ময়মনসিংহে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে মাছের দামও। তবে কমেছে মুরগির দাম। ক্রেতারা জানান, বাজারে সবজি ও মাছের প্রচুর সরবরাহ থাকলে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ময়মনসিংহ শহরের মেছুয়া বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাউশ ও সিলভার কার্প মাছের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। অন্য মাছও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল। ক্রেতারা কিছুটা কম দামে পেতে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছুটছেন।
বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে চিচিঙ্গা ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকার পরিবর্তে ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকার পরিবর্তে ৬০, টমেটো ২০ টাকার পরিবর্তে ৩০, লতা ৬০ টাকার পরিবর্তে ৭০, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত ছিল মটরশুঁটি, বরবটি, বেগুন, সজনে শসা, গাজর, কাঁচা মরিচ ও মিষ্টি লাউয়ের দাম। কমেছে লেবুর দাম। গত সপ্তাহে লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা হালি।
রুই ও কাতল মাছ আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩৩০ টাকা, বাউশ (ক্রস, কালো রঙের) ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ থেকে ২১০, তেলাপিয়া ১৯০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
এদিকে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা, সাদা কক ২৯০ টাকার পরিবর্তে ২৬০ ও লাল কক ৩০০ টাকার পরিবর্তে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। অপরিবর্তিত ছিল ডিমের দাম। মুরগির ডিম ৪০ ও হাঁসের ডিম ৭০ টাকা হালি বিক্রি হয়েছে।
সবজি ও মাছ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যারা বেসরকারি চাকরিজীবী, বছর ঘুরলেও বেতন বাড়ানো হয় না। অথচ বিভিন্ন অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।’
দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা ইদ্রিস আলী সরল স্বীকারোক্তি, ‘সব খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছেন। তাই আমিও একই দামে বিক্রি করছি। তারপরও খুব বেশি লাভ হচ্ছে না।’
একই বাজারের আড়তদার জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘কোনো আড়তদার ইচ্ছামতো দামে মাছ বিক্রি করেন না। মাছ কেনার ক্ষেত্রে আমাদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। এজন্য খুচরা পর্যায়ে দাম কিছুটা বেড়েছে।’
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক আবদুস ছালাম বলেন, ‘বাজারগুলোতে অভিযান চালানো হবে। খুচরা বিক্রেতা ও আড়তদারদের মাছ কেনার রসিদ দেখা হবে। খুচরা পর্যায়ে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া অতিরিক্ত দামে বিক্রির প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’