দেশে সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে ফ্যাসিবাদী শাসন বিরাট অন্তরায়: প্রফেসর দিলারা চৌধুরী । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

দেশে সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে ফ্যাসিবাদী শাসন বিরাট অন্তরায়: প্রফেসর দিলারা চৌধুরী

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩ পিএম
দেশে  সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে ফ্যাসিবাদী শাসন বিরাট অন্তরায়: প্রফেসর দিলারা চৌধুরী
ছবি : সংগৃহীত

বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। দেশে এখন ফ্যাসিবাদী, আগ্রাসী শাসন চলছে। নতুন সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে এটা বিরাট অন্তরায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টির উদ্যোগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার স্মৃতিচারণ ও উদ্যোক্তাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

উল্লেখ্য পাঁচ বছর আগে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মূলনীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায়ে ঘোষিত হয় জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে পরবর্তীতে গড়ে ওঠে নতুন রাজনৈতিক দল আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি। আজ ছিল জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের ৫ম বর্ষ এবং সে উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারণ ও পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই স্মৃতিচারণ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, কলামিস্ট, মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ, অভিনেত্রী ও সংগঠক আরজুমান্দআরা বকুল। 

পুনর্মিলনীতে স্মৃতিচারণ করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এবি পার্টির দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব এম আমজাদ খান প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলারা চৌধুরী বলেন, নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ ঘোষণার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। সকল প্রতিকূলতা ও সমস্যা সামনে রেখে জনআকাঙ্ক্ষা থেকে শুরু করে এবি পার্টি আজ যে পর্যায়ে এসেছে তাতে তাদের সাধুবাদ জানাতে হয়। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের মূল বক্তব্যের আলোকে এই দেশকে একটি ওয়েলফেয়ার স্টেটে পরিণত করার যে চ্যালেঞ্জ এবি পার্টি গ্রহণ করেছে সেটাও অনেক কঠিন। একটি দেশ উন্নত হতে হলে সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মেধাবীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চার সুযোগ নেই। দেশে যে  ফ্যাসিবাদী, আগ্রাসী শাসন চলছে’, নতুন সৃষ্টিশীল রাজনীতি বিকশিত হওয়ার পথে এটা বিরাট অন্তরায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে যখন আমি যুক্ত হয়েছিলাম তখন আসলে অনেক কিছুই পরিষ্কার ছিলো না। সবকিছু বুঝতে ও গুছিয়ে উঠতে আমাদের ছয়মাস লেগেছে। সেই সময় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা অফিসে বসতাম কখন একজন মানুষ অফিসে এসে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইবে সেজন্য অপেক্ষা করতাম। আপনাদের সহোযোগিতায় আজ পার্টির প্রায় চল্লিশ জেলায় কমিটি হয়েছে। গতকাল খুলনায় দিনব্যাপী যে রাজনৈতিক কর্মশালা হয়েছে সেখান এই তাপদাহের মধ্যেও পঞ্চাশ জন উপস্থিত ছিলেন যারা সবাই জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা। আমাদের এখন মাঠপর্যায়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। 

বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজ কখনো ইসলাম বিরোধী হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের অনেকের মধ্যেই রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। রাজনীতি মানুষের মুক্তির জন্য লড়াই যা এবি পার্টি করছে। যা শুরু হয়েছিলো জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক প্লাটফর্ম ঘোষণার মধ্য দিয়ে। সেই ঘোষণার দিন আমি তাদের শুভ কামনা জানাতে উপস্থিত ছিলাম। তাদের ভালো কাজের সাথে সামনেও আমার সমর্থন থাকবে ইনশাআল্লাহ। 

জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্যোগের শুরুতেই বেশির ভাগ মানুষ আমাদেরকে সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি সামাজিক সংগঠনকে দিনশেষে রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করা যায় না। ফলশ্রুতিতে আমরা প্রথমে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করে এক বছর সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সাথে মতবিনিময় করে আমার বাংলাদেশ পার্টি- এবি পার্টি গঠন করি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা যে শুন্য থেকে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে পেরেছি। তিনি জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনের সময় উদ্যোক্তা যারা ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

স্মৃতিচারণ করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঘোষণা ছিলো আমাদের জীবনের বিরাট চ্যালেঞ্জ। যখন একটি গ্রুপ দল বদলের ঘটনাকে ধর্ম বদলের মতো চিন্তা করে। যখন প্রকাশ্যে আমাদেরকে জাহান্নামি, কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। একসময় এই রাষ্ট্র মেরামতের কাজও আমরাই করবো ইনশাআল্লাহ। 

বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী আরজুমান্দআরা বকুল জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশের ঘোষণা ও এবি পার্টি গঠন নিয়ে বলেন, আমি রাজনীতি করি না কিন্তু এবি পার্টির সকলের ভালোবাসায় আমি এখানে আসতে বাধ্য হই। আমি আশা করি বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এবি পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানে আরও স্মৃতিচারণ করেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক শাহজাহান ব্যাপারী, যুবপার্টি গাজীপুরের আহ্বায়ক মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা রিপন মাহমুদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

উপজেলা নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রীর ভাগ্নে পরাজিত

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
উপজেলা নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রীর ভাগ্নে পরাজিত
সাবেক বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সোয়েব আহমদ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক বনমন্ত্রী এবং বর্তমান মৌলভীবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সোয়েব আহমদ পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আজির উদ্দিন।

বুধবার (৮ মে) রাতে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, বড়লেখার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আজির উদ্দিন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩২ হাজার ৯১৬ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩৬৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

চেয়ারম্যান পদে অন্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর আনারস প্রতীকে ১৯ হাজার ৬৩৫ ভোট ও ছাত্রলীগ নেতা মাসুম আহমদ হাসান উট প্রতীকে ৯১৪ ভোট পেয়েছেন।

একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত বড়লেখা উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৮৫৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭১০ জন।

পুলক পুরকায়স্থ/পপি/

উপজেলা নির্বাচনের ভুয়া নাটক বর্জন করেছে জনগণ : মঈন খান

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
উপজেলা নির্বাচনের ভুয়া নাটক বর্জন করেছে জনগণ : মঈন খান
ছবি : সংগৃহীত

৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনের ভুয়া নাটকও দেশের মানুষ বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘১৩৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রে একজন ভোটারও আসেনি। ৭ জানুয়ারির মতো আমি আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র সচেতন মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্যালুট দিচ্ছি।’

বুধবার (৮ মে) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গণতন্ত্র সচেতন মানুষ ভোট বর্জন করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মঈন খান বলেন, ‘দেশের মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য রাজনীতি করছে বিএনপি। গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা গায়ের রক্তকে জল করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, আর সরকার সেই টাকা দিয়ে বাহাদুরি করছে। সরকার বুঝতে পারছে না প্রবাসীদের যদি আমরা কোনো নিরাপত্তা দিতে না পারি তাহলে তার কোনো নিরাপত্তা থাকবে না এবং দেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধসে পড়বে। যদি আপনারা (প্রবাসী) রেমিট্যান্স দেওয়া বন্ধ করে দেন তাহলে এই সরকার সাত দিনের মধ্যে পড়ে যাবে।’

সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনের নামের তামাশা স্থগিত করে দেওয়া উচিত। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের ন্যূনতম সুযোগ বিদায় করে দিয়েছে। কতৃত্ববাদী শাসক বুকের ওপর চেপে বসেছে। পৃথিবীর সব ফ্যাসিবাদী শাসক নিজের বিকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ‘দেশ রক্ষার জন্য ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দেশটা এখন এতই অরক্ষিত যে, বর্তমানে পরাধীন জাতি হিসেবে আছি।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, প্রবাসী ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কবির হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর রশিদ মামুন, ছাত্রঅধিকার পরিষদের বিন ইয়ামীন মোল্লা প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

বাংলাদেশিদের রক্তে প্রতিদিন সীমান্ত রঞ্জিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
বাংলাদেশিদের রক্তে প্রতিদিন সীমান্ত রঞ্জিত হচ্ছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের রক্তে প্রতিদিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত রঞ্জিত হচ্ছে। সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের জীবনের নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন। বিএসএফের এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সম্ভব হচ্ছে কেবলমাত্র ডামি আওয়ামী সরকারের নতজানু নীতির কারণে।’

বুধবার (৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আজ ভোরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল জলিল ও ইয়াসিন আলী নিহত হন। বিএসএফের প্রতিনিয়ত বাংলাদেশি নাগরিকদের নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএসএফের কাছে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার বিচার চাওয়া দূরের কথা, প্রতিবাদ করতেও পারে না আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। দেশের সার্বভৌমত্ব দিন দিন দুর্বল করা হয়েছে বলেই আওয়ামী সরকার বাংলাদেশি হত্যায় নীরবতা পালন করে। গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশি জনগণের নিরাপত্তাকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে ভিনদেশি ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জনগণের শাসন নেই বলেই বিএসএফ নির্বিচারে নির্বিঘ্নে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা জানে বাংলাদেশের অবৈধ শাসকগোষ্ঠী তাদের রক্তপাত থামাতে এগিয়ে আসবে না।’

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

সবুজ/সালমান/

ধান কাটা-ঝড়বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম : কাদের

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
ধান কাটা-ঝড়বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম : কাদের
ছবি : সংগৃহীত

ধান কাটা ও ঝড়বৃষ্টির কারণে উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তবে নির্বাচন কমিশন যে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির কথা জানিয়েছে, এটা সন্তোষজনক।

বুধবার (৮ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরাই বেশির ভাগ বিজয়ী হয়েছেন। আমরা মনে করি টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। প্রশাসন খুব দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে, দল থেকেও নেত্রীর নির্দেশে সবাই যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন, সে জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দল যে বক্তব্য রেখেছে, সেটা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৯টি উপজেলা নির্বাচন হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেকের আশঙ্কা ছিল খুনোখুনি-রক্তাক্ত অবস্থার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে দেশের কোথাও কোনো প্রাণহানির ঘটনা নেই। কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বিরোধী দলহীন উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে জনগণ : মান্না

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বিরোধী দলহীন উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে জনগণ : মান্না
মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি : সংগৃহীত

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিরোধী দলহীন উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে জনগণ।

বুধবার (৮ মে) নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মান্না বলেন, বিরোধী দলহীন উপজেলা নির্বাচনেও কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল মারা, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা আরেকবার প্রমাণ করল অবৈধ-স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তারা ধ্বংস করেছে। দেশের জনগণ যেভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করেছে, একইভাবে উপজেলা নির্বাচনও বয়কট করেছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর কয়েক বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। এরপর ২০১৪ সাল থেকে পরপর তিনবার ক্ষমতাসীনরা জনগণের ভোট ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকারকে বিদায় করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দেশে কোনো পর্যায়ের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে না।