। 

শফিকুল/পপি/

আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহে আলম মুরাদ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা থেকে  তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি হত্যা মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/

সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার তাণ্ডব!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার তাণ্ডব!
বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়া

ককটেল ফাটিয়ে ব্যবসায়ীর মালামাল লুটের দায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বহিষ্কৃত যুবদল (যুগ্ম-আহ্বায়ক) নেতা আশরাফ ভূইয়ার বিরুদ্ধে এবার আরেক ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তাজমহল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 

এর পর মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁ থানায় করা অভিযোগের বরাত দিয়ে ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন জানান, জমির সাইনবোর্ড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লোহার পাত কিনতে উপজেলার জামপুরের তাজমহল এলাকার পাশেই মাসাবো বাজারে নবীর হোসেনের দোকানে যান। তার সঙ্গে দুই ভাতিজা ও গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দোকানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ৪/৫টি মোটরসাইকেলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দোকানের সামনে তাদের ঘেরাও করে। এ সময় আশরাফ ভূইয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীর একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি সোয়েব মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেন। তারা বাজারে এলাকাবাসীর উপস্থিতি দেখে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে পেরাবো এলাকায় ব্যবসায়ী গোলজার হোসেনের গাড়ির গতিরোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী তার গাড়িচালকের বিচক্ষণতায় সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। 

ব্যবসায়ী গোলজার হোসেনের গাড়ির ড্রাইভার কামাল হোসেন বলেন, 'স্যারকে নিয়ে বাজারে গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ির চারদিক ঘেরাও করে স্যারের কথা জিজ্ঞাসা করে। স্যার দোকানে গেছে এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দৌড়ে দোকানে যায়। গাড়ি থেকেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের শব্দ শুনতে পাই। পরে পেরাবো এলাকায় আবার আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। আমি কৌশলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।'

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক দোকানিরা জানান, ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন রড কিনতে বাজারে আসে তখন আউয়াল হোসেন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর দোকানে যান। সেখানে আশরাফ ভূইয়ার লোকজন এসে তাকে গালিগালাজ করে। এ সময় আমরা তাদেরকে এখানে কেনো ঝামেলা করছে জিজ্ঞেস করলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে লোকমুখে জানতে পেরেছি যাওয়ার পথে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়ার মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি ঢাকায় থাকি। তবে প্রশ্নের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন ঘটনা ঘটেছে মাসাবো এলাকায় তাজমহলে আসল কেন? আপনারা সাংবাদিক আপনারা মনে করেন আপনাদের অনেক ক্ষমতা! নিউজ করে কি করবেন পারলে করেন। আমি কি রাস্তায় থাকি যে রাস্তায় আক্রমণ করব।'  

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় ব্যবসায়ীর করা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইমরান/মেহেদী/

রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম
রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ
ছবি: খবরের কাগজ

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে পাঁচতারকা একটি হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এ রাজনৈতিক দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

দলটির আহ্বায়ক হয়েছেন রফিকুল আমীন আর সদস্যসচিব হয়েছেন ফাতিমা তাসনিম। 

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে তেলাওয়াত ও পাঠ করা হয়। এর পর পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্যে দলের নাম ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করেন মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। এ সময় তিনি দলের মূল ৯ লক্ষ্য ঘোষণা করেন।

মেহেদী/