ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

মায়ানমার সীমান্তরক্ষীর ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০:১২ পিএম
মায়ানমার সীমান্তরক্ষীর ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে
ছবি : খবরের কাগজ

জীবন বাঁচাতে মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য। তারা নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। 

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘সকালে টেকনাফের সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া ও নয়াপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিজিপির সদস্যরা এসে আশ্রয় নেন। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। এ নিয়ে ১২৩ জন বিজিপির সদস্য আমাদের হেফাজতে আছেন। শিগগিরই তাদের মায়ানমার ফেরত পাঠানো হবে।’ 

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাখাইনে চলমান সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসার সময় নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় গত তিন দিনে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।

পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জানেন না চা শ্রমিকরা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১৭ এএম
পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জানেন না চা শ্রমিকরা
খবরের কাগজ

মাতৃত্বকালীন ও কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সিলেটের চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের সঙ্গে সিলেটের পরিবার পরিকল্পনায় কাজ করা বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 মঙ্গলবার  (৮জুলাই) ১২টায় পরিবার পরিকল্পনা জেলা অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের মাতৃ ও কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করা প্রকল্পের আওতায় এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) এই সভার আয়োজন করে। সভায় পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন সেক্টরের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি, চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ও চা শ্রমিকরা তাদের কার্যক্রম ও সমস্যার কথা আলোচনা করেন। 

কেওয়াছড়া চা বাগানের প্রীতি দাস দীপা বলেন, ‘এই সভায় মাত্র জানলাম কেওয়াছড়া বাগানের পাশে কোনো মেডিকেল আছে। কেওয়াছড়ার একজন মিডওয়াইফ আছেন। আমার মতো কেওয়াছড়া চা বাগানের বেশির ভাগ চা শ্রমিক সরকারি এসব স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জানেন না।’

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. নিয়াজুর রহমান। পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন এবং এ-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক বিশ্বজিত কৃষ্ণ চক্রবর্তী। বক্তব্য দেন সিলেট সদর উপজেলা এমওএমসিএইচ ডা. সুবর্ণা রায় তুলি, আইপাস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মো. বুরহান মৃধা এবং সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ। 

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. নিয়াজুর রহমান বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আমরা চাই চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে। এটা আমাদের দায়িত্ব আর আপনাদের অধিকার। সরকারের কাজ হলো জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য একটি মাধ্যম ও সেবা প্রয়োজন।’ 

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, ‘চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ও  প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খুব বেশি প্রয়োজন। অন্যান্য সেক্টরের মতো এখানেও তারা বঞ্চিত। তাই চা বাগান ও পাত্র সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সচেতন করতে আইপাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় আমরা তাদের কমিউনিটির নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখন এই প্রশিক্ষণ যেন কাজে আসে, সে জন্য পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে এই সভার আয়োজন করেছি।’

জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ছাত্র-জনতার নাম দেওয়া ‘বিজয় চত্বর’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১২ এএম
জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ছাত্র-জনতার নাম দেওয়া ‘বিজয় চত্বর’
জামালপুর-মাদারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ মোড়ের ‘বিজয় চত্বরের’ স্থাপনা ভাঙছে গণপূর্ত বিভাগ। মঙ্গলবার জামালপুর শহরের শেখের ভিটা এলাকায়। ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিজয় চত্বরের মূল স্তম্ভ। সেখানে জুলাই শহিদদের স্মরণে স্থাপন করা হবে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামে প্রথমে চত্বরটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘মির্জা আজম চত্বর’। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন চত্বরটির নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় চত্বর’ নাম দেন ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে শহরের শেখের ভিটা এলাকায় জামালপুর-মাদারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত চত্বরের স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় ছাত্র-জনতা। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামে নামকরণ করা হয় ‘মির্জা আজম চত্বর’। চত্বরের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত স্থাপনাটির চারদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন সময়ের প্রতিকৃতি ছাড়াও শেখ হাসিনা ও মির্জা আজমের প্রতিকৃতি ছিল। এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিকৃতিসহ পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চত্বরটিতে ব্যাপক ভাঙচুর এবং বিজয় চত্বর নামকরণ করা হয়। 

জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সারা দেশের মতো জামালপুরেও স্থাপন করা হচ্ছে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মিরপুরে সাপ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত গোখরা সাপের কামড়ে দুল্লু সাপুড়ি নামে এক ওঝার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের আখের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুল্লু সাপুড়ির বাড়ি পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোড়াদহ আখেরমোড় এলাকার আখেরের বাড়িতে বিষাক্ত গোখরা সাপের দেখা যায়। পরে বাড়ির লোকজন সাপ ধরার জন্য সাপুড়িকে খবর দেয়। এর পর সাপুড়ি সাপ ধরে হাঁড়িতে ঢুকাতে গেলে সাপ ছোবল দিলে সাপুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মিলন/মেহেদী/

ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র
ছবি: খবরের কাগজ

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693 ) খোলা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ।

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১ টি স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।  

নিলয়/মেহেদী/

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
সংগৃহীত

খুলনা জেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ২৩ ধরনের ওষুধ পেত গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি পর্যাপ্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর অভাবে পরিবার পরিকল্পনা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসাকেন্দ্রে এসে ওষুধ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। 

জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনার আওতায় ৪৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র দুটি ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক রয়েছে ৩৪৮টি। এর বাইরে ১৮৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি, ভান্ডারকোট, ফুলতলা উপজেলা, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি, গদাইপুর, রাড়ুলী, চাঁদখালী, গড়ইখালী ও তেরখাদা উপজেলার আজগড়ায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র পরিচালিত হয়। এসব ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাথমিক সেবা দেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসেবা ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ২৩ ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীও তুলনামূলক কমে গেছে। স্বাস্থ্য সহকারী রোকসানা আক্তার জানান, রোগীর সংখ্যা আগের মতো নেই। কারণ সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীকে শুধু ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে সেবা নিতে এসে কেউই ওষুধ পাননি। শুধু রোগের বিবরণ শুনে প্রেসার আর ওজন মেপে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তবে তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ প্রতিরোধের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

রূপসা উপজেলার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহও কমেছে। ফলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। কবে ওষুধের সংকট কাটবে, সেটা কেউই বলতে পারে না।’ 

খুলনার দিঘলিয়ায় গত এপ্রিলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা দম্পতির সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার ৪২৪। একইভাবে ডুমুরিয়ায় ৫৪ হাজার ৮১৬, সদরে ৪৪ হাজার ১৬২, দাকোপে ২৫ হাজার ১৮৭, তেরখাদায় ২০ হাজার ৫১, ফুলতলায় ২৩ হাজার ৯৯, বটিয়াঘাটায় ৩২ হাজার ২৭৯, পাইকগাছায় ৪৬ হাজার ৯৮৩, রূপসায় ৩১ হাজার ৩০৬, কয়রায় ৩১ হাজার ৬৫৭ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কম। 

তবে খুলনা জেলার পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক আকিব উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ ছিল না। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে সেটা স্বাভাবিক হবে বলে জানা গেছে। আর জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ইতোমধ্যে পৌঁছেছে। যখন জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ঘাটতি ছিল, ওই সময় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহিত করা হয়েছে।’