১১ রানের জয়ে চার ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত। ১৫ তারিখ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে গেলেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে সূর্যকুমার যাদবদের। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে হবে সিরিজ ড্র।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সেঞ্চুরিয়ানে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২১৯ রান সংগ্রহ করে ভারত।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ ভালোই লড়াই করেছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তারা করতে পারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান। ফলে ১১ রানে হেরে যায় মার্করামের দল।
যদিও টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় ভারত। সেই ধাক্কা সামলে ১০৭ রানের জুটি গড়েন অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মা।
অভিষেক ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক হাঁকিয়ে আউট হলেও তিলক খেলেন অপরাজিত ১০৭ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ ছক্কা ও ৮ চারে। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে ১৮ ও রমনদ্বীপ সিংয়ের ১৫ রানের সুবাদে ২১৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত।
এই ম্যাচে ২০০ রানের দলীয় সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করে ভারত। চলতি বছর অস্টমবারের মতো ২০০ রান করেছে ভারত। এর আগে সর্বোচ্চ ৭ বারের তালিকায়ও আছ্যে ভারতের নাম। ২০২৩ সালে এই রেকর্ড করেছিল তারা। এছাড়া জাপানও আছে ৭ বারের তালিকায়, চলতি বছরই এই রেকর্ড করেছে তারা। নাম বার্মিংহাম বিয়ার্সেরও, তারা ৭ বার ২০০ রান করে ২০২২ সালে।
বড় লক্ষ্য জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা পঞ্চম উইকেটের জুটিতে মিলার ও ক্লাসেন মিলার আউট হন ১৮ বলে ১৮ রান করে।
ক্লাসেন খেলেন ২২ বলে ৪১ রানের ইনিংস। মার্কো জানসেন একমাত্র অর্ধশতকটি হাঁকান দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। ৫ ছক্কা ৪ চারে ১৭ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এতে ২০৮ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন আর্শদ্বীপ সিং। বরুণ নেন ২টি।