ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আত্মগোপনে অনেক কাউন্সিলর, মেয়র সূচনার হদিস নেই

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১২ এএম
আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আত্মগোপনে অনেক কাউন্সিলর, মেয়র সূচনার হদিস নেই
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বেশির ভাগ কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে গেছেন। সেই সঙ্গে হদিস মিলছে না মেয়র তাহসিন বাহার সূচনারও। কোথায় আছেন তিনি, এ তথ্য কারও কাছে নেই। তবে আত্মগোপনে থাকা কুমিল্লা সিটির কাউন্সিলরদের মধ্যে অনেকেই ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতাও।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দিন দুপুর পর্যন্ত সিটি মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার নেতৃত্বে কুমিল্লার মোড়ে মোড়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু দুপুরের পর যখন বিভিন্ন সূত্রে খবর আসতে থাকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করছেন- তখন গা বাঁচাতে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যেতে থাকেন।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৫ আগস্ট বেলা তিনটা থেকে ৫টার মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চারজন কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মী ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী গোলাম সারোয়ার শিপন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানসহ আরও কয়েকজন কাউন্সিলর ভারতে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ বিশেষ সময়ে তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে বাংলাদেশি একটি মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে ৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত মেয়র তাহসিন বাহার সূচনা কুমিল্লায় থাকলেও এখন তিনি কোথায় আছেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

মেয়রের আত্মগোপনে থাকা নিয়ে নগরজুড়ে নানা মুখরোচক আলোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন, তিনি কোনো বাহিনীর হেফাজতে আছেন। কেউবা বলছেন আশপাশেই কোনো অপরিচিত কর্মীর বাসায় গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে একটি বাহিনীর গাড়িতে ৩/৪ জন নারীকে বসিয়ে রানীর দিঘির পাড়ের দিকে যেতে দেখা গেছে। জনতা তখন ওই বাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল। কিন্তু এই নারীরা কারা সেটা বোঝা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, ওই নারীদের মধ্যে কুমিল্লার মেয়র সূচনাও আছে। তবে তাকে আটক বা হেফাজতে রাখার বিষয়ে কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।

এদিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর কুমিল্লা সিটি মেয়রসহ অধিকাংশ কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় নাগরিক কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী মিলিয়ে মোট ৩৬ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তাদের দুই/তৃতীয়াংশই আওয়ামী ঘরানার। ৫ আগস্টের পর থেকে তারাই মূলত পালিয়েছেন। তাদের ওয়ার্ডেই সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহিব্বুর রহমান তুহিন বলেন, ‘প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। তারা মূলত আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। বাকি ১০/১১ জন নিজ নিজ ওয়ার্ডেই আছেন। আমার ওয়ার্ডে নাগরিক সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। মেয়রের অনুপস্থিতিতে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০
ঈদে মিলাদুন্নবীর জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী জলসে মিছিলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মীর আরিফ মিলন (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১০-১২টি দোকানপাট ও ঘর ভাঙচুর এবং এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিলন উপজেলার ছয়সূতি এলাকার মৃত মীর জাবু মিয়ার ছেলে।  

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলিয়ারচরের ছয়সূতির প্রতাপনাথ বাজার এলাকার সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজার আয়োজিত মাহফিলে মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর আগমনকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে সুন্নি সমর্থক ও ইমাম-উলামাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইমাম-উলামা পরিষদের সমর্থক মীর আরিফ মিলন নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কুলিয়ারচর ইমাম-উলামা পরিষদের নেতা মুফতি নাসির উদ্দিন রহমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আসাদুল্লাহ বলেন, ‘প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কয়েক দফা কথা বলেছি। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। কিন্তু তাদের ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসের মিছিল করতে দেয়। তারা আমাদের এক ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং অনেকে আহত হয়েছেন। তারা হুসাইয়নিয়া মাদ্রাসা ও কেন্দ্রীয় মসজিদে বেদাতিরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে।’ 

সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারের খাদেম সৈয়দ ফয়জুল আলম বলেন, ‘গতকাল গিয়াস উদ্দিন তাহেরী হুজুরকে দিয়ে একটি মাহফিল করানোর কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাহফিল আয়োজন বন্ধ করে দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মিছিল বের করি। তারা আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়ে মাজারসহ ৮-১০টি ঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আহলে সুন্নতে জামায়েত একটি মিছিল ছিল। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমাম-উলামা পরিষদের লোকদের সঙ্গে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিল গেলে সে সময় মিছিল থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী মসজিদের দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে দু’পক্ষের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইমাম-উলামা পরিষদের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।’

সালমান/ 

 

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম
পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিফতাহুল জন্নাত (১০) ওই এলাকার জমির উদ্দিনের মেয়ে এবং সানজিদা হোছাইন ইমু (৮) নবী হোছাইনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। জন্নাত কাহারিয়া ঘোনা সিকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি ও ইমু চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী। 

এদিকে স্থানীয় সিকদারপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মওলানা ফুরকান উদ্দিন জানান, জন্নাত ও ইমু সকালে কয়েকজন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে উঠানে খেলছিল। খেলার ছলে সবার অজান্তে পুকুরে ডুবে যায় তারা। পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদের পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন তারা। তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। এ সময় আহাদ জামান (৬) নামের এক শিশুকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে শিশুটি।

ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’

সালমান/

 

ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, ভিসা বাতিল বাংলাদেশি যুবকের
আলমগীর শেখ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলার অভিযোগে তাকে আটক করে ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
 
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে রবিবার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 

আলমগীর শেখ পাটগ্রাম পৌর শহরের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারত যান আলমগীর হোসেন। ভারতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। পরে বিষয়টি নিরাপত্তা আধিকারিকদের নজরে আসে। পরে আলমগীরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে ফেরত আসার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। 

আলমগীর শেখ ভারতের আগ্রার তাজমহলে গিয়ে ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।’

এমআই বকুল/জোবাইদা/অমিয়/

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ৪৬ ঘণ্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু
ছবি : খবরের কাগজ

বৈরী আবহাওয়ায় ৪৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে নদীপথে দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে নদী উত্তাল হয়ে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ওইদিন বেলা ১১টা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সকাল ৯টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে মোট ১৭টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

আসাদ জামান/জোবাইদা/অমিয়/

সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
সীমান্তে আবারও মহিষের চালান আটক
৪৮ বিজিবির অভিযানে আটক ভারতীয় মহিষ ও মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের চালান। ছবি : খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মহিষ ও পৃথক অভিযানে ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিজিবি এ অভিযান পরিচালনা করে।

পরের দিন রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়। 

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৪৮ বিজিবির অধীন সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা ব্রিজের সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করা হয়। 

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতায় এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাতে সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর এবং বাংলাবাজার বিওপির টহলদল সীমান্ত এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এক হাজার ১৬৬ পিস ভারতীয় স্মার্ট মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে­ এবং সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১৬টি ভারতীয় মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দলের টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।

জোবাইদা/অমিয়/