
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কাজ না করেই বিল তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ওই ঠিকাদারের কার্যক্রমের সব ফাইল তলব করেছে দুদক।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মাসুম আলীর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে এসব তথ্য চেয়ে আসেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইনস এলাকার বাসিন্দা। তিনি এনএস গ্যালারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এবং কুমিল্লা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় দুই অর্থবছরে সাইফুল কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৩১টি কাজের টেন্ডার বাগিয়ে নেন। সেগুলোর মূল্য ২৩০ কোটি টাকারও বেশি। তবে এসব কাজ তিনি নিজে না করে অন্যকে দিয়ে করিয়েছেন এবং কিছু কাজ না করেই বিল তুলে নিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে অভিযান শেষে দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী জানান, দুদকের ঢাকা কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দল তথ্য নিতে আসে। আমরা ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের ডকুমেন্টগুলো পর্যালোচনা করছি।
তিনি আরও জানান, সাইফুল ইসলাম ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ১০টি টেন্ডার পেয়েছেন। এর আনুমানিক মূল্য ৫৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তিনি টেন্ডার পেয়েছেন ২১টি। সেগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কাজটি নিজে না করে অন্যকে দিয়ে করিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। আমরা যেসব আইডি পেয়েছি, সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন ঢাকা পাঠাব। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুল আলম বলেন, ‘দুদক আমাদের কাছে যেসব তথ্য চেয়েছে, আমরা সেগুলো দিয়েছি। সব তথ্য প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে রয়েছে। তারা যদি আরও তথ্য চান তা হলেও দেওয়া যাবে। দুদকের কার্যক্রম নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।’