ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

চাকরির প্রলোভনে রাশিয়া পাচার, নামানো হয় যুদ্ধে: সিআইডি

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
চাকরির প্রলোভনে রাশিয়া পাচার, নামানো হয় যুদ্ধে: সিআইডি

উচ্চ বেতনে রাশিয়ায় চাকরির প্রলোভন দেওয়া হয়েছিল। সে প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দালালরা এমন অন্তত ২০ জনকে প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদিতে নেয়। সেখান থেকে ১০ জনকে ওমরাহ শেষে নেওয়া হয় রাশিয়ায়। কিন্তু সেখানে চাকরি মেলেনি তাদের। উল্টো নির্যাতনসহ বাধ্য করে তাদের রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামানো হয়। এর মধ্যে নরসিংদীর পলাশ থানার বাসিন্দা মো. আকরাম হোসেন রাশিয়ার প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় গত ২৬ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন। পরে আকরামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের অন্যতম প্রধান ফাবিহা জেরিন তামান্নাকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ওই ১০ জনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নাটোরের সিংড়া থানার হুমায়ুন কবির নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং কেরানীগঞ্জের আমিনুল নামে অপরজন গুরুতর আহত হন। একজন দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও বাকি ৭ জন এখনো রাশিয়ায় রয়ে গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তামান্না মানব পাচারের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সিআইডি জানতে পারে, একইভাবে ১০ জনের আরেকটি দল সৌদি আরবে অবস্থান করছে। তাদেরও রাশিয়া নিয়ে জোরপূর্বক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে তারা রাশিয়া যেতে অস্বীকার করলে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়। তাই তারা সৌদি আরবে কোনো কাজ করতে পারছেন না, দেশে ফিরতেও পারছেন না। 

সিআইডি জানিয়েছে, ‘ড্রিম হোম ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেডে’র মাধ্যমে একটি মানব পাচারকারী চক্র রাশিয়ায় মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতনে চকলেট ফ্যাক্টরি, ক্লিনার অথবা বাবুর্চির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ১০ জনকে প্রথমে সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসায় পাঠায়। তাদের ওমরাহ হজ করানোর পর রাশিয়ায় নিয়ে এক সুলতানের কাছে বিক্রি করে দেয়। সুলতান তাদের দাস হিসেবে রাশিয়ান সৈন্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ না দিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন ভুক্তভোগীরা।

 

লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ২৮৭৬১ জন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ২৮৭৬১ জন
ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬১ জন আইনি সহায়তা পেয়েছেন।

বুধবার (১৯ মার্চ) জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

শুরুতে জেলা পর্যায়ে অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জন্য এ আইনি সেবা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা ও চট্রগ্রামে শ্রমিক আইনগত সহায়তা সেল ও দেশের কারাগারগুলোতে এ সেবা চালু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫০৯ জন, আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২৫২ টি মামলায়, এর মধ্যে ২ হাজার ২৮২ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত ১৩ মার্চের এক স্মারকে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান পদে হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক মহোদয়কে মনোনয়ন দিয়েছেন।

বিচারপতি কাজী জিনাত হক সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল কমিটির পঞ্চম চেয়ারম্যান। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে ২০১৫ সালে দেখে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম শুরু হয়।

দেশে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের’ অধীনে সরকারি খরচে এ সেবা দেওয়া হয়। 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সূত্র: বাসস

সুমন/

ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কাজী গোলাম মাহবুব

১৯৫২ সালের সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৯ মার্চ। ২০০৬ সালের এই দিনে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব ফাউন্ডেশন ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহির জানান, এ উপলক্ষে তার জন্মভূমি গৌরনদীর ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব চত্বরে তার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, জন্মভিটা লাখেরাজ কসবা গ্রামে মরহুমের পারিবারিক উদ্যোগে কোরআনখানি, কসবা জামে মসজিদে আলোচনা সভা, ইফতার মহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, ধানমন্ডি ভাষা আন্দোলন জাদুঘর ও গবেষণা কেন্দ্রে পৃথকভাবে মরহুম কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। 

কাজী গোলাম মাহবুব ১৯২৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর লাখেরাজ কসবা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ওই বছরের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে অনুষ্ঠিত হরতাল কর্মসূচিতে পিকেটিং করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠে। এ সময় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক করা হয় কাজী গোলাম মাহবুবকে। 

কমলাপুর স্টেশনে কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
কমলাপুর স্টেশনে কন্টেইনার ট্রেন লাইনচ্যুত
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার মুখে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঢোকার মুখে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এতে আপ ও ডাউন দুই লাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে আপ লাইনে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন স্টেশনে ঢোকার সময় ডাউন লাইনে পেছন থেকে দুটি ক্যারেজ পরে যায়। এটি ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঘটে। পরে স্টেশনের সব ট্রেনের মুভমেন্ট বন্ধ রাখা হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আজ (বুধবার) ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হতে পারে। বর্তমানে লাইন ক্লিয়ার করার কাজ চলছে।’

জয়ন্ত/পপি/

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ১৫ এপ্রিল থেকে
ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সমুদ্রের জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। 

বুধবার (১৯ মার্চ) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এইচ. এম. খালিদ ইফতেখার স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩-এর বিধি ৩-এর উপবিধি (১) এর দফাতে (ক)  দেওয়া ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। 

সুমন/

রাজধানীতে এখনো জমে ওঠেনি ঈদবাজার , কেনাবেচা কম

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
রাজধানীতে এখনো জমে ওঠেনি ঈদবাজার , কেনাবেচা কম
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলে ঈদের কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেনাকাটা হচ্ছে। একই ছাতার নিচে নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক, জুতা, স্যান্ডেল, কসমেটিক্স কিনতে ক্রেতারা বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন। দুপুরে ও ইফতারির পর মানুষ বেশি আসছেন। তবে ১৭ রমজান চলে গেলেও গত বছরের মতো এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। গত বছরের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি। কেনাবেচা কম হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন তলায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে এই শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় অবস্থিত জেন্টলপার্কের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকাল থেকেই কাস্টমার আসছেন। এটা-সেটা দেখছেন। কিন্তু গত বছরের তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে। আমাদের এখানে পাঞ্জাবি ২ হাজার ৪৯০ থেকে ৩ হাজার ৪৯০ টাকা, শার্ট ১ হাজার ৯৯০ থেকে ২ হাজার ৮৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সময় মানিকগঞ্জ থেকে আসা টিপু নামে এক ক্রেতা জানান, ‘অন্য বছরের মতো এবারও বসুন্ধরায় কেনাকাটা করতে এসেছি। কারণ এখানে একসঙ্গে সব নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাক পাওয়া যায়। বিভিন্ন দোকানে ঘোরাঘুরির পর পছন্দ হওয়ায় শার্ট কিনলাম। দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।’ এর পাশে স্মার্টেক্সের বিক্রয়কর্মী সুজনও জানান, ‘বাচ্চা, লেডিস ও জেন্টস আইটেম বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে কম হলেও সামনে ভালো বিক্রি হবে সেই আশায় আছি।’

এদিকে বাচ্চাদের জন্যও বিভিন্ন দোকান সাজিয়ে রেখেছে হরেক রকমের পোশাক। নিচতলার বেবি ড্রিমসের ম্যানেজার মো. ফয়সাল বলেন, ‘ভারত ও চীনের বিভিন্ন দামের পোশাক আনা হয়েছে। তবে যেভাবে আশা করেছিলাম এখনো বিক্রি হচ্ছে না। বাচ্চাদের ফ্রক দেড় হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, ছেলেদের গেঞ্জি ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।’

নিচ তলার মতো বসুন্ধরা সিটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় রয়েছে ইজি ফ্যাশন, আর্টিসান, টুয়েলভ, জেন্টলপার্ক, ইনফিনিটি, রিচম্যান, লুবনান, দর্জিবাড়ি, ইল্লিয়্যিন, ক্যাটস আই, এমব্রেলা, ফিট এলিগ্যান্স, রাইজ, র’নেশন, প্লাস পয়েন্ট, আড়ং, স্টাইল ইকো ফ্যাশন ব্র্যান্ডের শোরুম।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমের বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের দেখে ডাক দিচ্ছেন। এই তলার রিচম্যান শোরুমে কথা হয় ম্যানেজার নুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অন্য এলাকার মতো এই মার্কেটেও আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, শার্ট ও গেঞ্জি নিয়ে এসেছি। পাঞ্জাবি ২ হাজার ৭৫০ থেকে ৮ হাজার টাকা, শার্ট ২ হাজার ১৫০ থেকে ৪ হাজার ৪৫০ টাকা ও গেঞ্জি ১ হাজার ৯০ থেকে ২ হাজার ৯৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় কম।’

শুধু এই সব দোকানেই নয়, ইজি ফ্যাশন, আড়ং, ইনফিনিটিসহ অন্য শোরুমেও ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। তারা পছন্দের পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি দেখছেন। দামে মিললেই কিনছেন। আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মী রোকন আহমেদ বলেন, ‘ ঈদ ঘনিয়ে আসায় বিক্রি মোটামুটি ভালো। বাচ্চাদের ড্রেস, থ্রি-পিস, শাড়ি, জুতা, পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। দুপুর ও ইফতারির পর বেশি বিক্রি হচ্ছে।’

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে ক্রেতা আসছেন। পছন্দ হলে কিনছেন। এ সময় আড়ংয়ের কাউন্টারে দেখা যায় লম্বা লাইন। যাত্রাবাড়ী থেকে আসা মাসুম জানান, ‘বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানে ঘোরাঘুরি করে অবশেষে আড়ং থেকে স্ত্রীর জন্য ৩ হাজার টাকায় একটা থ্রি-পিস কিনেছি। কিন্তু ক্যাশ কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন। বাচ্চা কোলে নিয়ে ১৫ মিনিট থেকে দাঁড়িয়ে আছি। ভ্যাটের কারণে দাম বেশি দিতে হচ্ছে।’

বসুন্ধরা শপিং মলের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, সকাল থেকেই কেনাকাটা করতে প্রচুর মানুষ আসছেন। অনেকে বিকেলে কেনাকাটা করতে এসে এখানেই ইফতার করছেন। লেভেল ফোরে রয়েছে জ্যোতি, জামদানি হাউস, নীল আঁচল শাড়িজ, কালাঞ্জলী শাড়িজ, ঢাকা জামদানি কুটির, শাড়িবাজার, শালিমার, অর্চিসহ অনেক অভিজাত শাড়ির দোকান। লেভেল ফাইভে লারিভ, রেড এবং লেভেল সিক্সে বাটা, এপেক্স, ওরিয়ন, বে ইত্যাদির শোরুমে বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করেছেন। পোশাকের মতো বিভিন্ন কসমেটিক্স ও জুতা-স্যান্ডেলের দোকানেও দেখা গেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। দামদরে মিললেই পছন্দের জিনিস কিনছেন। বিক্রেতারা বলেন, ঈদ ঘনিয়ে আসছে। বিক্রি বাড়বে। সেই আশায় আছি।