রাসুলুল্লাহ (সা.) যে ইবাদত গুরুত্বের সঙ্গে করেছেন তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সঙ্গে সুন্নত ও নফল নামাজ রয়েছে। এর মধ্যে আছে সুন্নতে মুয়াক্কাদার নামাজ। এ নামাজ রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত পড়তেন। কখনো ছাড়তেন না। এটি ওয়াজিবের মতোই ব্যাপার। তবে ওয়াজিব ছেড়ে দিলে শাস্তি পেতে হয়। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দিলে শাস্তি হতে পারে, আবার মাফও পেতে পারে।
ফিকাহবিদরা বলেছেন, অপারগতা ছাড়া এমন সুন্নত ত্যাগকারীকে তিরস্কার করা হবে, তবে তাকে ফাসেক বা কাফের বলা যাবে না। (আত-তায়ারিফাতুল ফিকহিইয়া, ৩২৮)
প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নত
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে-পরে ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ রয়েছে। এই ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা হলো— জোহরের আগে চার রাকাত। পরে দুই রাকাত। মাগরিবের পরে দুই রাকাত। এশার পরে দুই রাকাত। ফজরের আগে দুই রাকাত।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৬৩৬২)
জান্নাতে মেলে ঘর
সুন্নতে মুয়াক্কাদা আদায়ে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়। এতে জান্নাত মেলে। উম্মে হাবিবা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রতিদিন ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়বে, এর প্রতিদান হিসেবে জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর বানানো হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭২৮)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে জোহরের আগে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত (সুন্নত) পড়বে আল্লাহ তার দেহ জাহান্নামের জন্য হারাম করে দেবেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬৭৬৪)
লেখক: আলেম ও সাংবাদিক