
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে কোন স্ট্যাটাসে আছেন, তা ভারত সরকারের বিবেচনাধীন বিষয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মাদ রফিকুল আলম। তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কি না, সে তথ্যও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেই বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ভারতের সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি পর্যালোচনার দাবি তোলা হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুখপাত্র জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে হয়েছে। কোনো মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পর্যালোচনা অনুভব করলে তা করতে পারে। ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ করা হবে কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার সব প্রকাশিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে আপনারা দেখতে পাবেন। ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই।’
ভারতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত হাইকমিশনারকে অনুমোদনে দেশটি দেরি করছে কি না জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, কোনো দেশে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সাধারণত দুই থেকে চার মাস সময় লাগে। যদিও এই প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। আশা করা যায় সেই অনুযায়ী হবে। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অ্যাগ্রিমো চেয়েছি এবং ভারত থেকে এটার উত্তরের জন্য অপেক্ষায় আছি।’
সম্প্রতি সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করা হয়। ভারতীয় দূতকে ডাকার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকেও তলব করে ভারত সরকার। বাংলাদেশ দূতকে ডাকার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল আলম বলেন, ‘দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। এটা একটা বিস্তারিত বিষয়। এটার বিস্তারিত প্রতিবেদন আমার কাছে নেই।’