ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’
চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমির পক্ষ থেকে বই বিতরণ করা হচ্ছে । ছবি: খবরের কাগজ

গত সাড়ে ৫ বছরে চাঁদপুর জেলায় ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। নভেম্বর মাস ছিল সংগঠনটির চতুর্থ বই উপহার মাস। ‘ছড়িয়ে দিতে বই, পথের মানুষ হই’ স্লোগানে দুই নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বই উপহার মাস ঘোষণা করে প্রতিষ্ঠানটি।

এরপর মাসজুড়ে চলে বই উপহার কর্মসূচি। পথে-ঘাটে, অফিস-আদালতে, এমনকি যানবাহনেও উপহার দেওয়া হয় বই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বই। টানা ১ মাস পাঁচদিন চলে এ কর্মসূচি।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার নূরিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উপহার মাসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন চর্যাপদ একাডেমির মহাপরিচালক অ্যাডভোকেট রফিকুজ্জামান রণি।

বাচিকশিল্পী আবু বকর সিদ্দিকের কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। একাডেমির সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপার সভাপতিত্বে প্রথমে শ্রেষ্ঠ সারথি সংবর্ধনা দেওয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সহসভাপতি শিউলী মজুমদার, পর্যবেক্ষক ও ন্যায়পাল দিলীপ ঘোষ, সহকারী পরিচালক ফেরারী প্রিন্স, নির্বাহী সদস্য কামরুন্নাহার বিউটি, আর্কাইভ ও নথি ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল-আমিন সানি, চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক খালেক বিশ্বাস, ওপেন আইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান শাকির এবং এস আর বাবলু। এ সময় প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মসূচির প্রচার-প্রচারণা, দিবস কর্মসূচি পালন ও সর্বোচ্চসংখ্যক বই উপহার দিয়ে ‘বই মাসের শ্রেষ্ঠ সারথি-২০২৪’ মর্যাদাপ্রাপ্ত ৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধিত হলেন সহযোগী পরিচালক জয়ন্তী ভৌমিক, নির্বাহী পরিচালক আইরিন সুলতানা লিমা, প্রচার ও প্রকাশনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম।

বই উপহার মাসের আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রণি বলেন, ‘মাসব্যাপী চলে বই উপহার কর্মসূচি। এ মাসে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি বই উপহার দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বিগত সাড়ে ৫ বছরে ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি।’ সভাপতি আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘মানুষকে বইমুখী করার পাশাপাশি মাদক ও বাল্যবিবাহ রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক বই উপহার কর্মসূচি পালন করে আসছে চর্যাপদ একাডেমি। ২০২১ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো বই উপহার মাস পালন করেছে। এর মধ্যে একটি ‘বই উপহার মেলা’ও করেছে এ প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি বই উপহার দিয়েছে চর্যাপদ একাডেমি। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘বই কখনো হয় না পর, বইয়ের সঙ্গে বাঁধব ঘর।’

ছায়ানট কলকাতাসহ ৪ সাংস্কৃতিক সংগঠন পেল ‘কাণ্ডারী’ সম্মাননা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৬ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম
ছায়ানট কলকাতাসহ ৪ সাংস্কৃতিক সংগঠন পেল ‘কাণ্ডারী’ সম্মাননা
বাচিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘বৈখরী’ কর্তৃক কাণ্ডারী সম্মাননা প্রদান। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার হাতিবাগানে বাচিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘বৈখরী’ কর্তৃক কাণ্ডারী সম্মাননা পেয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট, কলকাতা ও অন্য তিনটি সংগঠন।

গত রবিবার (১২ জানুয়ারি) নটী বিনোদিনী অ্যাম্ফিথিয়েটারে ‘বিবেক-পথের পথিক’ শিরোনামে এক মার্জিত কবিতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৈখরী। এই অনুষ্ঠানে ছায়ানট, কলকাতা, কবিতা স্টুডিও, ঊষাশ্রী কালচারাল ফাউন্ডেশন ও সোশ্যাল মিডিয়া লিটারারি মিট কমিটিকে তাদের কাজ ও সুদূরপ্রসারী ভাবনা-পরিকল্পনার জন্য এ সম্মানে ভূষিত করা হয়।

বাচিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বৈখরীর প্রশিক্ষক আবৃত্তি শিল্পী তাপস চৌধুরী জানান, সংস্থার পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে সারা বছর জুড়ে তাদের নানা আয়োজনের মঞ্চ থেকে এভাবেই বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ফেসবুক পেজকে সম্মাননা জানানো হবে। যারা বঙ্গসংস্কৃতির ধারাকে বহন করে চলেছেন ও আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন তাদের।

এদিন সংস্থার সদস্যদের নিজস্ব উপস্থাপনা ছাড়াও মগ্নবাক, প্রাচীকণ্ঠ, দীক্ষা,বলাকা ও ললিত স্মৃতি সঙ্গীতালয় অনুষ্ঠান পরিবেশনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকাশবাণী কলকাতার প্রাক্তন সহঅধিকর্তা সৌম্যেন বসু, কবি উৎপল কুমার ধাড়া, নির্মল করণ, তরুণ আবৃত্তি শিল্পী অনিমেষ হাম্বির ও ছোট্টবন্ধু রূপকথা ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানের আবহ করেন শিল্পী ঈশান রায়।

প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

অমিয়/

পছন্দের লোকদের প্যাভিলিয়ন দিতে ন্যক্কারজনক নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে: ফরিদ আহমেদ

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
পছন্দের লোকদের প্যাভিলিয়ন দিতে ন্যক্কারজনক নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে: ফরিদ আহমেদ
সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের পছন্দের লোকদের বইমেলায় প্যাভিলিয়ন দেওয়ার জন্য ন্যক্কারজনক নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ফরিদ আহমেদ লিখেন, ‘নিজেদের পছন্দের প্রিয় লোকদের বইমেলায় প্যাভিলিয়ন দেওয়ার জন্য ন্যক্কারজনক নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। উদাহরণসহ বলি- বর্তমানের স্বঘোষিত প্রকাশক নেতারা তাদের কিছু সহযোগী (কিছুটা জোর করে, কিছুটা ভয় দেখিয়ে) নিয়ে সম্মিলিতভাবে একাধিক সভা, মিছিল, অবস্থান ধর্মঘট করেছেন প্রধান দুটি দাবি নিয়ে- (১) প্যাভিলিয়ন বাতিল করতে হবে, (২) ভাড়া কমাতে হবে।

এই নেতারাই বইমেলা পরিচালনা কমিটিতে প্রকাশক প্রতিনিধি হয়েছেন, একাধিক মিটিং করেছেন কিন্তু প্যাভিলিয়ন বাতিল তো করেননি বরং আরও কিছু নতুন প্রকাশকদের প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছেন, বইমেলার নীতিমালা অনুযায়ী যাদের অনেকের প্যাভিলিয়ন পাওয়ার যোগ্যতা নেই। নেতাদের পছন্দের ওই প্রকাশকদের স্থান করে দেওয়ার জন্য কিছু প্রগতিশীল প্রকাশককে একটি বিশেষ ট্যাগ দিয়ে তাদের প্যাভিলিয়ন বাতিল করেছেন। আর এখন স্টল ভাড়া কমাবার প্রসঙ্গে কথাই বলেন না। বরং বর্তমান নীতিমালায় প্যাভিলিয়নের চতুর্দিক খোলা না রাখার যে নিয়ম আছে সেটা কীভাবে বাতিল করা যায় সেই অঙ্ক কষছেন তারা। কাকে কীভাবে ম্যানেজ করা যায়, সেই যোগাযোগ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্যাভিলিয়ন বাতিলের ব্যপারেও ওই নেতারা নিজেদের সুবিধা দেখেছেন/নিয়েছেন- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে ১৮/২০ জন প্যাভিলিয়ন পাওয়া প্রকাশকদের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে বলেছিলেন, এদের প্যাভিলিয়ন বাতিল করতে হবে। কিন্তু ওই ক্রস চিহ্নের তিনজনকে ছোট প্যাভিলিয়ন আর বাকিদের ৪ ও ৩ ইউনিট স্টল দিয়েছেন। ওই তিনজন কেন প্যাভিলিয়ন পেলেন? এর কোনো ব্যখ্যা কি দিতে পারবেন? নাকি এর মধ্যেও আপনাদের কোনো অঙ্ক আছে?

ওই তিনজন কি বাকিদের চেয়ে কম সংখ্যক বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই প্রকাশ করেছেন? নাকি সরকারি বইক্রয় প্রকল্পে বাকিদের চেয়ে সর্বনিম্ন অঙ্কের বই বিক্রি করেছেন? বই প্রকাশ এবং বিক্রির বিষয়ে আরও কথা আছে- প্যাভিলিয়নের পূর্ণাঙ্গ তালিকায় এমন আরও দু’চারজন প্রকাশক আছেন যারা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার লেখা বই প্রকাশ করেছেন এবং সরকারি বইক্রয় প্রকল্পে অনেকের চেয়ে অনেক বেশি টাকার বই বিক্রি করেছেন। তাদের প্যাভিলিয়ন কমাবার কথা কেন নেতারা ভাবলেন না?’

সময় প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী বলেন, ‘যদি বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার লেখা বই প্রকাশ বা সরকারি বইক্রয় প্রকল্পে বই বিক্রি অপরাধ হয়, তবে অন্যদেরও এই শাস্তিপ্রাপ‍্য। বাপুস প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইয়ের তালিকায় ৩৯৩ জন প্রকাশকের নাম আছে। আর সর্বশেষ সরকারি বইক্রয় এসইডিপি প্রকল্পে ৭০-৮০ জন প্রকাশক আছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রিয় নেতা ভাই ও বন্ধুরা বেছে বেছে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক হিংসায় আপনাদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার কৌশল সবাই জেনে যাচ্ছে। তাই সবার বরাদ্দ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন অথবা আপনাদের প্রিয় প্রকাশক যাদের নাম বাদ দিয়েছেন তাদেরও এই তালিকায় নিয়ে আসেন।’

সবশেষে তিনি আরও লিখেন, ‘আর প্রিয় সেইসব প্রকাশক, যারা প্যাভিলিয়ন বহাল আছে বলে বগল বাজাচ্ছেন এবং আমাদের দিকে তাকাচ্ছেন না, সামনে তাদের জন্য খুব সুদিন অপেক্ষা করছে না। এর চেয়েও ভয়াবহ ট্যাগ আপনাদের দেবে তারা। এখন আপনাদের শাস্তির বাইরে রাখা হয়েছে। আপনারা আমাদের সমব্যথী হচ্ছেন না, পরে আমরা আপনাদের সমব্যথী হব না। এই হচ্ছে তাদের সমঝোতা।’

সালমান/

ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঝুমুর আসমা জুঁই-এর  'রসের কুটুম'র ২টি প্রদর্শনী

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঝুমুর আসমা জুঁই-এর  'রসের কুটুম'র ২টি প্রদর্শনী
ঝুমুর আসমা জুঁই। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্ব ধীরে ধীরে মৃত্যপুরীতে রূপ নিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। দালানকোঠা তৈরি করার জন্য গ্রামে-গঞ্জে গাছ অনেক কাটা হয়, খেঁজুর গাছ তার অন্যতম।  

শুক্কুর আলী একজন গুড় তৈরির শিল্পী, গ্রামের ভাষায় বলে গাছি। গুড় তৈরির জন্য মাসের পর মাস বাড়ী থেকে দূরে খোলা জায়গায় তাঁবু অথবা টিনের ঘর বানিয়ে থাকতে হয় এই গাছিদের। কুয়াশায় শীতের রাতে কাঁপতে কাঁপতে গাছে উঠে রস নামায় তারা, আলো ফোঁটার আগেই  সনাতন পদ্ধতিতে খেঁজুর/পাটালি গুড় বানায় এই কারিগররা। যখন এই খেঁজুরের রস গাঢ় সোনালী রং নিয়ে গুড়ে রুপান্তরিত হয়, দেখতে বেশ নান্দনিক লাগে। খেজুরের রস বানানোর পদ্ধতি অত্যন্ত মজার।সবচেয়ে বড় কথা এটা বানাতে বা সংরক্ষণে কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় না। 

আর গুড় তৈরির এই কর্মকাণ্ড নিয়ে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে দেশী নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই- এর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র রসের কুটুম'।

সিনেমা বক্স প্রযোজিত 'রসের কুটুম'-এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জানুয়ারি  মঙ্গলবার, বিকেল সাড়ে ৫টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে।

আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসবে 'রসের কুটুম'-এর দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার, সন্ধ্যা ৭টায়, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে। 

দেশের নির্মাতাদের মধ্য লোকজ শিল্প নিয়ে যারা সিনেমা নির্মাণ করেন তাদের মধ্যে ঝুমুর আসমা জুঁই অন্যতম। 

এর আগে ২১তম ও ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুঁইয়ের নির্মিত 'দ্যা লক্ষণ দাস সার্কাস' এবং 'পালকি'প্রশংসিত হয়। জুঁইয়ের উল্লেখযোগ্য প্রামান্য চলচ্চিত্র, 'ভাস্কর্য ও মাটির ময়না', 'পুতুল পুরাণ', 'রথ যাত্রার বাকি ইতিহাস' ইত্যাদি।

'রসের কুটুম' প্রসঙ্গে নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই বলেন, 'খেজুরের গুড় তৈরির ইতিহাসকে ধরে রাখার তাগিদ অনুভব করলে গুড় তৈরির এই সনাতন পদ্ধতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতেই হবে।  কারণ গুড় তৈরির জার্নিতে যে পরিশ্রম হয় তার প্রতিদান  কারিগররা কখনোই পান না।'' 

তিনি বলেন, 'খেজুরের গুড়ের গুণগত মান কিন্তু আকর্ষণীয়। খেঁজুরের রস ও গুড় বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এতে দেশ ও গুড়ের কারিগর উভয়ই উপকৃত হবে।'

হাসান

খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭ গুণী

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৭ গুণী
খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ ঘোষণা

‘খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সাত গুণী ব্যক্তিত্বকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ক্রিয়েটিভ অ্যাসোসিয়েশন হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি অ্যান্ড লাইব্রেরির সেমিনার কক্ষে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর সহসভাপতি মো. আলী জিন্নাহ।

এ বছর ভাষা ও সাহিত্যে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কবি ও সাহিত্যিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজাহান; সাংবাদিকতায় মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. শাহ জামাল; বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণায় ড. মো. শাহ কামাল খান ও ড. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম; সমাজসেবায় হাসান মারুফ এবং তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন, প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, কবি মো. নূরুল আবেদীন, ডা. হিউবার্ড চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মীর হোসেন মিরন, সাংবাদিক উবায়দুর রহমান, ঝিন্টু দেবনাথ, লুৎফর রহমান খোকন, সুপক রঞ্জন উকিল, আশেক-ই-মোস্তফা, মো. রমজান আলী মুক্তি, এসিক ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক শাহদাৎ শাহ, শামীমা ইসলাম, চয়নিকা রানী দাস প্রমুখ।

অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, ক্রিয়েটিভ অ্যাসোসিয়েশন ও এসিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় সমাজের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এক বছর অন্তর অন্তর বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ও খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। জুন-জুলাই মাসে খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ম্যাগাজিন প্রকাশের পর ডিসেম্বর মাসে বিজয়ীদের হাতে পদক ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হুদা লিটন।

অমিয়/

উদীচীর নেত্রকোনা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
উদীচীর নেত্রকোনা জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
নেত্রকোনায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ১৬তম জেলা সম্মেলন। ছবি : খবরের কাগজ

নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ১৬তম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) জেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীরা। সেই সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও উদীচী সংগঠনের নিজস্ব পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সমবেত কণ্ঠে একটি কোরাস প্রতিবাদী সংগীত পরিবেশন করেন তারা। এরপর বিভিন্ন ধরনের সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, সহসভাপতি আবদুস সালাম রিপন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সারোয়ার কামাল রবিন, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী প্রমুখ।

সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা উদীচীর কার্যালয়ে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। শিশু-কিশোরসহ শিল্পীরা নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন।

জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অসিত ঘোষ বলেন, ‘উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাল মিলিয়ে সংগীত, নাটক, আলোচনা ও নৃত্য পরিবেশন করে থাকেন। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

বিজয়/সালমান/