অননুমোদিত ব্যক্তি দিয়ে অপারেশন ও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার (৮ জুন) রাতে সিভিল সার্জনের নির্দেশে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাইমা নুসরাত জাবীন দত্তেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল নাম দিয়ে লোকজনকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করে অনেকের চোখ নষ্ট করা এবং অননুমোদিত ব্যক্তি দিয়ে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার নামে বিভিন্ন হাট-বাজারে ক্যাম্প করে প্রতারণা করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
ডা. নাইমা নুসরাত জাবীন খবরের কাগজকে বলেন, অভিযানের সময় এটিকে আমার হাসপাতাল হিসেবে মনে হয়নি। এখানে অসংখ্য রুমের প্রত্যেকটিতে মাদকের আখড়া এবং যুবক-যুবতীদের আবাধ বিচরণ দেখা গেছে। এতে মনে হয় হাসপাতালটি অসামাজিক কার্যকলাপের নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরও বলেন, অননুমোদিত ব্যক্তি দিয়ে রোগীর চোখ অপারেশন করার প্রমাণ পাওয়ায় হাসপাতালটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অসামাজিক কার্যকলাপসহ বাকি অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। কারণ হাসপাতাল নাম দিয়ে এ ধরণের অনিয়ম চলতে দেওয়া যায় না।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার খবরের কাগজকে বলেন, অভিযানে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দত্তেরহাটের নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল (প্রাইভেট) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মজনু/এমএ/