বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালালে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবার নিরাপত্তাব্যবস্থা দিয়ে থাকি। বিশ্ব ইজতেমার ময়দান এবারও নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। কে কখন কোথায় কীভাবে দায়িত্ব পালন করবে, সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি।’
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘দেশবাসীকে অনুরোধ করব, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। একটা দল দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দল ও গ্রুপ সম্প্রদায়ের মাঝে বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান নিরাপত্তায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ক্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌবহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল ব্যবস্থা থাকবে। সোয়াট টিম থাকবে, সিআরটি থাকবে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা দিয়ে সার্ভিসেস করব।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, সাদা পোশাকে এবং পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবে। ইজতেমাস্থলে যদি ভিআইপি-ভিভিআইপিরা আসেন, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। নিরাপত্তা শুধু যে ইজতেমাস্থলে তা কিন্তু নয়, রেলস্টেশন থেকে শুরু করে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এলাকা থেকে শুরু করে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা জেলায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছি। র্যাব, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আছে। সবাই সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইজতেমার নিরাপত্তায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট আপলোড করে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে।’
পলাশ/সালমান/