গালি দেওয়া সভ্য মানুষের কাজ নয়। যারা মানুষকে গালিগালাজ করে, তাদের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে কঠোর হুমকি এসেছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৮)
মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসিকি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসিকি (আল্লাহর আনুগত্য থেকে বেরিয়ে যাওয়া) এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফর।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৮)
অন্যকে গালি দেওয়া মানে নিজেকে গালি দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন আরেকজনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং কাফের বলে যেন অপবাদ না দেয়। কারণ যদি সে বাস্তবেই তা না হয়ে থাকে, তবে তা তার ওপরই পতিত হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬০৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, “কবিরা গুনাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ নিজের পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। জিজ্ঞেস করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপন পিতা-মাতাকে কেউ অভিসম্পাত করতে পারে?’ তিনি বললেন, ‘সে অন্য কোনো মানুষের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে নিজের পিতাকেই গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, ফলে সে তার মাকেই গালি দেয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৯৭৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে মানুষকে নেক কাজের দাওয়াত দেবে, সে ওই মানুষদের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; যারা তার দাওয়াত পেয়ে নেক কাজ করবে অথচ তাদের সওয়াবের সামান্যও হ্রাস পাবে না। যে মানুষকে গুনাহের কাজের দাওয়াত দেবে, সে ওই লোকদের সমপরিমাণ গুনাহ পাবে, যারা তার দাওয়াত পেয়ে গুনাহের কাজ করবে, অথচ তাদের গুনাহ হ্রাস পাবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৯৮০)
লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী