ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

চোখের হেফাজত মানে ঈমানের হেফাজত

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
চোখের হেফাজত মানে ঈমানের হেফাজত
প্রতীকী ছবি

আল্লাহতায়ালার দেওয়া নেয়ামতের মধ্যে একটি বড় নেয়ামত হলো চোখ। চোখের মাধ্যমেই আমরা আল্লাহতায়ালার সৃষ্টিসমূহ দেখি, তারপর চিন্তা ও উপলব্ধি করে জ্ঞান অর্জন করি। ইমাম কুরতবি (রহ.)-এর মতে, ‘চোখ অন্তরে কোনো কিছু প্রবেশের বড় দরজা।’ অর্থাৎ চোখ হলো মানবাত্মার চিন্তার খোরাকের প্রবেশদ্বার। অন্তরে প্রশান্তি আর পরকালে সুখময় জীবনলাভের জন্য চোখের যেমন বিকল্প নেই, তেমনি বড় বড় পাপ কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও চোখের দৃষ্টির বিকল্প নেই। সাধারণত বড় বড় পাপ কাজ সম্পাদনের প্রাথমিক ধাপ হলো চোখ। 


পশ্চিমা সংস্কৃতিকে অন্ধ অনুকরণ করতে গিয়ে মানুষ দিন দিন তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে ধ্বংসের দিকে আপতিত হচ্ছে। তাই সমাজকে এই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে বাঁচাতে দৃষ্টির হেফাজতের বিকল্প নেই। দৃষ্টির হেফাজতের মাধ্যমেই একজন মুসলমান প্রকৃত মুমিনে পরিণত হতে পারে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। (সুরা নূর, ৩০)


দৃষ্টির মাধ্যমে শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করে দিতে যেমন উদ্ধত, তেমনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাও দৃষ্টির হেফাজতের মাধ্যমে মানুষের অন্তরে প্রশান্তি দান করতে সর্বদা প্রস্তুত। দৃষ্টির হেফাজতের মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালা মানুষের অন্তরে নূর সৃষ্টি করেন। আর এ নূরের কারণে একজন ব্যক্তির ইলমের পথ খুলে যায় এবং ইলমের সব উপকরণ তার জন্য সহজ হয়ে যায়। এটি মানুষের অন্তরে তৃপ্তি, আনন্দ এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। আমরা যখনই বেগানা কোনো নারী বা পুরুষের দিকে দৃষ্টিপাত করি তখন আমাদের মনে অস্থিরতা কাজ করে। যার কারণে আমরা কাজে-কর্মে মনোযোগ দিতে পারি না, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না। দৃষ্টির হেফাজতের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা অন্তরের এসব অশান্তি, ছটফটানি, আফসোস থেকে মানুষকে হেফাজত করে। 


চোখের হেফাজত মানুষকে জাহান্নাম থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। কেননা কুদৃষ্টি মানুষকে অশ্লীল কাজের দিকে ধাবিত করে। দৃষ্টির হেফাজত দ্বারা মানুষের দূরদর্শিতা বৃদ্ধি পায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়। এ সম্পর্কে আল্লামা কিরমানী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি তার বাহ্যিক দিকসমূহকে সুন্নাত দ্বারা সাজায়, আর সব সময় অন্তর দিয়ে আল্লাহর কথা চিন্তা করে, নিষিদ্ধ বস্তু হতে চোখকে হেফাজত করে, প্রবৃত্তিকে অন্যায় কর্ম হতে বিরত রাখে এবং হালাল খায়- সে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে কখনোই অক্ষম হবে না। অর্থাৎ, নিজেকে কুপ্রবৃত্তি থেকে দূরে রাখতে দৃষ্টির হেফাজতের গুরুত্ব অপরিসীম। 


দৃষ্টি সংযত নিয়ে আমাদের সমাজে নারীদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন আল্লাহতায়ালা কেবল পুরুষদেরকেই দৃষ্টি সংযত করার নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই একজন নারীর বেগানা পুরুষের দিকে তাকানোকে তারা তেমন ক্ষতিকর মনে করেন না। অনেক পর্দাশীল নারীদের অন্তরেও এ ভুল ধারণা লালিত আছে। কিন্তু আল্লাহতায়ালা নারী-পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এ কথা আমরা অনেকেই জানি না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, মু’মিনা নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। (সুরা নূর, ৩১) 


দৃষ্টি সংযত রাখা মানে অন্ধ হয়ে চলাকে বুঝায় না, বরং হারাম বস্তুকে উপেক্ষা করাই হলো দৃষ্টি সংযত রাখা। চোখের মাধ্যমেই যেহেতু ফিতনার আশঙ্কা বেশি থাকে, সেহেতু আমাদের দৃষ্টিকেই প্রথমে সংযত রাখতে হবে। আর দৃষ্টি সংযত রাখার প্রধান উপায় হলো দৃষ্টি অবনত রাখা। হারাম বা ফিতনার দিকে নিয়ে যায় এমন বস্তু থেকে সর্বদা দৃষ্টি অবনত রাখতে হবে। আর যদি অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেসব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি চলে যায়, তা হলে সাথে সাথেই তা ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার যেন মুখ ফেরানো না হয়। কেননা দ্বিতীয়বারের তাকানোতে শয়তানের কুমন্ত্রণা থাকে। আমাদেরকে যখনই শয়তান দৃষ্টির খিয়ানত করার কুমন্ত্রণা দেয়; সাথে সাথেই আল্লাহর জিকিরে নিমগ্ন থাকতে হবে। কারণ আল্লাহর জিকির মানুষকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাজত করে এবং অন্তরে প্রশান্তি দান করে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহকে ভয় করে, শয়তানের কোনো দল যখন তাদের ঘিরে ধরে, তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। সুতরাং তাদের অনুভূতি চলে আসে।’ (সুরা আরাফ, ২০১) 


পরিশেষে, দৃষ্টিকে সংযত রাখতে হলে আমাদেরকে বিশুদ্ধচিত্তে নিয়ত করতে হবে। প্রত্যেক কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যখন পাপ থেকে দূরে থাকার নিয়ত করি, আল্লাহতায়ালা তখন আমাদের ওপর খুশি হন। আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দা যখন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা আমলনামায় লিখো না যতক্ষণ না সে ওই পাপটি করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে, তা হলে তার এই পাপটি নেকি হিসেবে লিখো। আর যদি বান্দা নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে ওই নেকি করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখো। অতঃপর যদি সে নেকি করে তা হলে তার জন্য ওই নেকি দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত লিখো। (বুখারি ও মুসলিম)। হতে পারে দৃষ্টি সংযত রাখার ইচ্ছা পোষণ এবং তা বাস্তবে লালন করার মাধ্যমেই আল্লাহতায়ালা আমাদের নেকির পরিমাণ দশগুণ থেকে সাতশ গুণ বাড়িয়ে দেবেন। 

 

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?
আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করার ছবি। সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপিত হতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি তারিখে। যা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত ও শ্রদ্ধার। তবে চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

১২ রবিউল আউয়াল এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন ইসলামের শেষ নবি, বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আশ্চর্যের বিষয়, একই দিনে তিনি ইন্তেকালও করেন। তাই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে স্মরণ ও শ্রদ্ধার, আবেগ ও ভালোবাসার।

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে মা আমিনার কোলজুড়ে জন্ম নেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই ইন্তেকাল করেন, মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি পিতাকে হারান। সেই এতিম শিশুই একদিন হয়ে উঠেন বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয়, প্রভাবশালী ও ন্যায়নিষ্ঠ পুরুষ।

আল্লাহতায়ালা তাঁকে প্রেরণ করেন রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমত ও করুণার উৎস রূপে। নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজ ছিল চরম অবক্ষয়ের মধ্যে। পৌত্তলিকতা, নারী অবমাননা, অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নিপীড়নের করাল গ্রাসে আচ্ছন্ন ছিল মানবতা। সেই সময়ের সমাজকে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত তথা অজ্ঞতার যুগ।

এই অন্ধকার যুগেই তিনি আগমন করেন সত্য, শান্তি ও ন্যায়ের আলোকবর্তিকা হয়ে। শৈশব থেকেই তিনি সততা, ধৈর্য, সহমর্মিতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য পরিচিত ছিলেন। আরব সমাজ তাঁকে আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করে।

৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি প্রথম ওহি নাজিল হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় ইসলামের নবযাত্রা একটি ঐশী ধর্মের উদ্ভব, যা আজ প্রায় ২০০ কোটি অনুসারীর বিশ্বাস ও জীবনপদ্ধতি।

পরবর্তী ২৩ বছর তিনি মহান আল্লাহর পথনির্দেশনায় ইসলামের আহ্বান ছড়িয়ে দেন। দুঃসহ প্রতিকূলতা, নিরবচ্ছিন্ন ত্যাগ ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করেও তিনি মানবতার কল্যাণে ইসলামের আলো পৃথিবীর কোণে কোণে ছড়িয়ে দেন।

ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান নবিজির স্মৃতিচারণায় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেন। মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ও জীবন গঠনের আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। এ দিনটি শুধুই আনন্দ বা উৎসবের নয় বরং বিশ্বনবির আদর্শ ও জীবনচর্যার অনুসরণে নিজেকে প্রস্তুত করার এক মহান উপলক্ষ।

ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১
ছেলে শিশুর ছবি। সংগৃহীত

একটি নতুন প্রাণের আগমন প্রতিটি পরিবারে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ ও সীমাহীন উচ্ছ্বাস। এই শুভক্ষণে বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো তাদের ছোট্ট সোনামণির জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা। নাম কেবল একটি পরিচয় নয়, এটি একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, ব্যক্তিত্ব এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। ইসলামিক সংস্কৃতিতে নামের গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে ডাকা হবে। অতএব, সুন্দর নাম রাখো।

ই অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার এবং অর্থবহ নামের একটি তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। 

বাংলা নাম

উচ্চারণ

ইংরেজি

আরবি

নামের অর্থ

 

ইউনুস

ইউনুস

Yunus

يونس

অনন্য মানুষ, একজন নবীর নাম

 

ইউশা

ইউশা

Yusha

يوشع

একজন নবীর নাম

 

ইউসুফ

ইউছুফ

Yusuf

يوسف

একজন নবীর নাম

 

ইউহান্না

ইউহান্না

Yuhanna

يوحنا

আল্লাহর দয়া, হযরত ঈসা (আ.)-এর একজন শিষ্য

 

ইকনা

ইকনা

Iqna

إقناع

তৃপ্তকরণ, তুষ্টকরণ

 

ইকনান

ইকনান

Iqnan

عقتان

খাঁটি সোনা

 

ইকবাল

ইকবাল

Iqbal

إقبال

সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, উন্নতি

 

ইকরাম

ইকরাম

Ikram

إكرام

সম্মান প্রদর্শন, মর্যাদাবান, সম্মান, মর্যাদা

 

ইকরামুল হক

ইকরামুল হক

Ikramul Haque

إكرام الحق

সত্যের মর্যাদাদান

 

ইকমিল

ইকমিল

Ikmil

إكميل

পূর্ণতা, সমাপ্তি

 

ইখতিয়ার

ইখতিয়ার

Ikhtiyar

اختيار

পছন্দ, নির্বাচন, বাছাই

 

ইখতিয়ারুদ্দীন

ইখতিয়ারুদ্দীন

Ikhtiyaruddin

اختيار الدين

দ্বীনের নির্বাচিত ব্যক্তি, বাছাই

 

ইগনা

ইগনা

Igna

إغناء

ধনীকরণ, সমৃদ্ধকরণ

 

ইছনা

ইছনা

Isna

إثناء

প্রশংসাকরণ, স্তুতি বর্ণনা

 

ইছফা

ইছফা

Isfa

إصفاء

আন্তরিকতা, মনোনয়ন

 

ইছমত

ইছমাত

Ismat

عصمت

পবিত্রতা, সংরক্ষণ, সাহাবির নাম

 

ইছলাহ

ইছলাহ

Islah

إصلاح

সংস্কার, পুনর্বাসন, শান্তিস্থাপন

 

ইছলাহুদ্দীন

ইছলাহুদ্দীন

Islahuddin

صلاح الدين

দ্বীনের সংস্কারক

 

ইছহাক

ইছহাক

Ishaq

إسحاق

হযরত ইসহাক (আ.)

 

ইদরাক

ইদরাক

Idraq

إدراك

বুদ্ধিদৃষ্টি, উপলব্ধি

 

ইদরীস

ইদরীস

Idris

إدريس

হযরত ইদরিস (আ.)

 

ইনছাফ

ইনছাফ

Insaf

انصاف

ন্যায়বিচার, সুবিচার

 

ইনজাদ

ইনজাদ

Injad

إنجاد

সাহায্যকরণ, উদ্ধারকরণ

 

 

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]

নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?
নামাজরত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের সামনের দেওয়ালে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো আছে। অনেক সময় যোহরের নামাজ পড়তে এসে সময় না দেখেই সুন্নত নামাজ শুরু করে দেই। জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে সুন্নত শেষ করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত হতে ঘড়ির দিকে তাকাই। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হয়?


উত্তর : নামাজের মধ্যে সময় দেখার উদ্দেশ্যে ঘড়ির দিকে তাকানো মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি নামাজের খুশুখুযু বা একাগ্রতার পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নামাজে আমাদের মন এবং দৃষ্টি শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকা উচিত। ঘড়ি বা অন্য কোনো বস্তুর দিকে তাকালে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। যদিও এতে নামাজ পুরোপুরি ভেঙে যায় না, তবে এটি নামাজের পরিপূর্ণতা ও সওয়াব কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, সুন্নত নামাজ শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত, যাতে জামাত শুরু হওয়ার আগেই তা শেষ করা যায়। যদি মনে হয় সময় কম, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে সরাসরি ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

[তথ্যসূত্র : বুরহানী (২/১৫৯), খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/৯৯), ফাতহুল কাদীর (১/৩৫১), শরহুল মুনইয়া (পৃ. ৪৪৭), আলবাহরুর রায়েক (২/১৪), এবং আদ্দুররুল মুখতার (১/৬৩৪)]

এসব গ্রন্থ অনুযায়ী, ছোটখাটো নড়াচড়া বা দৃষ্টির কারণে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে তা নামাজের একাগ্রতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা উত্তম।

 

আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২
মেয়ে শিশুর ছবি । সংগৃহীত

শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করা সব মা-বাবারই স্বপ্ন। নামের মাধ্যমেই শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিচয় ফুটে ওঠে। ইসলামিক আধুনিক রুচির সমন্বয়ে '' অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার নামের তালিকা এখানে দেওয়া হলো, যা আপনার আদরের কন্যার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। প্রতিটি নামের রয়েছে বিশেষ অর্থ, যা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক হবে।

ক্রমিক

নাম

অর্থ

.

আদিবা

শিষ্ট, ভদ্র

.

আদিলা

ন্যায়পরায়ণ

.

আফিফা

পবিত্রা, সচ্চরিত্রা

.

আমেনা

নিরাপদ, নিশ্চিন্ত

.

আমিরা

রাজকন্যা

.

আয়েশা

সচ্ছল (উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা.-এর নাম)

.

আরুবা

সোহাগিনি

.

আলিফা

বান্ধবী

.

আলিমা

জ্ঞানী

১০.

আলিয়া

উচ্চ

১১.

আসমা

মহত্তর, উচ্চতর

১২.

আসিফা

ঝড়ো বাতাস

১৩.

আসিমা

হেফাজতকারিণী, রাজধানী

১৪.

আসিয়া

চিকিৎসক (ফেরআউনের স্ত্রীর নাম)

১৫.

আহিদা

প্রতিজ্ঞাকারিণী

১৬.

আনিয়া

ঘনিষ্ঠ

১৭.

আতিফা

দয়ালু

১৮.

আতিয়্যা

দান, উপঢৌকন

১৯.

আজওয়া

আলো

২০.

আজিজা

শক্তিশালী, সম্মানিত

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক