চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ । খবরের কাগজ
ঢাকা ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চতুর্থ দিনেও বিক্ষোভ করছেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। ছবি : খবরের কাগজ

বাসচাপায় দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। পাশাপাশি হল ছাড়ার নির্দেশ আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুটি বাসে আগুন দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় তারা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের অকালমৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে  ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত আসার পর বিশেষ করে ক্যাম্পাস ও হল ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আসায় আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ক্যাম্পাসের মূল সড়কের বাইরে ও ক্যাম্পাসের ভেতরে গোলচত্বরে দুটি বাসে আগুন দেয়। বর্তমানে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

চুয়েটে একাডেমিক ভবনে তালা, চতুর্থদিনে সড়ক অবরোধ

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারা কেউ হল বা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবেন না। বরং আন্দোলন চলছে, চলবে।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আজ চতুর্থদিনের মতো সড়ক অবরোধ চলছে। ফলে সোমবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য।  কিন্তু আমাদের একটি দাবিও মেনে নেওয়ার আশ্বাস পাইনি। ফলে আমাদের আন্দোলন চলছে।’

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চুয়েটের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও এক শিক্ষার্থী।

আবদুস সাত্তার/সালমান/

ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগে নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দর সরকারের নেতৃত্বে ‘অসুন্দর ব্যবস্থাপনায়’ চলছে বিভাগটির কার্যক্রম। সেশনজট, শিক্ষকদের স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানামুখী সমস্যা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগ করেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছুটি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের ছুটিতে থাকতে হয়। পুরো সেমিস্টারে একটিও ক্লাস না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আবার কোনো কোনো সময় একটি ক্লাস নিলেও ৪-৫টি উপস্থিতি দেখানো হয়। এ ছাড়া রাত ১২টার পরও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। রাত ১২টার পর কোনো শিক্ষার্থী ক্লাস না করতে অসম্মতি জানালে পড়তে হয় শিক্ষকদের রোষানলে।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ইনকোর্স পরীক্ষা নেওয়া হয়। যথাযথ ইনকোর্স না নেওয়ার ফলে শিক্ষক তার ইচ্ছা অনুসারে নম্বর দেন। কোনোরকম পরীক্ষা শেষ হলেও ফল প্রকাশ নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ মাস থেকে আমরা এই বিভাগে রয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের মাত্র ৮টি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। যেখানে একই সেশনের অন্য বিভাগগুলোর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’

বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ৬ বছর পরও স্নাতক শেষ করতে পারেননি তারা। সমস্যার কথা শিক্ষকদের জানালেও শিক্ষক সংকটকে দায়ী করছেন তারা। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারেও নেই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দরের আগ্রহ। এ ছাড়াও যথাসময়ে দেওয়া হয় না পরীক্ষার সময়সূচি। আবার কোনো কোনো সময় পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শ্রেণিকক্ষে নেই কোনো সাউন্ড সিস্টেম। এর ফলে পেছনে বসা শিক্ষার্থীরা পড়েন ভোগান্তিতে।

এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক বিভাগের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পরিকল্পনা করেছি। এর ধারাবাহিকতায় সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেছিলাম। সেখানে তারা একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে নিরসনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শ্যামসুন্দর সরকার বলেন, ‘আমার বিভাগে চরম শিক্ষক সংকট। মাত্র দুজন শিক্ষক নিয়ে একটা বিভাগ চলছে। আরেকজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। তবে আমরা আমাদের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা মাঝে অনলাইনে চার-পাঁচটা ক্লাস নিয়েছি। তারা না জেনে বলছে- একটাও ক্লাস হয়নি।’   

আইন অনুষদের ডিন পদ ফিরে পেলেন অধ্যাপক রহমতউল্লাহ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ পিএম
আইন অনুষদের ডিন পদ ফিরে পেলেন অধ্যাপক রহমতউল্লাহ
অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদের ডিন পদ ফেরত পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ।

বুধবার (৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে পুনর্বহালের ব্যাপারে হাইকোর্টের একটা রায় ছিল। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডিন পদ ফিরিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট।’

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অভিযোগে তাকে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যদিও এ ঘটনায় তিনি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করলে তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষককে অব্যাহতি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষককে অব্যাহতি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। তাই তাদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সিন্ডিকেট।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ ও ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে- উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে যৌন নিপীড়ন সেলের অধিকতর তদন্ত চলাকালীন দুই অধ্যাপককে ওই অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ১২তম ব্যাচের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার সমন্বিত কোর্সে (লিখিত ও মৌখিক) কম নম্বর দিয়ে ফলাফল ধস নামানোর অভিযোগ তুলে অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ২৮ জন শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের নম্বর কম দিয়েছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাদির জুনাইদ।

তারই তিন দিনের মাথায় যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিভাগের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দেন। সঙ্গে কিছু অডিও রেকর্ড ও মেসেজের স্ক্রিনশটও জমা দেন তিনি। এ ছাড়া রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও তার বিরুদ্ধে ঢাবিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্ত এই অধ্যাপককে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও অধ্যাপক নাদির জুনাইদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে অন্য কিছু দেখছেন।

বিভাগের পরবর্তী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে একটি কোর্সে খণ্ডকালীন শিক্ষক। একই বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

আরিফ জাওয়াদ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ১০:৫০ এএম
ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে এমফিল ও পিএইচডি থিসিসে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। এবার তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিষয়টি সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাভেদ আহমেদ।

এর আগে গেল বছরের ২৯ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ এ নিয়ে ঢাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কলা অনুষদের ডিন এবং সব সিন্ডিকেট সদস্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

আরিফ জাওয়াদ/জোবাইদা/অমিয়/

ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের মারধরের অভিযোগ
রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের এক নেতা ও তার বন্ধুকে তিন ঘণ্টা আটকে মারধর ও পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

ভুক্তভোগীরা হলেন রাবির শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখশ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।

ভুক্তভোগী, ছাত্রলীগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার বন্ধু ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। কিন্তু একপর্যায়ে তাদের অনুসরণ করা হচ্ছে বুঝতে পারলে তারা মোটরসাইকেলে করে রোকেয়া হলের পেছন দিয়ে ফ্লাইওভারসংলগ্ন গেট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পথরোধ করেন এবং জোর করে মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসেন। কক্ষটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের। এর কিছুক্ষণ পর সেই কক্ষে আসেন গালিব ও ছাত্রলীগের অভিযুক্ত অন্য নেতারা। তারা নাফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করলে তাকে মারধর শুরু করেন গালিব এবং একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ সময় আরেক ভুক্তভোগী ইউনুস খান ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বললে তাকেও চড়-থাপ্পড় মারেন গালিব। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত ১টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে মারধর করেছেন। প্রায় তিন ঘণ্টা আমাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন।’

ভুক্তভোগী নেতাকে উদ্ধার করার পর রাত ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্রদল। এ সময় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘একা পেয়ে আমাদের সংগঠনের এক নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর ও ভীতি প্রদর্শন করে কাপুরুষের পরিচয় দিয়েছে ছাত্রলীগ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এ ছাড়া ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব খবরের কাগজকে বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে এর আগেও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার কাছে সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস পাওয়া গেলেও ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, এমন কিছু তার কাছে আমরা পাইনি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পেলে ঘটনা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’