বাজারে এসেছে স্মার্ট হেলমেট । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

বাজারে এসেছে স্মার্ট হেলমেট

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
বাজারে এসেছে স্মার্ট হেলমেট

বাইক চালানোর সময় কল ধরা বা দীর্ঘ পথে গান শোনা কতটা ঝামেলাপূর্ণ তা কেবল বাইকাররাই জানেন। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এসব সমস্যার সমাধানও এসেছে। বাজারে এসেছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সমৃদ্ধ স্মার্ট হেলমেট, যা বাইক চালানোকে আরও সহজ ও আনন্দময় করবে। নানা হেলমেট প্রতিষ্ঠান নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করছে বিশেষ ধরনের হেলমেট। এবার ভারতীয় হেলমেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আর্থার এনার্জি দুই ধরনের ডিজাইনের স্মার্ট ‘হ্যালো’ হেলমেট বাজারে এনেছে। হাফ ফেস ও ফুল ফেস ডিজাইনের এই স্মার্ট হেলমেট ব্লুটুথের মাধ্যমে ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

স্মার্ট হেলমেটের ফিচার
হাই-টেক ফিচার সম্পন্ন হেলমেটে শোনার জন্য রয়েছে দুটি স্পিকার। স্পিকার থাকলেও, অ্যাম্বুলেন্স ও হর্নের আওয়াজ ভালোভাবে শুনতে পাবেন রাইডাররা। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি থাকায় এটি ফোনের সঙ্গে সহজে যুক্ত করতে পারবেন। বাইকাররা ধরতে পারবেন কলও। প্রতিষ্ঠানটির দাবি এই হেলমেট মজবুত উপাদান দিয়ে তৈরি বলে স্ক্র্যাচ ফ্রি।

আর্থার এনার্জি কোম্পানির স্কুটিতে এই হেলমেট সংযুক্ত করা যাবে। হেলমেটের ভেতরে রয়েছে একাধিক সেন্সর, যা অটোমেটিক স্মার্টফোনের সঙ্গে কানেক্ট করতে সাহায্য করবে। এতে রয়েছে ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী, এক চার্জে পুরো এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে। যদিও চার্জিং হতে কতক্ষণ সময় লাগবে ও ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন, তা জানা যায়নি।

এই স্মার্ট হেলমেটে অত্যাধুনিক একটি ফিচার হলো চিটচ্যাট। এই ফিচারের কাজ হলো বাইকের চালক ও পিলিওনের কথা বলার সময় সংযোগ ঘটানো। অনেক সময় বাইক চলাকালে চালকের সঙ্গে থাকা অন্য সঙ্গী রাইডারদের কথা শুনতে পান না। তবে চালক ও পিলিওন উভয়ের মাথায় যদি এই হেলমেট থাকে, তাহলে তারা স্পিকার ও মাইক্রোফোন থাকায় নির্বিঘ্নে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। পাশাপাশি দুজন একই মিউজিক শুনতে পারবেন। হাফ ফেস মডেলের দাম পড়বে ৪ হাজার ৯৯৯ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা। আর ফুল ফেস হেলমেটের দাম ১২ হাজার ৯৯৯ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ হাজার টাকার বেশি। কোম্পানির ওয়েবসাইট ও শো-রুম থেকে অর্ডার করা যাবে।

বাজারে এই মুহূর্তে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটিযুক্ত হেলমেট ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছে। সেই দৌড়ে স্মার্ট হ্যালো হেলমেট যুক্ত করল আর্থার। তবে এমন হেলমেট পরে বাইক রাইডাররা মনোযোগ হারাবে কি না, সেই প্রশ্ন অনেকের।

এ.জে/জাহ্নবী

বেইজিং অটো শোতে বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
বেইজিং অটো শোতে বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য
২০২৪ বেইজিং অটো শো

চীনের বৃহত্তম গাড়ি প্রদর্শনী ‘২০২৪ বেইজিং অটো শো’ গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়েছে। নয় দিনব্যাপী এ আয়োজন শেষ হবে আগামী কাল ৪ মে। এ প্রদর্শনীতে বিশ্বের বড় বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বাধুনিক বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রদর্শন করছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি বাজার এখন সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে ঝুঁকেছে। গত বছরের সাংহাই অটো শোতে ৯৩টি নতুন মডেল প্রদর্শিত হয়েছে। তবে এবার বেইজিং অটো শোতে মোট ১১৭টি নতুন মডেলের গাড়ি উন্মোচন করা হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া এই আয়োজনে মোট ২৭৮টি নতুন নিউ এনার্জি ভেহিকল প্রদর্শিত হবে, যা গত বছরের চেয়ে সাতটি বেশি।

এই প্রদর্শনীটি এমন সময়ে হচ্ছে, যখন এপ্রিলের শুরুর দিকে নিউ এনার্জি ভেহিকল বিক্রি মাইলফলকে পৌঁছেছে। গাড়িসংশ্লিষ্ট সংগঠনের তথ্য অনুসারে,
বর্তমানে চীনে বিক্রি হওয়া গাড়ির ৫০ শতাংশের বেশি নিউ এনার্জি ভেহিকল।

গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলো নতুন মডেল ও সাশ্রয়ী মূল্যে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছে। এক বছর ধরে চলা মূল্যযুদ্ধে লাভের অঙ্ক কমিয়ে দিলেও বেড়েছে বিক্রি।

চীনা ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা নিও (Nio)-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উইলিয়াম লি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘বেইজিং অটো শোতে পেট্রোলচালিত গাড়ির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই। সবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রযুক্তি খুঁজছে।’

এবারের বেইজিং অটো শোতে আকর্ষণীয় গাড়িগুলো:

ভিডব্লিউ আইডি কোড


জার্মান গাড়ি নির্মাতা ভক্সওয়াগন (ভিডব্লিউ) সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি সিরিজ আইডি লাইনে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আকর্ষণীয় মডেল ‘আইডি কোড’। এটি নিচু আসনের গাড়ি, যা চীনের নতুন এসইউভি প্রজন্মের পূর্বাভাস দেয়। ভক্সওয়াগনের সিইও টমাস শেফার জানিয়েছেন, ‘এটি চীনা গ্রাহকদের চাহিদা ও পছন্দ পূরণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।’ তবে প্রদর্শনীতে আসা ইউরোপীয় দর্শকরা আশা করছেন, এই গাড়ির নকশা ইউরোপে ভক্সওয়াগনের আগামী প্রজন্মের আইডি এসইউভিগুলোর নকশাকেও প্রভাবিত করবে।


ডেনজা জেড৯জিটি


বিওয়াইডির বিলাসবহুল গাড়ি ব্র্যান্ড ডেনজা ফ্ল্যাগশিপ গাড়ি ‘জেড৯জিটি’ মডেলের মাধ্যমে নিজস্ব স্বতন্ত্র ডিজাইন ও ব্র্যান্ড পরিচিতি তৈরি করেছে। এটি ব্র্যান্ডটিকে অন্যান্য চীনা গাড়ি নির্মাতা সংস্থা থেকে আলাদা করেছে। ব্র্যান্ডটি প্রায়শই পোরশের বিভিন্ন মডেলের নকশা অনুকরণ করে গাড়ি তৈরি করেছে। ডেনজার এই স্বাতন্ত্র্যের পেছনে রয়েছেন জার্মান ডিজাইনার ওলফগ্যাং এগার। যিনি এর আগে আলফা রোমিও ও অডির মতো বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানির জন্য কাজ করেছেন।

শাওমি এসইউ৭


জনপ্রিয় চীনা মোবাইল ফোন ও কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি শাওমি প্রথম ‘এসইউ৭’ মডেলের গাড়ির মাধ্যমে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই গাড়িটি বর্তমান পোরশের মডেলগুলোর থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হচ্ছে। এটি চীনা বাজারে ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বেইজিং অটো শো শুরুর আগের দিন পর্যন্ত এসইউ৭ গাড়ির ৭৫ হাজার ৭২৩টি অর্ডার জমা পড়েছে। মডেলটি চালু হওয়ার মাত্র ২৮ দিনের মধ্যে ৫ হাজার ৭৮১টি গাড়ি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে।

জাহ্নবী

 

চীনা বাজারে অবস্থান শক্ত করতে টেনসেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব টয়োটার

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
চীনা বাজারে অবস্থান শক্ত করতে টেনসেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব টয়োটার

শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা চীনের গাড়ির বাজারে প্রতিযোগিতার ধার বাড়াতে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি টেনসেন্টের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে। চীনে বিক্রি হওয়া টয়োটার বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং ও বড় আকার ডেটার ক্ষেত্রে কোম্পানি দুটি একে অপরকে সহযোগিতা করবে।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বেইজিং অটো শোতে এক সংবাদ সম্মেলনে টয়োটার নির্বাহী সহসভাপতি ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিরোকি নাকাজিমা এই কৌশলগত জোটের ঘোষণা দেন। ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সেবা প্রদানকারী টেনসেন্ট অটোমোবাইল শিল্পে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির আশায় এই সেক্টরে প্রবেশ করছে।

কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে টয়োটার বহুমুখী পদ্ধতির অংশ হিসেবে বেইজিং অটো শোতে কোম্পানিটি বিজেডথ্রিসি ও বিজেডথ্রিএক্স মডেলের দুটি নতুন ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক গাড়ি প্রদর্শন করেছে। এই মডেলগুলো গত বছরের সাংহাই অটো শোতে কনসেপ্ট গাড়ি হিসেবে প্রদর্শিত করেছে। বর্তমানে মডেল দুটি বড় আকারের উৎপাদনের জন্য আরও উন্নত করা হয়েছে। টয়োটা আগামী এক বছরের মধ্যে চীনে এই দুটি গাড়ি বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।

এই দুটি মডেলেই সর্বাধুনিক ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ও স্মার্ট ককপিট রয়েছে, যা নিরাপদ ও আরামদায়ক ড্রাইভিংয়ের পাশাপাশি নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। টয়োটা জানিয়েছে, প্রতিটি অঞ্চলের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে, একটি গতিশীল ভবিষ্যতের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।

এ.জে/জাহ্নবী

সহজে সারান গাড়ির ডেন্ট

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
সহজে সারান গাড়ির ডেন্ট

গাড়ি কেনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের শখ পূরণ হয়েছে। সেই গাড়িকে ভালোবাসেন নিজের প্রাণের চেয়েও বেশি। তবে বিপত্তি বাধে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে। অ্যাক্সসিডেন্ট কিংবা নানান অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে গাড়ি প্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে প্রয়োজন পড়ে গাড়ির পেন্টিংয়ের বা ডেন্ট সারানোর। আজকের আয়োজনে গাড়ির ডেন্ট সারানোর প্রাথমিক তথ্য তুলে ধরা হলো।

গাড়ির ডেন্টিং সারানো
সহজ কথায় গাড়ির ক্ষত সারানোয় ডেন্টিং সমস্যার সমাধান। দুর্ঘটনা বা কোনো আঘাতে আমাদের ব্যক্তিগত কিংবা করপোরেট অফিসের গাড়িতে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে। আবার অনেক সময় আঘাতে গাড়িতে টোলও পড়ে। তখন গ্যারেজ বা কার সার্ভিং সেন্টারে গিয়ে ডেন্ট সমস্যার সমাধান করাতে হয়। শখের গাড়ি দেখতে খারাপ দেখাক- তা কেউ চায় না। তাই গাড়ির যেকোনো ধরনের সুরক্ষার জন্য সাধারণত ডেন্ট সারাতে হয়। শুধু দুর্ঘটনার কারণে গাড়ির ডেন্ট সারাতে হবে বিষয়টি আসলে এমন নয়। দুর্ঘটনা ছাড়াও আরও অনেক কারণে গাড়ির ডেন্ট সারাতে হয়।

গাড়ির বাহ্যিক আবরণের সুরক্ষায়
গাড়ির টোল বা ছোটোখাটো ডেন্টিং সমস্যা ব্যবহারকারী হয়তো সহজভাবে নেয়। তবে ছোটোখাটো ডেন্ট গাড়ির জন্য বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। সময়মতো এধরনের সমস্যার সমাধান না করা হলে, গাড়ির রং ফিকে হয়ে যায়। আবার মাঝে মাঝে গাড়ি নতুন করে রং করতে হয়। গাড়ির এই নতুন রং মরিচা ও ক্ষয় হয়ে যাওয়া থেকে গাড়িকে সুরক্ষা প্রদান করে। ডেন্ট সারালে গাড়ির বাহ্যিক আবরণ সুরক্ষিত থাকে।

গাড়ির ফের বিক্রিতে সুবিধা 
একজন গাড়ির মালিক শুধু গাড়ির মালিকই থাকেন না, সঙ্গে সঙ্গে তিনি গাড়ির ফের বিক্রিকারীও বটে। ব্যবহারকারী যদি গাড়িটিকে আবার বিক্রি বা রি-সেইলিংয়ের কথা ভেবে থাকেন, তবে ডেন্টিং নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। গাড়িকে সার্ভিস করার সময় এমন ভাবে ডেন্টিং ঠিক করা হয় যাতে গাড়িকে একদম নতুনের মতো মনে হয়। তাই গাড়ি আবার বিক্রির চিন্তা করলে সময়মতো ডেন্টিং ঠিক করুন।

সময় ও অর্থ বাঁচায়
সময়মতো ডেন্ট সারালে আগামী দিনের বড় ধরনের ক্ষতিগুলো থেকে রক্ষা পায়। তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি গ্যারেজে ফেলে রাখলে, যতই সময় যাবে গাড়ি ডেন্ট ঠিক করতে তত বেশি অর্থ খরচ হবে। সময়মতো গাড়ির ডেন্ট সারালে সময় ও অর্থ সবকিছুই বাঁচবে। তাই স্বল্প সময়ের মাঝেই এধরনের সমস্যার সমাধান করে গাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।

গাড়ির সুরক্ষায়
ডেন্টিং সমস্যার সমাধান করলে আরও অনেক সমস্যার সমাধান হয়, যা খালি চোখে দেখা যায় না। উদাহরণস্বরূপ গাড়ির দরজা, ব্যাক-সাইড পার্ট বা সিটের কোনো সমস্যা থাকলে তা সহজেই চোখে পড়ে, যা সহজেই সারানো সম্ভব। তবে ইঞ্জিনের কাছাকাছি বা অন্য কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যা খালি চোখে ধরা পড়ে না। ডেন্ট না সারালে গাড়ি সুরক্ষাহীন হয়ে পড়ে। গাড়িকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে অভ্যন্তরীণ ডেন্ট সারাতে নজর দিন।

ঘরে বসে কার ডেন্টিং সারানোর উপায়
বর্তমানে চাইলে ঘরে বসেই গাড়ি ডেন্ট সারানো যায়। যদিও এই বিষয়ের জন্য অনেক সাবধানতা মেনে চলতে হবে। ছোটোখাটো ডেন্টিং ইস্যু থাকলে নিজেই তা সমাধান করতে পারেন।

মাস্কিং টেপের সাহায্যে
চাইলে মাস্কিং টেপের সাহায্যে ছোটোখাটো ডেন্ট সারাতে পারেন। ভালো মানের কিছু মাস্কিং টেপে খুব শক্তিশালী আঠা থাকে, যা গাড়ির ছোট ছোট ডেন্ট সারানোর কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কাজের জন্য গাড়ির যে অংশে টোল পড়েছে, সেদিকে মাস্কিং টেপ যুক্ত করে জোরে টানতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির সেই অংশ আস্তে আস্তে উঠতে শুরু করবে। এই পদ্ধতি ছোট ধরনের ডেন্ট সমস্যার সমাধানের জন্য প্রযোজ্য। হাতে সময় না থাকলে বা সার্ভিসিং সেন্টারে না যেতে পারলে এই শর্টকাট পদ্ধতি ব্যবহার করুন।

এ.জে/জাহ্নবী

দেশের বাজারে বিওয়াইডির গাড়ির দাম কত

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
দেশের বাজারে বিওয়াইডির গাড়ির দাম কত

চীনের শেনজেনভিত্তিক বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিল্ড ইয়োর ড্রিমস বা বিওয়াইডির বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি বিওয়াইডি সিল গাড়ি গত মার্চ মাসে দেশের বাজারে এনেছে সিজি-রানার বাংলাদেশ লিমিটেড। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সেডান মডেলের প্রিমিয়াম বিওয়াইডি সিলের দুটি সংস্করণ উন্মোচন করেছে।

চলতি মাসের ৬ তারিখ বিওয়াইডি সিলের দুটি মডেলের গাড়ির মূল্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিওয়াইডি এক্সটেন্ডেড রেঞ্জের দাম ধরা হয়েছে ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও পারফরম্যান্স মডেলের গাড়িটি পাওয়া যাবে ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। বিওয়াইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। যারা এই গাড়ি কিনতে আগ্রহী তারা বর্তমানে অর্ডার করতে পারবেন। এ ছাড়া গাড়িটি পরীক্ষামূলক চালানোর (টেস্ট ড্রাইভ) সুযোগও রয়েছে। টেস্ট ড্রাইভ করতে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

এক থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিওয়াইডি সিলের দুটি মডেলের যেকোনো গাড়ি অর্ডার করা যাবে। যারা দামের ৫০ শতাংশ দিয়ে অর্ডার করবেন, তাদের জন্য নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা থাকবে। ৫০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে অর্ডার করা প্রথম পাঁচজন ক্রেতার নিবন্ধন ফি দিতে হবে না। ক্রেতারা রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিওয়াইডির পরিবেশক সিজি-রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে গাড়ি কেনার অর্ডার দিতে পারবেন।

এখনো দেশে চার্জিং স্টেশনের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক গড়ে না ওঠায়, প্রথমদিকে এর ব্যবহারকারীদের চার্জিং নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে। দেশে যে তিনটি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে, সেগুলোর অবস্থানও রাজধানীতে। তবে সারা দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য দেশের সক্রিয় ইভি ব্যবসায়ীরা চার্জিং নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য উদ্যোগ খুঁজছেন।

এ.জে/জাহ্নবী

সহজেই করুন ড্রাইভিং লাইসেন্স

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ এএম
সহজেই করুন ড্রাইভিং লাইসেন্স

ড্রাইভিং লাইসেন্স কেবল গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র নয়, এটি ব্যক্তি পরিচয় শনাক্তকরণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। দেশের যেকোনো স্থানে গাড়ি চালানোর জন্য বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স অপরিহার্য। এটি কেবল চালকের কারিগরি দক্ষতা প্রমাণ করে না বরং পথচারী ও চালকের নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩-এর ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া সর্বসাধারণের ব্যবহৃত গাড়ি রাস্তায় চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই দেশের যেকোনো স্থানে গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বশর্ত
এখন কেউ চাইলেই ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিআরটিএ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট bsp.brta.gov.bd-তে ঢুকে মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে, লগইন করতে হবে। তারপর লার্নার লাইসেন্সের জন্য একটি ফরম আছে, সেটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। যেকোনো ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। অপেশাদারের জন্য বয়স হতে হবে ন্যূনতম ১৮ বছর। আর পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স হতে হবে ন্যূনতম ২১ বছর। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে।

অনলাইন সিস্টেম থেকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হবে ও গ্রাহক সঙ্গে সঙ্গেই সিস্টেম থেকেই তার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এরপর তাকে দুই থেকে তিন মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। এ সময় প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র, লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মূল কপি সঙ্গে আনতে হবে।

আবেদনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে হয়। এখানে বেশ কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। 

আবেদনকারীর ছবি (সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোবাইট)। 
রেজিস্টার্ড ডাক্তারের মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোবাইট)।
জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোবাইট)।
ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোবাইট, আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয়, তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত 
করতে হবে)।
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০ কিলোবাইট)।

তবে মনে রাখতে হবে, অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য দিলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিআরটিএ।

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ নিয়ে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।

স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
রেজিস্টার্ড ডাক্তারের কাছ থেকে মেডিকেল সার্টিফিকেট।
জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
নির্ধারিত ফি বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেওয়ার রসিদ।
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট 
সাইজ ছবি

প্রয়োজনীয় ফি
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন শেষে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। ক্যাটাগরি ১ এবং ২-এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় (ডিসিটিসি) উত্তীর্ণ প্রার্থীকে স্মার্ট কার্ডের জন্য ১০ বছর মেয়াদি অপেশাদার লাইসেন্স ও ৫ বছর মেয়াদি পেশাদার লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি বিআরটিএর নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ডাক বিভাগের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ করা হয়, 
তাই ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ৬০ টাকা দিতে হবে।

তথ্য সূত্র: বিআরটিএ

জাহ্নবী