
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে শতভাগ ভোট পড়া কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এর অংশ হিসেবে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত চেয়ে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে যেসব কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে, সেসব কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের যাবতীয় তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। ওই নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত অনেকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। প্রয়োজনে জড়িত সবাইকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীকে নিয়ে দিনের ভোট আগের রাতেই কারচুপির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন পুলিশের তৎকালীন আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, সরকারে বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দুদকে এ ধরনের অভিযোগ এলে তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে অনুসন্ধান চলছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।