গৃহস্থালী বর্জ্য থেকে সার উদ্ভাবন সিকৃবির ২ শিক্ষার্থীর । খবরের কাগজ
ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
Khaborer Kagoj

গৃহস্থালী বর্জ্য থেকে সার উদ্ভাবন সিকৃবির ২ শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
গৃহস্থালী বর্জ্য থেকে সার উদ্ভাবন সিকৃবির ২ শিক্ষার্থীর
ছবি: খবরের কাগজ

গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে সার উদ্ভাবনে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবকের স্বীকৃতি পেয়েছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) দুই শিক্ষার্থী আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক। তাদের উদ্ভাবিত ধারণাপত্রের বিষয়বস্তুর নাম উদ্ভাবিত ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সচিবালয়ে দুই উদ্ভাবককে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। 

‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি বিষয়ক প্রযুক্তি’ শীর্ষক ‘ইনোভেশন’ ও ‘ই-গভার্নেন্স টিম’ কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণায় আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা থেকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবক ঘোষণা করা হয়। 

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ কর্মশালায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করবে আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিক উদ্ভাবিত ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’। 

আমাতুল ও ফাতিন সিকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী। 

সিকৃবির জনসংযোগ দপ্তর জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৫টি আইডিয়া থেকে সেরা ৬টি দলের আইডিয়া বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সচিবালয়ে উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আমাতুল জামিল ইফা ও ফাতিন মোবাররাত অলিকের আইডিয়া ‘ওয়েস্ট রিসাইকলার’ শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। 

ঘর-গৃহস্থলির আবর্জনা থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট ও দোকানপাটের বর্জ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচো সার বানিয়ে কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রযুক্তি তারা উদ্ভাবন করেছেন। 

অন্য পাঁচটি সেরা আইডিয়া হচ্ছে মো. রাজিবুল ইসলাম, আকিমুন হাসান রাফি ও ফরিদুল ইসলাম উদ্ভাবিত ‘ইআরপি মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কার্যক্রম উন্নতকরণ’, মোমিনুল হক সিফাত ও তার দলের উদ্ভাবিত ‘এগ্রি মার্কেট প্লেস বাংলাদেশ ওয়েবসাইট’, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার দলের উদ্ভাবিত ‘নিয়ারবাই এগ্রিএক্সপার্ট ফাইন্ডিং অ্যাপ’, বিল্লাল হোসাইন ও সব্যসাচী নিলয় উদ্ভাবিত ‘টেকসই খাদ্য উৎপাদনের জন্য স্মার্ট সৌরচালিত অ্যাকোয়াপনিক্স সিস্টেম’ এবং রাকিবুল আলীম স্মরণ উদ্ভাবিত ‘স্মার্ট ডাইনিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম : ইউনিডাইন’। 

উদ্ভাবন উপস্থাপনের আনুষ্ঠানিকতায় সিকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, ‘প্রতিটি আইডিয়া আমাদের পছন্দ হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ অনেক দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান যারা উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত আইডিয়াগুলো আমরা সেখানে পাঠাব।’ 

সিকৃবির শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী আইডিয়ার প্রশংসা করে উপাচার্য আরও বলেন, ‘যারা প্রকৃত মেধাবী, শত প্রতিকূলতাও তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তার উন্নয়নে সিকৃবি প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো শিক্ষার্থীর বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়নে এবং ভালো কাজে উৎসাহ প্রদান করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

শাকিলা ববি/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

রবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
রবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ছবি : খবরের কাগজ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তিনটি ভবনে (শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ইব্রাহিম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মাওলানা সাইফ উদ্দিন এহিয়া ডিগ্রি কলেজ) পরীক্ষাগ্রহণ শুরু হয়।

‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চার হাজার ২৩৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আগমন উপলক্ষে শাহজাদপুর জুড়ে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

পরীক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ জন অধ্যাপক পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে পরীক্ষাগ্রহণকে নির্বিঘ্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম বলেন, যদিও এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা তথাপি এটি একটি উৎসব।

তিনি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উপাচার্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ শাহজাদপুরবাসীকে ধন্যবাদসহ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সারাদেশে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত মোট ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি কেন্দ্রে একযোগে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি (এ, বি, সি) ইউনিটে সর্বমোট আট হাজার ১৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।

সিরাজুল শিশির/জোবাইদা/অমিয়/

পাবিপ্রবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
পাবিপ্রবিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

গ্রীষ্মের খরতাপে চারদিক যেন পুড়ে যাচ্ছে। কাঠফাটা রোদ্দুরের সঙ্গে তপ্ত বাতাস। প্রকৃতি যখন প্রখর রোদে পুড়ছে, কৃষ্ণচূড়া ফুল তখন সৌন্দর্যের বার্তা নিয়ে এসেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গ্রীষ্মের এই রুক্ষ পরিবেশ ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। ঈদের ছুটি শেষে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতেই হয়তো প্রকৃতির এই আয়োজন।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হলেও এ বছর শুধু মসজিদ-সংলগ্ন প্রধান ফটকের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছটিতে রক্তিম বর্ণের ফুলে এক মোহনীয় আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছে।

ছোট্ট এ ক্যাম্পাসে কৃষ্ণচূড়া ফুলগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। ক্যাম্পাসে যেন সবুজ প্রকৃতির মাঝে লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে, যে-কারও চোখ আটকে যায় লাল কৃষ্ণচূড়ায়।

কাঠফাটা রোদের মধ্যে দূর থেকে দেখলে মনে হয়, বৈশাখের রোদ্দুরের সবটুকু রং গায়ে মেখে নিয়েছে রক্তিম ফুলগুলো। চিরল চিরল সবুজ পাতার মাঝে যেন আগুনের ঝুড়ি। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের শরীরে। শিক্ষার্থীরা অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেন এই সৌন্দর্য।

পাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আলমাছুর রহমান অয়ন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ঢুকতেই বাম পাশে মসজিদের সামনে লাল কৃষ্ণচূড়া দেখে মনটা খুশিতে ভরে উঠে। নিজেদের ক্যাম্পাস আঙিনায় সম্ভবত এই প্রথম এমন দৃশ্যপট। গ্রীষ্মের রুক্ষতাকে ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে আপন মহিমায়।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাজমিম ইবনাত বিভা বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম। তবে এটি সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকেও আমাদের রক্ষা করে। কর্তৃপক্ষ যেন ক্যাম্পাসে আরও কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগায় সেই অনুরোধ থাকবে।’

কলি

ইএমজিএসের স্টাডি ইন মালয়েশিয়া-বিষয়ক শিক্ষামেলা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
ইএমজিএসের স্টাডি ইন মালয়েশিয়া-বিষয়ক শিক্ষামেলা

বিদেশে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এডুকেশন মালয়েশিয়া গ্লোবাল সার্ভিসেস (ইএমজিএস) বাংলাদেশে চলতি মাস ও আগামী মাসে মালয়েশিয়ায় শিক্ষা ও ভর্তিবিষয়ক মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে। ‘স্টাডি ইন মালয়েশিয়া’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত শিক্ষামেলায় বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পড়তে যাওয়ায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা দর্শনার্থী হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারবেন।

এ শিক্ষা মেলা আগামী ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেলে এবং ১ মে সিলেটের রোজ ভিউ হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকরা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার যোগ্যতা, টিউশন ফি, স্কলারশিপ, থাকা-খাওয়ার খরচ সম্পর্কে জানতে পারবেন। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রাঙ্কিং-২০২৪ অনুযায়ী মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মালয় বিশ্ববিদ্যালয় ৬৫তম, ইউনিভার্সিটি সেইনস মালয়েশিয়া ১৩৭তম, ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া ১৫৮তম, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া ১৫৯তম, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়া ১৮৮তম স্থানে রয়েছে।

এসব বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ স্কলারশিপ সুবিধা দিচ্ছে। মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ (এম আইএস) প্রোগ্রাম মালয়েশিয়ার সরকারের একটি স্কিম, যা মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য। সারা বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়াতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। মেধাসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরির উদ্দেশ্যে ‘এমআইএস’ এ উদ্যোগটি গ্রহণ করেছে।

কলি

সবুজে ছেয়ে গেছে বেরোবির ক্যাম্পাস

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
সবুজে ছেয়ে গেছে বেরোবির ক্যাম্পাস

ঈদ ও বাংলা নববর্ষের জন্য বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাস। এরই মাঝে বসন্তকে বিদায় জানিয়ে ঋতুতে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বন্ধের পর ক্যাম্পাসের গাছগুলো নতুন পাতায় আর সবুজে ছেয়ে গেছে। গাছের ডালপালা ভরে উঠেছে কচি পাতায়। এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। বিকেল হলেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের ভিড়। এই সৌন্দর্য শিক্ষার্থীরাও ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন।

পাখির কিচিরমিচির শব্দ, প্রাণ জুড়ানো দক্ষিণা বাতাস, স্নিগ্ধ হাওয়া আর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি সবুজে ছেয়ে গেছে। তীব্র গরমে যখন দেশের মানুষ অতিষ্ঠ তখন বেরোবির ৩০০ প্রজাতির ৩৬ হাজার গাছ ছায়া দিচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, হল, ডরমিটরি, মসজিদ, স্বাধীনতা স্মারক, শহিদ মিনার, খেলার মাঠসহ যেকোনো জায়গায় দাঁড়ালেই মনে হয় সবুজের নির্মল অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যবর্ধক ও ফল গাছের মধ্যে রয়েছে- শাল, দেবদারু, পলাশ, কাউফল, আঁশফল, সফেদা, আলুবোখারা, আমলকী, বট, পাকুড়, হরিতকি, বহেড়া, অর্জুন, কাইজেলিয়া, রাবার, সোনালু, বিলাতি গাব, নিম, বুদ্ধ নারিকেল, কাঠবাদাম ইত্যাদি।

ফুলগাছের মধ্যে রয়েছে- নীলমণি লতা, ঝুমকো লতা, লাল কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন, কাঠগোলাপ, চেরি, জবা, রজনীগন্ধা ও মাধবীলতা। দুর্লভ গাছের মধ্যে রয়েছে- জয়তুন, পারুল, হৈমন্তী, জয়ত্রী, ঢাকি, জাম, তেলসুর, পুত্রঞ্জীব, কানাইডিঙা, হলদু, দইবোটা, পুমুর, মহুয়া, পানিয়াল, পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, চিকরাশি ও নাগেশ্বর।

কলি

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি প্রস্তুতি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি প্রস্তুতি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতামূলক ভর্তিযুদ্ধ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে, কোন বিষয় কীভাবে পড়তে হবে এবং কোন কোন টপিকের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা নিয়ে লিখেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল হোসেন সাকিব এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা একসঙ্গে হয়। যার কারণে এখানে আসন সংখ্যাও যেমন বেশি তেমনি প্রতিযোগীর সংখ্যাও বেশি। এত প্রতিযোগীর মধ্যে নিজেকে এগিয়ে রাখতে চাইলে ভালো করে প্রস্তুত হতে হবে। ‘বি’ ইউনিটে ভালো করার জন্য পাঠ্যবইয়ের ওপর ভালো দখল থাকতে হবে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নের উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে দিতে পারলে নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখা যাবে। শর্টকাট পদ্ধতিগুলো আয়ত্তে রাখতে হবে, যাতে দ্রুত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধানের কোনো বিকল্প নেই।

আবেদনকারী, আসনসংখ্যা ও নম্বর বিভাজন

গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদের ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি, মানবিক অনুষদের ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১টি এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬টি আবেদন জমা পড়েছে।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ২০ হাজার ৬৬৮টি। যার মধ্যে ‘বি’ ইউনিটে আসন সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৭৪৬টি। এই বছর গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলবে বেলা ১১ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩০। বিগত কয়েক বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, মানবিকের একজন শিক্ষার্থীকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে হলে ৪০ নম্বরের ওপরে পেতে হবে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০-৬০ নম্বর পেতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর ও প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। ‘বি’ ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে বাংলায় ৩৫, ইংরেজিতে ৩৫ ও সাধারণ জ্ঞানে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি

বাংলা
বাংলা প্রথম পত্রে ভালো ফলাফলের জন্য মূল বইয়ের প্রতি জোর দিতে হবে। বিশেষত গদ্য, কবিতা এবং উপন্যাসের মূল বিষয়, লেখক পরিচিতি, তার সাহিত্যকর্ম, জীবনী পড়তে হবে। প্রথম পত্রে যেসব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে রয়েছে তার মধ্যে অপরিচিতা, আমার পথ, বায়ান্নর দিনগুলো, রেইনকোট, নেকলেস, ঐকতান, সাম্যবাদী, তাহারই পড়ে মনে, সেই অস্ত্র, ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯। এই গদ্য ও পদ্যগুলো আয়ত্ত করতে পারলে, প্রথম পত্রে ভালো করা যাবে। এ ছাড়া ব্যাকরণ অংশের জন্য ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ভালো করে অনুশীলন করতে হবে। তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের প্রশ্নব্যাংক ও গুচ্ছের বিগত সালের প্রশ্নব্যাংকের প্রতি জোর দিতে হবে।

ইংরেজি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স হবে কি না, তা মূলত নির্ধারণ করে দেয় ইংরেজি। ইংরেজির ওপর দক্ষতা একদিকে যেমন অন্যের চেয়ে আপনাকে এগিয়ে রাখবে অন্যদিকে নিজের পছন্দের বিষয় পেতে সাহায্য করবে। প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র থেকে প্রশ্ন কম আসে। কিন্তু অধিকাংশ প্রশ্ন আসে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র থেকে। সেজন্য দ্বিতীয় পত্রের যে বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিতে হবে তা হলো- Parts of speech, Article, Tense, Voice, Sentence Correction, Spelling, Right form of verb, Preposition, Translation, Synonyms, Antonyms, Idiom, Joining sentence, Comprehension। ইংরেজিতে ভালো করতে আপনাদের নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। তাছাড়া বিগত বছরের গুচ্ছের প্রশ্ন অবশ্যই সমাধান করতে হবে। সময় থাকলে অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করা উচিত।

সাধারণ জ্ঞান
সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে ৬ থেকে ৭টি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে ৫ থেকে ৬টি, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে ৪ থেকে ৫টি প্রশ্ন আসে। সে জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পত্রিকা পড়তে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক বিষয়ও পড়তে হবে।

অন্যান্য বিষয়ের প্রস্তুতি
সাধারণত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে ৪ থেকে ৫টি, যুক্তিবিদ্যা থেকে ২ থেকে ৩টি, পৌরনীতি থেকে ৩ থেকে ৪টি ও অর্থনীতি থেকে ২ থেকে ৩টি প্রশ্ন আসে। তাই ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের এই বিষয়গুলো একটু গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে এইচএসসির পাঠ্যবইয়ের প্রথম অধ্যায়ের গ্লোবাল ভিলেজ, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ক্রায়োসার্জারি, বায়োমেট্রিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানো টেকনোলজি, ডেটা ট্রান্সমিশন, ওয়াইফাই, ওয়াইম্যাক্স, হাব, সুইচ, নেটওয়ার্ক, ক্লাউড কম্পিউটিং অধ্যায়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। সব পরীক্ষাতেই তৃতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন তুলনামূলক বেশি আসে। সেজন্য বিভিন্ন প্রকার লজিক গেইট, এনকোডার, ডিকোডার, এডার এগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। একই সঙ্গে সংখ্যাপদ্ধতির রূপান্তর ভালো করে পড়তে হবে। এ ছাড়া ওয়েবসাইট কাঠামো, কম্পাইলার, ইন্ট্রারপোলার, ডেটা টাইপ, কিওয়ার্ড, অ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট, লুপ পড়তে হবে। এ ছাড়া প্রোগ্রামিং ভাষা, সি প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক, ফাংশন, ভেরিয়েবল, ডেটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ভালো করে পড়তে হবে।

তবে আইসিটির জন্য প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান, মাহবুবুর রহমানের বইয়ের অনুশীলনীতে যে প্রশ্নগুলো আছে তা ভালো করে পড়লে অনেক কিছুই কাভার হয়ে যায়। তবে প্রতিটি অধ্যায়ের নির্দিষ্ট কিছু টপিকসের ওপর আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিগত সালের প্রশ্ন দেখলে পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারবে কোন বিষয় থেকে কোন ধরনের প্রশ্ন আসে। কাজেই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন অনুসরণ করে প্রস্তুতি নিলে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা আপনার জন্য সহজ হবে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অযথা কোনো ভয় পাবেন না। আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়ালেখা করে যান, দেখবেন সাফল্য পাবেন।

কলি