বরগুনা / অচল থেকেই বিকল ২২ লাখ টাকার নৌ-অ্যাম্বুলেন্স । খবরের কাগজ
ঢাকা ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
Khaborer Kagoj

বরগুনা অচল থেকেই বিকল ২২ লাখ টাকার নৌ-অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০০ এএম
অচল থেকেই বিকল ২২ লাখ টাকার নৌ-অ্যাম্বুলেন্স
ছবি : খবরের কাগজ

বরগুনার নৌপথে রোগী বহনের জন্য ২০০৮ সালে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিল ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। সিডর-পরবর্তী সময়ে এটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে দেওয়া হলেও সেই থেকে এখন পর্যন্ত একজন রোগীও বহন করতে পারেনি সেটি। ফলে সরকারের বিপুল অঙ্কের টাকা গচ্চার সঙ্গে সঙ্গে অযত্ন-অবহেলায় অ্যাম্বুলেন্সটি এখন নিঃশেষের পথে। 

জেনারেল হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সূত্র ও তথ্যমতে,  ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়লে জেলার নৌপথে রোগী পরিবহনের জন্য ২০০৮ সালের এপ্রিলে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এর ব্যয় ধরা হয় ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটি এখন পর্যন্ত একজন রোগীও বহন করতে পারেনি।

এ ছাড়া দীর্ঘদিন খাকদোন নদীর চরে ফেলে রাখার পর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটির বর্তমান ঠিকানা হয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতলের পুরোনো ভবনের পূর্ব পাশের পরিত্যক্ত স্থানে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি। লতা আর আগাছায় ছেয়ে আছে সেটি। শুধু অবকাঠামোই টিকে আছে। তাও প্রায় নিঃশেষের পথে। ভেতরের মেশিনাদি বা যন্ত্রপাতি কিছু নেই। 

নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটির চালক আবদুর রহমান বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত এটিতে কোনো রোগী পরিবহন করিনি। নৌপথে বরগুনা থেকে বরিশাল যাওয়া-আসায় জ্বালানিসহ ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ ধরা হলেও রোগীদের কেউ এ খরচ বহন করে আসতে চান না। কারণ এই খরচের অর্ধেকেরও কমে সড়কপথে রোগী আনা-নেওয়া করা যায়। সে কারণেই এটি অচল হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া এর দুটি ইঞ্জিন হাসপাতালের ভাণ্ডারে রাখা হয়েছে।’ 

হাসপাতালের ভাণ্ডার সংরক্ষক বদরুল আমিন বাদল বলেন, ‘আমি গত ১৮ জুলাই এখানে যোগদান করেছি। তখন দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত ভাণ্ডার সংরক্ষক আল আমিন আমাকে ভাণ্ডারে সংরক্ষিত শুধু ১৩ প্রকারের ওষুধের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। তাই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স ও এর কোনো ইঞ্জিন সংরক্ষণের বিষয় আমার জানা নেই।’

হাসপাতালের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) ভাণ্ডার সংরক্ষক ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. আল আমিন বলেন, ‘নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটির দুটি ইঞ্জিন হাসপাতালেই সংরক্ষিত আছে।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লোকমান হাকিম বলেন, ‘যতদূর জানি, উপকূলীয় জেলা বিবেচনা করে নৌপথে রোগীদের সেবায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খরচের কথা বিবেচনা করে রোগীরা যাতায়াত না করায় এটি অচল হয়ে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়েছে। কয়েক বছর আগে নদী থেকে তুলে এনে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটিকে জেনারেল হাসপাতালের মধ্যে রাখা হয়েছে।’

বরগুনা জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. হাসানুর রহমান ঝন্টু বলেন, ‘নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি দেওয়ার আগে খরচ বিবেচনা করা উচিত ছিল। এটি ব্যবহারের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও উচিত ছিল ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা করাসহ সঠিক ব্যবস্থাপনার। এভাবে অপরিকল্পিত ও অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের কারণে রাষ্ট্রের অর্থ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালের কোনো কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কই এ বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।’

এমএ/এআর

মধ্যরাতে গর্ভবতী নারীকে নির্যাতন, ৯৯৯-এ সহায়তা

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
মধ্যরাতে গর্ভবতী নারীকে নির্যাতন, ৯৯৯-এ সহায়তা
কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে মধ্যরাতে ঘরে হামলা চালিয়ে এক গর্ভবতী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের গাইটাল ব্যাংক কলোনি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইটাল ব্যাংক কলোনি রোডে জেসমিন তার স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন হিমেলের বাসায়। সেখানে পাশের বাসার কুদ্দুস মিয়ার পরিবারের সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছিল। এর জেরে মধ্যরাতে বাসায় ঢুকে কুদ্দুস মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন জেসমিন ও তার স্বামী আলমের উপর হামলা করে। এ সময় জেসমিনের ভাগিনা রিফাত মিয়াকেও মারধর করে ও ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করে।

ভুক্তভোগীর স্বামী মো. আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় বাসার সামনে দোকানদার আলী আকবরের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমার স্ত্রীর। এরপর মাঝরাতে কেউ দরজায় ইট দিয়ে পেটাতে থাকলে আমি দরজা খুলি। এরপর কুদ্দুসের পরিবারের সবাই লাঠিসোঠা নিয়ে আমার ও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর উপর আক্রমণ করে। কুদ্দুসের মেয়ে মরিয়ম আমার গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে কয়েকটা লাথি মারে। ডাক চিৎকারে কারও সাহায্য না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা এখানকার স্থানীয়। ভাড়াটিয়া বাড়িতে থেকে আমাদের সাথে দূর্ব্যবহার করেছে। তাই ঘরের ভেতরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি।’

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাসলিমা আক্তার/অমিয়/

নিখোঁজের ২ দিন পর মেঘনায় মিলল মরদেহ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
নিখোঁজের ২ দিন পর মেঘনায় মিলল মরদেহ
যুবকের মরদেহ উদ্ধার। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীতে মো. বিল্লাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ পাওয়া গেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে মেঘনা নদীর ইমামপুর ইউনিয়নের চর কালীপুরা এলাকা থেকে বিল্লালের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।

নিহত বিল্লাল চর কালীপুরা গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে।

এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করেন তার স্ত্রী খায়রুন নেসা লাকী।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বিল্লাল হোসেন পেশায় জেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাছ ধরতে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে গজারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে আজ নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা খবরের কাগজকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মহিউদ্দীন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/  

নাতিকে মাদ্রাসায় দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটাপড়ে নানীর মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১২ পিএম
নাতিকে মাদ্রাসায় দিতে গিয়ে ট্রেনে কাটাপড়ে নানীর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নাতিকে মাদ্রাসায় দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে রোকেয়া বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কামারখোলা এলাকায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়।

রোকেয়া বেগম কামারখোলা এলাকার মৃত ইয়াকুব শিকদারের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোকেয়া সকালে নাতিকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে অসতর্ক অবস্থায় ট্রেনের লাইনে অবস্থান করলে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করেন।

শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়বীর জানান, নিহতের বাড়ি দুর্ঘটনাস্থলের কাছে হওয়ায় ঘটনার পরপরই স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে শ্রীনগর থানা ও রেলপুলিশ আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মহিউদ্দীন/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

চট্টগ্রামে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১০ পিএম
চট্টগ্রামে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৭
আটক চক্রের সদস্যরা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা ও চাঁদাবাজ চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শ্রীকান্ত শীল (২১) থানায় অভিযোগ করেন যে, মো. আসিফ (২৩) ইমো অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। একপর্যায়ে মো. আসিফ (২৩) শ্রীকান্তকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে। গত ২৫ এপ্রিল রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রূপনগর আবাসিক গেটের সামনে গেলে অভিযুক্ত মো. আসিফ কৌশলে রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলার তৃতীয় তলার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় শ্রীকান্তকে। বাসায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মারধর করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ও নগদ এক হাজার ৪৫০ টাকা নিয়ে নেয়।

এ সময় জোরপূর্বক উলঙ্গ করে অভিযুক্ত মো. আসিফ মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। তখন অভিযুক্তরা শ্রীকান্তের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আর চাঁদা না দিলে শ্রীকান্তের উলঙ্গ ভিডিও সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ বায়েজিদ বোস্তামী থানার রূপনগর আবাসিকের আদনান ভিলায় অভিযান চালায়। এ সময় কর্ণফুলী এলাকার অপর এক ভুক্তভোগী মো. আরমানকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

তাকেও একই কায়দায় বন্দি করে চাঁদা আদায় করার পাঁয়তারা করছিল বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আসিফ (২৩), মো. মোরশেদ (২৯), মো. সাজে শরীফ (৪০), মো. আবুল হাসেম (৩৫), মো. নাসির উদ্দিন (৩৯), জেসমিন আক্তার (৪০), ফাতেমা খাতুন (২৬)।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিংহা খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ চক্রটি মানুষকে কৌশলে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করে। দীর্ঘদিন থেকে তারা এ কাজে জড়িত। এর আগেও নাসির উদ্দিন নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কিন্তু জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করেছে। তারা এ পর্যন্ত বেশ মানুষকে এভাবে জিম্মি করেছে। এবার হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’

আবদুস সাত্তার/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে তিন দিনে ৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল এই তিন দিনে জেলার চান্দিনা, দাউদকান্দি, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় এই আট শিশু মারা যায়।

এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল জেলার চান্দিনায় দুইটি, দাউদকান্দিতে দুইটি, ২৬ এপ্রিল বুড়িচংয়ে একটি এবং ২৭ এপ্রিল দেবিদ্বারে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া আট শিশুর মধ্যে সাতজনের বয়স ৮ বছরের কম।

এদিকে বর্ষা শুরুর আগেই হঠাৎ পানিতে ডুবে এত শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৭ এপ্রিল) কুমিল্লার দেবিদ্বারে চার ঘন্টার ব্যবধানে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। মৃত শিশুরা হচ্ছে- দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিজলীপাঞ্জার গ্রামের রঙমিস্ত্রি অলিউল্লাহর মেয়ে মোসা. রাইসা আক্তার (৭)। বড় আলমপুর গ্রামের সোহরাব হোসেন সোহাগের ছেলে আঠারো মাস বয়সী শিশু সালমান এবং গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের গুনাইঘর গ্রামের ইমান্দি ভূইয়া বাড়ির ইউনুস ভূঁইয়ার মেয়ে হাফসা (৫)। এ তিন শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান।

এর আগের দিন ২৬ এপ্রিল কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুকুরে সাঁতার শিখতে নেমে পানিতে ডুবে মোহাম্মদ হৃদয় হাসান নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিন বিকেলে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নস্থ কিংবাজেহুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত হৃদয় হাসান ওই গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। পরে রাতেই তাকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগের দিন ২৫ এপ্রিল কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দিতে পানিতে ডুবে চার শিশুর মৃত্যু হয়। ওই দিন সকালে দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বরকোটা এবং দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

চান্দিনায় মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে- উপজেলার তুলাতলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্টুর মেয়ে নাদিয়া (৭) ও এই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন খালা ও বোনের মেয়ে হয়। অপরদিকে দাউদকান্দিতে মারা যাওয়া দুই শিশু হচ্ছে- উপজেলার বরকোটা গ্রামের মো. নজরুল এর ছেলে ফয়সাল (৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (৭)।

এ বিষয়ে কুমিল্লার বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ইকবাল আনোয়ার বলেন, বর্ষা শুরুর আগেই হঠাৎ কুমিল্লায় পানিতে ডুবে এত শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি আশঙ্কাজনক। অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন ও শিশুদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিৎ। শিশুদেরকে একা ঘরে রেখে কোথাও যাওয়া উচিৎ নয়। পাশাপাশি তাদেরকে পুকুর বা জলাশয়ের ধারে খেলতে দিলে চোখে চোখে রাখতে হবে। শিশুদের প্রতি যত্নবান হলেই আমাদের সুন্দর আগামী ভালোভাবে বেড়ে উঠবে।

জহির শান্ত/জোবাইদা/অমিয়/